আসসালামু আলাইকুম। প্রথমেই বলে নিচ্ছি সম্পূর্ণ লেখাটি আমার ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্সের আলোকে লেখা হয়েছে। কারো যদি আরো ভালো সাজেশন থাকে, কাইন্ডলি কমেন্ট সেকশানে জানিয়ে উপকৃত করবেন। পোস্টটি দীর্ঘ হতে পারে। বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সর্বোপরি, আমার লেখনি শক্তি খুবই নিম্নে, যদি কোনো অংশ বুঝতে অসুবিধে হয়, কাইন্ডলি জানাবেন। যতটুকু পারি বোঝানোর চেষ্টা করবো। 🙂
আমরা অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমন করে থাকি। কেউ স্টুডেন্ট হিসেবে কেউ বা বিজনেস পারপাসে আবার কেউ টুরিস্ট হিসেবে।। সে যেই পারপাসেই হোক, আমাদের জন্য টাকা এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায়, অপ্রত্যাশিত কারণে দেশের বাইরে আমাদের বাজেটের চেয়েও বেশি পরিমাণ টাকা লেগে যেতে পারে। কিন্তু বিদেশে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠাতে গেলে বেশ কিছু সময় প্রয়োজন হয়। আবার ধরেন আপনি কোনো একটি ব্যাংকের কার্ড ইউজার কিন্তু কার্ডে টাকা শেষ হয়ে গেছে, পরেরদিন ব্যাংক হলিডে, চাইলেও কেউ আপনাকে এনপিএসবি ছাড়া ইন্যাস্ট্যান্ট টাকা পাঠাতে পারবেনা। এইসব ক্ষেত্রে দেশের বাইরে গেলে আমরা সাধারণত বিপাকে পড়ে যায়। এইজন্য যা করা যায়, তাহলো বিকাশ এর “ট্রানফার মানি” সার্ভিসের মাধ্যমে ইন্যাস্ট্যান্ট ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ফান্ড ইন্যাস্ট্যান্ট পেয়ে যাবেন এবং কার্ড দিয়ে যেকোনো দেশের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
কিন্তু এইখানেই আছে, বড় ভেজাল। আর তা হলো, বিকাশে বাংলাদেশের সার্ভার/আইপি ছাড়া লগিন করা সম্ভব হয় না। এইজন্য দেশের বাইরে থেকে হাজার চেষ্টা করা হলেও, বিকাশে লগিন করা সম্ভব হয়না। আবার ভিপিএন দিয়ে লগিন করলেও, মাঝেমধ্যে বিকাশ ওটিপি চেয়ে বসতে পারে। সেক্ষেত্রে তো বাংলাদেশি নাম্বারটা সচল থাকতে হবে কিন্তু সে তোহ বিদেশে সম্ভব না। সম্ভব হয় রোমিং করলে, কিন্তু সেখানেও তোহ বিরাট খরচ! আবার নিজ ব্যাংকে বিদেশ থেকে কল দিলেও, ব্যাংক কর্মকর্তারা সার্ভিস দেন না। কারণ ব্যাংকের কাষ্টমার কেয়ারের সার্ভিস নিতে হলে প্রয়োজন হয় রেজিস্টার্ড নাম্বার এবং মূলত সেই নাম্বার থেকে কল করলে আপনার ডিটেইলস দেখেই ব্যাংক আপনাকে সার্ভিস প্রোভাইড করে। কিন্তু বিদেশে থেকে তোহ রোমিং ছাড়া কল দেওয়া যাবেনা! সেক্ষেত্রে রোমিং করলেও আউটগোয়িং কলে তোহ প্রচ্চুর খরচ হয়ে যায়। আজ আমি এই তিনটি সমস্যার সমাধান আমার নিজ এক্সপেরিয়েন্সের আলোকে পোস্টে জানিয়ে দিবো। আশা করি অবশ্যই এতে আপনার খানিকটা হলেও উপকার হবে, এবং এতেই আমার লেখার স্বার্থকতা। 🙂
ভিপিএনঃ আপনি যদি প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজেদের ভিপিএন প্যাকেজের প্রতিনিয়ত অফার দিয়ে বেড়াচ্ছে। হরেক ভিপিএনের হরেক রকমের অফার। অনেকেই ফ্রি আবার অনেকেই পেইড অফার করছেন। তাদের ফ্রি লোভনীয় অফার দেখে যখুনি কোনো একটা ডাউনলোড করেছেন, দেখছেন কিছুসময় পর বা কিছুদিন পরই তারা এক্সট্রা সার্ভিসের জন্য পেমেন্ট চাচ্ছেন। আর আমার মতো আইওএস ইউজারদের ভাগ্য তোহ আরো খারাপ। প্রায় সবই ভিপিএন আমাদের পে করে ব্যবহার করতে হয়। চাইলেও আমরা বড়লোক্স অ্যান্ডয়েড ইউজারদের মতো ক্রাক ভার্সনের ভিপিএন ইউজ করতে পারিনা। সেক্ষেত্রে আমরা ভিপিএন কিনে নেই বা চিপ ফ্রি ভিপিএন গুলো ইউজ করি। আমি নিজেও একজন চাইনীজ স্টুডেন্ট, খুব শীঘ্রই চায়নায় ফিরবো ইনশাআল্লাহ। সেখানেও ভিপিএন ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াসমূহ ব্যবহার করা যায় না। আবার যে সে ভিপিএনেও বাংলাদেশ সার্ভার থাকেনা। এইক্ষেত্রে অনেক ঘাটাঘাটি করে আমি একটা ভিপিএনের খোঁজ পেয়েছি, যেটি কিনা আনলিমিটেড ডিভাইস এবং আনলিমিটেড ইউজার এক্সেপ্ট করে একক আইডিতে। সর্বোপরি বাংলাদেশ সার্ভারও বিদ্যমান। আবার তাদের দুই বছর মেয়াদি প্যাকেজও আছে। চায়না বা এইরকম রেস্ট্রিক্টেড দেশগুলোতে ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। এবং সেই ভিপিএনটি হলোঃ সার্ফশার্ক। আমি ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ঘুরে একটি পেজ থেকে সার্ফশার্কের দুই বছরের প্যাকেজ চিপ প্রাইসেই কিনে নিই। এবং ইন্ডিয়া-আরব আমিরাত-কুয়েত-ওমান আর সৌদিতে প্রব্লেম ছাড়ায় ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। স্পীড ড্রপ করেনা, কানেকশন ড্রপ করেনা। স্মুথলি বিকাশও ব্যবহার করেছি এই ভিপিএনের সাহায্যে। সুতরাং, আপনি যদি প্রবাসী হোন, যদি বিকাশ ব্যবহার করতে চান, তাহলে আমি সাজেস্ট করবো এই ভিপিএনটি ব্যবহার করে দেখতে। আশা করি নিরাশ হবেন না। 🙂
ভিপিএন জটিলতাঃ প্রথমত প্রায় সকল ভিপিএন আইওএস এর জন্য এক্সপেন্সিভ। আর সার্ফশার্কের মান্থলি ফি ১২ ডলারেরও বেশি। কিন্তু দুই বছরের প্লানে সেটি মাত্র ৬০ ডলার বা তার একটু কম । যেটি আমার একার জন্য একটু হলেও এক্সপেন্সিভ। তাই আমি ফেসবুকের পেজ থেকে একটি সাবস্ক্রিপশন কিনে নিই। এবং সেটি ব্যবহার করি। কিন্তু সমস্যা হলো কোনো কারণে লগ আউট হলে পেজের এডমিনের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। কখনো বা একদিনের বেশি সময়। তাই আপনারা যারা শার্কসার্ক ব্যবহার করবেন, যদি একা কিনতে না পারেন… তাহলে বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ খুলে সবাই মিলে টাকা তুলে একজনে পারচেজ করবেন এবং সবাইকে এক্সেস দিয়ে দিবেন। যেহেতু আনলিমিটেড ডিভাইস আর লগিন এক্সেপ্ট করে সেক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা। কিনলে দুইবছরের প্যাকেজ নিয়ে নিবেন। আর যদি একা হোন আমার মতো, তাহলে আমাকে জানাবেন। চেষ্টা করবো ম্যানেজ করে দিতে। লিংকঃ সার্ফশার্ক প্রাইজিং
রোমিংঃ “আন্তর্জাতিক রোমিং (আইআর) সেবা গ্রাহককে দেশে বিদেশ ভ্রমণের সময় তার বিদ্যমান ফোন নম্বরটি বিদেশী অপারেটরের নেটওয়ার্ক-এ ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। প্রায় সকল দেশের সিমের সাহায্যে আপনি এই সার্ভিসটি পাবেন। এইক্ষত্রে আপনার একটি ভ্যালিড ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট / ক্রেডিট কার্ড লাগবে। যেটি খুব সহজে যেকোনো ব্যাংক হতে সংগ্রহ করতে পারবেন। আর লাগবে সিকিউরিটি ডিপোজিট। অপারেটরভেদে এটি যেকোনো প্রাইস হতে পারে। প্রিপেইড গ্রাহকরা সাধারণত ১০ ডলার ডিপোজিট দিয়ে অন করতে পারেন আর পোস্টপেইড গ্রাহকরা ৫০ ডলার ডিপোজিট করতে হবে। যেহেতু আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি একজন প্রবাসী, এবং দেশের বাইরে আপনার লোকাল সিম আছে…সেহেতু আপনার সিমটি পোস্টপেইড হয়ে থাকলে প্রিপেইড করে নিবেন। তাহলে ১০ ডলার খরচ করে রোমিং অন করে নিলে প্রায় বেশ কিছু বছর আপনার উক্ত সিমে ফ্রিতে এসএমএস পাবেন, যেকোনো ওটিপি রিসিভ করতে পারবেন। দেশে এসে পরে উক্ত ১০ ডলার ক্যাশ করে নিতে পারবেন। এইভাবে বিকাশ ওটিপি চাইলে আপনি সিম্পলি ওটিপি পেয়ে যাবেন। আর যদি টুরিস্ট হোন, তাহলে আপনার সিমটি পোস্টপেইড করে রোমিং করতে হবে। কেননা, প্রিপেইড সিমে আপনি নেট ইউজ করলে প্যাকেজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত ডাটা ইউজড হলে, স্পীড কমে যাবে। আগে স্পীড কমে গেলে সেটি আর পুনরায় রিসেট হবেনা নতুন প্যাকেজ কেনা পর্যন্ত। অন্যদিকে পোস্টপেইডে নির্ধারিত ডাটা ইউজড হলেও স্পীড কমবে, কিন্তু বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টার পর সেটি আবার নরমাল স্পীডে চলে আসবে। আমি পোস্টপেইড এবং প্রিপেইড দুটো দিয়েই বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি। আমার মতে, মিডোল ইস্টের সিম অপারেটরদের অযাচিত টাকা না দিয়ে বাংলাদেশি সিম রোমিং করে নিয়ে যান। ইনশাআল্লাহ, অনেক টাকা বেককচে যাবে আপনার। আমার এয়ারটেল, রবি, গ্রামীণ এবং ইন্ডীয়ান সিম জিও। সবগুলোই রোমিং করে নিয়েছি। মজার ব্যাপার হলো, ইন্ডীয়ান সিমটা দিয়ে ইণ্ডিয়ান প্রায় সকল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছি যেহেতু সিমে ওটিপি পাচ্ছি। মজা না? 😀
সিকিউরিটি ডিপোজিট ছাড়া গ্রামীনফোন রোমিং করুনঃ শেয়ারট্রিপ নামক দেশীয় একটি ট্রাভেল এজেন্সির সহয়তায়, আপনি চাইলে কোনো রকম খরচ ছাড়ায় আপনার জিপি সিমটির ড়মিং এনাবল করে নিতে পাচ্ছেন। কিন্তু সময় লাগে ব্যক্তিভেদে প্রায় ৩/৪ দিন। আমার ক্ষেত্রে ৪ দিন লেগেছিলো প্রায়। অফারটি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলবে। লিংকঃ শেয়ারট্রিপ অফার অথবা গ্রামীন অফিসিয়াল লিংক
সিকিউরিটি ডিপোজিট ছাড়া রবি-এয়ারটেল রোমিং করুনঃ যদি আপনার পার্টনার ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকে, তাহলে রবি/এয়ারটেল অ্যাপ থেকে ফ্রিতে রোমিং করে নিতে পারছেন। অন্যথায়, প্রিপেইডে ১০ ডলার এবং পোস্টপেইডে ৫০ ডলার চার্জ করবে। লিংকঃ এইখানে দেখুন
দেশীয় নাম্বার ব্যবহার করে আইপি কলঃ আমরা অনেকেই দেশের বাইরে গেলে আইপি কলের অ্যাপ নামিয়ে যায়। যাতে কম খরচে ইন্টারনেট দিয়ে VoIP সার্ভিসের মাধ্যমে দেশীয় / বিদেশীয় ফোন নাম্বারে ডিরেক্টরি কল করতে পারি। কিংবা দেশ থেকে বিদেশের ফোন / ল্যান্ড ফোনে চিপ রেটে কল করতে পারি। কিন্তু সমস্যা হয় যখন আমাদের অপরপ্রান্তের ব্যাক্তিটি আমাদের সনাক্ত করতে না পারেন। ফর এক্সাম্পল আমি সর্বপ্রথম দেশের বাইরে যায় সৌদিতে উমরাহর উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখতে পাই আমার কার্ড থেকে ব্যাংক অতিরিক্ত চার্জ করছে কোনো কারণে। আমি বিষয়টি মোকাবেলার জন্য ব্যাংকে কল দেই, এবং তারা আমাকে সাহায্য করতে চাইনি। কেননা আমি কল দিয়েছি একটা আইপি নাম্বার থেকে যেটি কিনা একটা র্যানডম নাম্বার জেনেরাট করে আমার ফোন নাম্বারকে ইনক্রিপ্টেড করে ফেলে। ফলে ব্যাংক আমার নাম্বার সিস্টেমে পায় না, এবং সাহায্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আমি একটি আইপি প্রোভাইডারের খোঁজ পায় যারা কিনা নাম্বার ইনক্রিপ্ট করেনা। বরং আমি কাউকে কল করলে আমার রেজিস্টার্ড নাম্বারটিই শো করে। চাইলে ৫ টি পর্যন্ত নাম্বার এডও করা যায় বিভিন্ন দেশের। পরে আমি বাংলাদেশ নাম্বারে রেজিস্টার্ড করি, রোমিং সিমে ওটিপি পেয়ে যায়। এবং সে আইপি অ্যাপ দিয়ে ব্যাংকে কল দিই এবং তারা এইবার আমাকে ডিটেক্ট করে সার্ভিস দিয়ে দেই। আমি ইবিএল এবং ব্রাকে সার্ভিস নিয়েছি অনেকবার দেশের বাইরে থেকে। আর মজার ব্যাপার হলো, অ্যাপটি অনেক চিপ রেটে কল এবং এসএমএস করতে দেই ইন্টারন্যাশনালি। গুগল প্লে অথবা আইওএস দিয়ে টপ আপ করা যায়। লিংকঃ এইখান থেকে (টপ আপ করলে ৩$ ফ্রি পাবেন)
পোস্টটি এই পর্যন্ত। জানিনা কতটুকু বুঝাতে পেরেছি। যদি না বোঝাতে পারি প্লিইজ কমেন্টে জানাবেন। ক্রিঞ্জ মনোভাব না দেখিয়ে সোজাসাপ্টা জিজ্ঞেস করবেন, ইনশাআল্লাহ হেল্প করার চেষ্টা করবো। আর ভুল ত্রুটি প্লিইজ প্লিইজ ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ 🙂
লেখাঃ তুশান আফনান
ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
ডালিয়ান পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি, চীন।
আপনি যদি বাংলাদেশের বাহিরে থেকে দেশীয় মোবাইল ব্যাংকিং app চালাতে চান, তখন ভিপিএন থেকে বাংলাদেশি আইপি ধরবেন, নাহলে bKash, Nagad apps চলবেই না।
রোমিং এর মূল বিষয় হলো, দেশের বাহিরে গিয়েও বিদেশী নাম্বারের বদলে নিজের নাম্বার ব্যবহার করা, বিনিময় সেই দেশের অপারেটরকে একটি নির্দিষ্ট সুবিধার বিনিময়মুল্য দেওয়া।
আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে, যদিও এটা নিয়ে বিস্তারিত আমি অনেক আগে থেকেই জানি, কিন্তু রোমিং সম্পর্কে আইডিয়া কম ছিল।
আমি বাংলাদেশ সার্ভার সকল VPN বিক্রি করে আসছি, প্রায় পাঁচ মাস ধরে, আপনি যে ভিপিএনের কথা বলছেন,,, এগুলা আমার কাছ থেকে নিতে পারবেন, সিপ রেটে?
আমার টেলিগ্রাম আইডি : @imam44
Fb.me/Saddamhbd
Thanks for sharing.
https://trickbd.com/uncategorized/779962
এটা একটা পূর্নাঙ্গ পোষ্ট
WhatsApp: 01740123456