চিকন পিনের চার্জার। নিজের চোখে দেখে নিন। নোকিয়া ১১০০, ১১১০,১২০০ এইসব মডেল ফোনগুলোতে চিকন পিনের চার্জার ব্যাবহৃত হত।
এবার আসি মোটা পিনের চার্জার এ। নোকিয়া ৩৩১০ মোবাইলটিতে মোটা পিনের চার্জার ব্যাবহৃত হয়
এবার আসি চ্যাপ্টা পিনের চার্জার এ। মূলত আমরা এখন চ্যাপ্টা পিনের চার্জার ম্যাক্সিমাম এন্ড্রয়েড ফোনেই থাকে। তাই এটির সাথে পরিচিতো। (এখানে জাস্ট ক্যাবলটা দেখানো হয়েছে ছবিটা পাচ্ছিনা)
এবার আসি টাইপ সি চার্জার এ।
USB Type-C কি :-
এটি একটি সাধারন USB Port,USB 3.1 । কিন্তু আগের Port (চ্যাপ্টা)গুলোর তুলনায় অনেক উন্নত এবং ক্ষমতা সম্পন্ন । এটি মূলত তিরি করেছে USB Implementers Forum (USB-IF) এবং The International Electrotechnical Commission (IEC).
কিন্তু অনেকে দাবী করেছে এর উদ্ভাবক Apple Inc.
আকার:-
এটি আকারে USB 3.0 এর থেকে অনেকটা ছোট এবং এর পিন গুলো অনেকটা সরু । দেখতে অনেকটা Micro USB এর মতো । USB 3.0 এর থেকে এটি অধিক স্থিতিস্থাপক ।
একটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো,অন্যান্য USB কেবল প্লাগইন করার সময় যেকোনো এক পাশ দিয়ে প্লাগ করতে হয় । কিন্তু USB type-C যেকোনো দিক দিয়ে প্লাগইন করা যায় । যাকে বলা হয় Reversible.
Power Transfer:-
এই নতুন USB Type-C এর পোর্ট টি আশ্চর্যজনক ভাবে 100W পর্যন্ত High Voltage Power Transfer করতে সক্ষম । এটি দিয়ে একটি ল্যাপটপ চার্জ করা
যেতে পারে । এমনকি এটি দ্বারা একটি 4K মনিটর চালানো যায় ।
Performance:-
মূলত USB-3.0 এর Data Transfer Speed ছিলো 5GB/s অথবা 625MB/s । কিন্তু USB Type-C (3.1) তে তা বেড়ে হয়েছে 10GB/s অথবা
1.25GB/s পর্যন্ত । যা অত্যন্ত দ্রুত । সুতরাং মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া থেকে শুরু করে,4K মনিটর পর্যন্ত চালানো যাবে এই USB Type-c (3.1) দিয়ে।
7 thoughts on "চিকন, মোটা, চ্যাপ্টা এবং টাইপ সি চার্জার গুলোর কাহিনী কী?"