আমাদের মধ্যে অনেকেই ভিপিএন ব্যবহার করে। কিন্তু জানেনা ভিপিএন ব্যবহার করার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো। আবার অনেকে মনে করেন ভিপিএন শুধুমাত্র খারাপ কাজে ব্যবহৃত হয়, ভিপিএন কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহৃত হয়। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই ভিপিএন ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো:
সুবিধা:
• আপনি ইন্টারনেটে আপনার আইপি লুকিয়ে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। যার ফলে আপনার তথ্য কেউ জানতে পারবে না। তবে এটার একটা অসুবিধাও আছে সেটা আমি একটু পরে জানাচ্ছি।
• ভিপিএন ব্যবহার করলে আপনার আইপি কেউ জানতে পারবেন না যার ফোনে যেকোন সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। যেমন অনেক সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ভিপিএন ব্যবহার করা ছাড়া প্রবেশ করা যায় না, সেগুলোতে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন।
• বিদেশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস বাংলাদেশ এভেলেবেল না, কিন্তু ভিপিএন ব্যবহার করলে আপনি ঐ সার্ভিসগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
• আমরা আগে কিছু কিছু ভিপিএন এ ফ্রি নেট ব্যবহার করতে পারতাম, কিন্তু বর্তমানে আস্তে আস্তে এগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কিছু কিছু ভিপিএন এ ব্যবহার করা যায়।
অসুবিধা:
• ভিপিএন ব্যবহার এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো আপনি যদি কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া, ভিপিএন এর মাধ্যমে ব্যবহার করেন তাহলে ঐ কোম্পানি আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিতে পারে।
• বেশিরভাগ মানুষই ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করে। কিন্তু ফ্রি ভিপিএন গুলো বেশিরভাগই সুরক্ষিত হয় না। হ্যাকাররা খুব সহজেই ফ্রি ভিপিএন এর আইপি হ্যাক করতে সক্ষম হয়। তাই চেষ্টা করবেন পেইড ভিপিএন ব্যবহার করার।
ভিপিএন ব্যবহার করে কেউ কোনো অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করবেন না। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ভিপিএন থেকেও আরো উন্নত প্রযুক্তি আছে, একজন সাইবার অপরাধীকে ধরার জন্য।
8 thoughts on "ভিপিএন ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা"