আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটরস। টাইটেল দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আজকের টপিক কি! তো চলুন ভিউয়ার্স কথা না বাড়িয়ে মূল পোস্টে মনোযোগ দিই ।
দৈনন্দিন জীবনে বিনোদনের জন্য যেমন ফেসবুক রয়েছে, ঠিক তেমনি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ । অডিও, ভিডিও কলিং, ম্যাসেজিং এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ’ই সেরা এবং এব কোনো বিকল্প নেই।
এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ কতৃপক্ষ তাদের গ্রাহক’দের কথা চিন্তা করে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। বরাবর আপডেট হওয়াতে ব্যবহারকারী’রা ভালোই সুবিধা পাচ্ছে এবং উপকৃত হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে সাধারন সকল ফিচার রয়েছে, যেমন ম্যাসেজ করা, ভিডিও আদান-প্রদান করা, অডিও কল করা ইত্যাদি। তবুও যেন মনে হয় কোনো’কিছুর ঘাটতি রয়েছে এখানে। যেমন ধরুন আমরা অনেক সময় অফিসের অথবা জরুরী কাজের জন্য মিটিং করে থাকি। সেক্ষেত্রে আমরা চাইলে অফিসে উপস্হিত না হয়ে অনলাইলে এসে সবাই একসঙ্গে মিটিং করি।
একমাত্র জুম অ্যাপই আমাদের জন্য মিটিং করার উপায় ছিলো। সেখানে নিশ্চিন্তে মিটিং করে ফেলা যেতো, তবে সবার মোবাইলে জুম অ্যাপ ইন্সটল করতে হতো। অনেকের কাছে লো-কনফিগারেশনের ফোন থাকায় বড় সাইজের এই জুম অ্যাপ অনেক কষ্ট করে চালাতে হতো। প্রথম অবস্হায় জুম অ্যাপ সবার মোবাইলে সাপোর্ট করতো না, আস্তে আস্তে এর ইউজার বাড়তে থাকায় ডেভেলপার’রা এটিকে বেশ কয়েকবার আপডেট করেছে।
আজ ৩১ মে ২০২৩, হোয়াটসঅ্যাপ কতৃপক্ষ একটি সংবাদ প্রচার করেছে। সেখানে তারা বলেছে _ ” হোয়াটসঅ্যাপ’কে তারা আরো উন্নত করেছে এবং স্ক্রীন শেয়ারিং ফিচারস যুক্ত করেছে ” ।
✅_বেশি মানুষ নিয়ে গ্রুপ করলে স্ক্রীন শেয়ার অপশন আসবেনা, আবার আসলেও সেটা কাজ করবেনা।
✅_তারা আপাতত ৩২ জন সদস্য ভিডিও কলে একসঙ্গে যোগ দিতে পারবেন, এবং সেই সংখ্যা পর্যায়ক্রমে আরো বাড়াবে।
✅_আলাদা করে হয়তো ভিডিও কল রেকর্ড করার সুবিধাও থাকতে পারে_তবে এটা নিশ্চিত না,,
ভিউয়ার্স, আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে_ এতে করে গ্রাহকের কি লাভ হবে ? লাভ বলতে আমরা আগে ভিডিও মিটিং ও স্ক্রিন শেয়ারিং সুবিধার জন্য জুম অ্যাপ ব্যবহার করতাম। এখন আর এক্সট্রা করে জুম অ্যাপ ইনস্টল করা লাগবেনা। তাছাড়া মোবাইলের স্পেসও খরচ করার প্রয়োজন হবেনা। একটি অ্যাপেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা’গুলো নিতে পারবেন।
আমি আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, পরে দেখা হবে আবার..। ধন্যবাদ সকলকে ।