এই পুরো বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন, আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। আজকের দিনে মোবাইল ফোন মেনে না বা দেখেনি এরকম কাউকে বোধ হয় পাওয়া যাবে না। আমাদের গুরুজনদের কারো কারো মোবাইল ফোন আছে। এমনকি বর্তমান সময়ে, অন্যান্য জিনিসের জেন মোবাইল ফোন সবচেয়ে কাছের একটি জিনিস। যেটা ছাড়া দিন কাটানো প্রায় অসম্ভব এর মত হয়ে যায়। কথা না বাড়িয়ে চলুন এখন আমরা মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
মোবাইল ফোন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম?
মোবাইল ফোনঃ মোবাইল ফোন যে কত কিছু করা যায় তার সবটা অবশ্য সবাই জানে। যদিও কয়েক বছর পূর্বে, বর্তমান সময়ের মতো আধুনিক কোন মোবাইল ছিল না। এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত মোবাইলের প্রায় সব কিছু বোঝে। এমনও দেখা যায় যে, গুরুজনের চেয়ে ছোট শিশুরা মোবাইল সম্পর্কে আরো বেশি বোঝে বা জেনে থাকে।
এখন এমন মোবাইল ফোন আছে যাতে ইন্টারনেট কানেকশন করা যায়। কিন্তু 10 থেকে 15 বছর পূর্বে, খুব কম মোবাইল ফোন ছিল যেটাতে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন করা যেত। তাছাড়া ছবি তোলা, সিনেমা ভিডিও ইত্যাদি বিষয় বস্তু দেখা যায় মোবাইল ফোনে। তাছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় খুব সহজে। ধরুন আপনি বাংলাদেশের যশোর জেলায় বসবাস করেন, আপনি কিন্তু চাইলেই মুহূর্তে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকার কোন মানুষের কাছে সহজে টাকা পৌঁছে দিতে পারেন।
তাছাড়া মোবাইলে আমরা বই পড়তে পারি, গান গোসল ইত্যাদি শুনতে পারি, এসএমএস ইত্যাদি বিভিন্ন লোকের কাছে পাঠাতে পারি। তাছাড়া বর্তমান সময়ে তুমি তোমার বাসায় বসে মোবাইলে ছবি তুলে, সেই ছবি পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে পাঠাতে পারো। বুঝতেই পারছেন মোবাইল কতটা উপকারি একটি যন্ত্র। এখন কথা হলো মোবাইল ফোন কিভাবে আবিষ্কার হয়েছে? চলনা এখন আমরা এই মোবাইল ফোন আবিষ্কার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।মোবাইল ফোন কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল?
মোবাইল ফোনঃ যদিও মোবাইল ফোন সম্পর্কে ধারণা কাউকে আর নতুনভাবে দিতে হবে না। আমরা সবাই কম-বেশি মোবাইল সম্পর্কে জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হলো কেমন করে, অথবা এটা কেমন করে কাজ করে। আসলে মোবাইল ফোন কেউ একজন আবিষ্কার করেন নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এটার উদ্ভাবন কাজ শুরু হয়।
হ্যাঁ আপনারা ঠিকই শুনেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এটার উদ্ভাবন অর্থাৎ মোবাইল ফোন উদ্ভাবন কাজ শুরু হয়। তারপর কালে কালে একটু একটু করে আজকের মোবাইল ফোন বেরিয়েছে প্রতিবছরের, চেয়ে বিশাল পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটেছে। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে ততই মোবাইল ফোন এর গুণগত মান উন্নয়ন পরিবর্তন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।সাধারণত আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিল। তিনি ১৮৭৬ সালের 10 মার্চ তার সহকারি টমাস অগাস্টাস ওয়াটসনের সাথে প্রথমবারের মতো, সফল টেলিফোন কল করেন। প্রথম পর্যায়ে দেখা যায় সীমিত আকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়। সেন্ট লুই শহরে ১৯৪৭ সালে। ধাপে ধাপে এর উন্নতি ঘটে যায়। তারপর ১৯৬৪ সালের দিকে শুধু গাড়িতে মোবাইল ফোন থাকতো।
মোবাইল ফোন সম্পর্কে আরো অজানা কিছু তথ্য?
মোবাইল ফোনঃ পাশের ঘরে ফোন করা থেকে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে এখন ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা কীভাবে ঘটে? যদিও এ বিষয়ে আমরা জানি কিভাবে ঘটে? তবে বিশ্লেষণ করতে গেলে হয়তো একটু হিমশিম খেয়ে যাব তাই তো! তো বিষয়টি তেমন কোনো জোরালো কিছু নয়, একটু মন দিয়ে বুঝলে আপনিও জানতে পারবেন আশা করি,
প্রত্যেক অংশে শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসানো হয়। বেতার বলতে এখানে সাধারণত মাস্তুল বোঝানো হয়েছে। এই টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগের একটা অদৃশ্য জাল। জাল কে সাধারনত নেটওয়ার্ক বোঝানো হয়েছে, এবং তৈরি করে অর্থাৎ টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগের একটা অদৃশ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করে। মোবাইল সেটের মধ্যে থাকে একটা এন্টেনা। যদিও সেটা বর্তমানে আমরা খুঁজে পাইনা।কারণ সেটি প্রায় আগে কের সময় থাকতো, বর্তমানে আরো উন্নয়ন পরিবর্তনের কারণে এটি দেখতে পায় না। মোবাইল সেটের মধ্যে থাকে একটা এন্টেনা। সারাক্ষণ তরঙ্গের মাধ্যমে সেটি টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রাখে। যেমন ধরুন কোন সেট থেকে বোতাম চেপে অন্য কোন নম্বরে যোগাযোগ করা হল। তখন সবচেয়ে কাছের টাওয়ার এর মাধ্যমে অন্য প্রান্তের মোবাইল সেট কে সেটি খুঁজে নেয়। একটাতে না পেলে রিলে সেটের মত সেটি তারপর, যতগুলো টাওয়ার দরকার সব পার হয়।
মুহুর্তের মধ্যে পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট নম্বরটিতে। তারপর হ্যালো বলার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক গতিতে তা তরঙ্গে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলে যায় অন্য প্রান্তে। আবার গ্রাহকের ফোনসেট বেতার তরঙ্গকে কথাই বা আওয়াজে রূপান্তরিত করে। অনেকগুলো জায়গায় বসানো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সমন্বয় করে মোবাইল ফোনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি তোমরা মোবাইল ফোন এর কাজ কর্ম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছো।এতক্ষন আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনা, মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে একটু হলেও তোমরা উপকৃত হয়েছো। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না কেমন লাগলো আর্টিকেলটি জানাতে। বরাবরের মত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আশা করি অন্য আর্টিকেলে আবার দেখা হবে, আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ।
2 thoughts on "মোবাইল ফোন আবিষ্কার সম্পর্কে, জানা-অজানা তথ্য?"