আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কি…..?
ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে বলার আগে কিছু কথা বলে নেই। ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে ইউটিউবে সার্চ করলে বা গুগলে সার্চ করলে আপনি অনেক আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। তাই সেই আর্টকেলের সাথে আমার আর্টিকেল মিলাবেন না কারণ এই আর্টিকেল আমি আমার নিজের ভাষায় লিখেছি।
আপনি হয়তো ভাবছেন আমি সবার প্রথমেই কেন এসব কথা বলছি কারণ হলো এই সাইটে কিছু রাইটার আছে যারা নিজে তো আর্টিকেল লেখেনা কিন্তু অন্যের আর্টিকেলে ভুল ধরতে সবসময় প্রস্তুত থাকে। অন্য লেখকে হেনস্তা করতে সবসময় পিছনে লেগে থাকে। আশা করি সকলে আমার কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন।
বর্তমানে আমরা যে মোবাইল ফোনে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার ব্যবহার করি এটা কিন্তু এমনি এমনি আমাদের কাছে আসেনি। এটা বাজারে আনতে কোম্পানিকে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছেন।ফাস্ট চার্জিং এখন এন্ড্রোয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মনে করা হয়।কারণ বর্তমানে মানুষ মনে করে মোবাইল চার্জ দেওয়া একটি ঝামেলা যুক্ত কাজ কারণ এতে অনেক সময় লাগে।
কিন্তু ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কারণে আমরা এখন ঝামেলা মুক্ত এখন আর আগের মতো করে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে মোবাইল চার্জ দিতে হয়না। এইতো কিছু দিন আগেও মানুষ মোবাইল চার্জ করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতো কখন মোবাইল চার্জ হবে। সেই সময়ে সকলে তো ফোন চার্জ করতো কিন্তু তেমন একটা ব্যাক-আপ পাওয়া যেত না । কিন্তু বর্তমানে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কারণে মোবাইল চার্জ দেওয়া যেন পানির মতো সহজ হয়ে গেছে।
আমরা কিভাবে পেলাম এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার….?
পৃথিবীর আনাচে কানাচে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির সম্পন্ন চার্জারগুলো বিভিন্ন নামে এখন সুপরিচিত। বর্তমানে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির সম্পন্ন চার্জার কোম্পানির কাছে বেশ কিছু নাম ধারণ করে আছে। তবে যে যাই নাম দেওয়া হোকনা কেন সবটাতেই আসল বিষয় হলো ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি এছাড়া আর কিছুনা।
কোয়ালকম সর্বপ্রথম বাজারে ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারি চার্জার নিয়ে আসে।এই প্রজেক্টে বাজারে ১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং চার্জার ২০১৩ সালে প্রথমবার নিয়ে আসে। এর আগে যে চার্জার গুলো ছিল সেগুলো তেমন একটা ভালো ছিলনা সেগুলো ৫ ওয়াট বা ৩ ওয়াটের ছিল। আর কোয়ালকম যেহেতু প্রথম বারের মতো ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে চার্জার বাজারে নিয়ে আসে তখন সেটা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এই ভালো জিনিসের কদর তখন মানুষ খুব কম করেছিল কারণ ঐ সময় ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে একটি গুজব রটেছিল গুজবটি এই রকম ছিল যে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির চার্জার দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ দিলে মোবাইল ফোন ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এই গুজব ছড়ানোর পর কোয়ালকম আস্তে আস্তে বাজার ছাড়তে শুরু করে। কিন্তু এই গুজব বাজারে বেশি দিন থাকতে পারেনি একপর্যায়ে আস্তে আস্তে তারা আবার নিজেদেরকে মার্কেটে ফিরিয়ে আনেন।
কোয়ালকমের তৈরি এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির চার্জারের ওয়াট যত বেশি হয় সে ততো দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম হয়।তবে বেশির ভাগ ব্যাটারি ক্যাপাসিটর এর উপর নির্ভর করে। আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমরা যদি ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার দিয়ে কোন সাধারণ ফোন চার্জে দেই তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেটি কতটুকু কার্যকর হবে….?
আসলে যেসব ফোনে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজিকে সাপোর্ট করে না সেইসব ফোনে এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ভালো কাজ করবেনা। শুধুমাত্র সেই সকল ফোনে ফাস্ট চার্জিং চার্জার ব্যবহার করুন যেসকল ফোন ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কে সমর্থন করে।বর্তমানে মিড রেঞ্জের অধিকাংশ ফোনে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার সাপোর্টেড ।
এখন কথা আসতে পারে এর ফলে কি কোন ফোনের ক্ষতি হতে পারে…?
সাধারনভাবে ফোনের ক্ষতি হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই ।কারণ ফোনের ভেতরে এক ধরনের টেকনোলজি থাকে যেটি নির্দিষ্ট পরিমাণের চার্জ গ্রহণ করতে সক্ষম। এর বেশি চার্জকে সে খুব সহজে পাওয়ার আপ করে দিতে পারে । এখন যে কোন ফোনে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার ব্যবহার করাটা রিকমেন্ডেড না।বর্তমানে নির্দিষ্ট ফোনের ক্ষেত্রে সেই ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট চার্জার ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে বেশি শ্রেয়।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
13 thoughts on "ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কি…..? কিভাবে পেলাম এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার….?"