আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালোই আছেন।
আজ আমি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট করব সেটাা হলো কিভাবে কীভাবে আসল এবং নকল মোবাইল চিনবেন। বিষয়টি তাদের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ যারা আনঅফিশিয়াল বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনেন বা কিনবেন বলে ভাবছেন।
ফোন সম্পর্কে ধারনা কম থাকলেও আপনি এই ট্রিক গুলো এপ্লাই করে সহজেই একটি আসল এবং নকল ফোন চিনতে পারবেন
তো চলুন বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক।
১। মোবাইল ডিজাইনঃ আপনি যেই মডেলের ফোন টি কিনতে চাচ্ছেন সেই ফোনটি একটি অরিজিনাল কপি দেখে নিন। আসল ফোন এবং কপি ফোনের ডিজাইন কখনোই এক হবে না। কপি ফোনে লো কোয়ালিটির ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। তাই এটা কখনোই আসলের মত হবে না।
২। পার্ফম্যান্স চেকঃ আসল ফোনের সাথে নকল ফোনের আর একটি যেই বিষয় টি আপনার চোখে পড়বে সেটি হলো পার্ফম্যান্স। নকল ফোনে বিভিন্ন এপ ওপেন করার সময় দেখবেন এপ গুলো স্লোলি ওপেন হচ্ছে। এমন টি হলে বুঝবেন ফোনটিতে কোন সমস্যা আছে।
3। IMEI: আপনি যেই ব্রান্ডের ফোন কিনতে চাচ্ছেন সেই ব্রান্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে imei টি চেক করে দেখবেন। আসল হলে ফোনের সব তথ্য পেয়ে যাবেন। imei দেখতে ডায়াল করুন *#06#
imei চেক করার অনেক সাইট আছে। imei check লিখে গুগলে সার্চ দিন।প্রথম সাইটে প্রবেশ করুন
এখানে আপনার ১৫ ডিজিটের imei
নাম্বার টা বসিয়ে ক্যাপচা পুরুন করে চেক বাটনে ক্লিক করুন।
এখানে আপনার ফোনের তথ্য পেয়ে যাবেন। স্ক্রল করলে আরো তথ্য পেয়ে যাবেন।
৪। CPU Check: cpu-z নামে এপটা প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল দিন।
এপ টি ওপেন করলে আপনার সিপিইউ এর তথ্য পেয়ে যাবেন।
ডিভাইসে ক্লিক করলে ফোনের স্পেসিফিকেশন জানতে পারবেন
এছাড়াও system bettary sensor অফসনে ক্লিক করে বাকি তথ্য গুলো দেখে নিন।
তথ্য গুলো মিলিয়ে নিতে আপনার কাংখিত ফোনটি সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিয়ে মিলিয়ে নিন। যদি মিলে যায় বুঝবেন ফোনটি আসল।
৫। phone tester: এই এপটি মুলত বেশি কাজে দিবে যখন আপনি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনতে যাবেন। এই এপের মাধ্যমে আপনি ফোনের ফাংশনার বিষয় গুলো চেক করে নিতে পারবেন। যেমন সেন্সর ঠিক আছে কিনা। স্পিকার ঠিক আছে কিনা। ইত্যাদি। Phone tester এপটি প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল দিয়ে ওপেন করুন
ওপেন করার পর manual check এ ক্লিক করুন।
এখানে সব অফসন গুলো দেখতে পারবেন সবগুলো চেক করে নিন
যেমন আমি Vibration অফসনে ক্লিক করলাম।
তারপর vibrateঅফসনে ক্লিক করলাম।
এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে vibration মেশিন যদি ভালো থাকে তাহলে ফোনটি ভাইব্রেট হবে। ভাইব্রেশনের হলে yes এ ক্লিক করুন।
এভাবেই বাকি অফসন গুলো চেক করে নিন
৬৷ Geekbanch score check: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি। কপি ফোন কখনোই এই পরিক্ষায় পাশ করতে পারবে না।Geekbanch ফোনে একসাথে৷ অনেকগুলো প্রোগ্রাম রান করে প্রসেসরের ক্ষমতা পরিক্ষা করে। নকল৷ ফোনে যেহেতু নিম্নমানের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। তাই কপি ফোনের সাথে আসল ফোনের geekbanch স্কোর আকাশ পাতাল পার্থক্য হবে বা এপ রান করলে এপ থেকে বের করে দিবে বা ফোন হ্যাং করবে । আপনি যেই ফোনটি কিনতে চাচ্ছেন সেই ফোনর geekbanch স্কোর অনলাইন বা ইউটিউব থেকে দেখে নিন।
প্লে স্টোরে geekbanch লিখে সার্চ দিলেই এপটি পেয়ে যাবেন।
সেই এপটি কাংখিত ফোনটিতে ইনস্টল দিন
Run cpu benchmark
এখন অপেক্ষা করুন ২-৫ মিনিটের মত সময় লাগবে
কমপ্লিট হলে ফোনের
ফোনের benchmark স্কোর দেখতে পারবেন
স্কোরটি অনলাইনে দেখা স্কোরের সাথে মিলিয়ে নিন
কিছুটা হেরফের হতে পারে সেটা কোন ব্যাপার না
আশা করা যায় এই কয়টি পরিক্ষা করলে আপনি খুব সহজেই আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে।
তো আজ এই পর্যন্তই। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। সবাই সুস্থতা কামনা করছি।
আসসালামু আলাইকুম
“গুগলে imei চেক করার অনেক সাইট পাবেন, সার্চ করে দেখুন”
ভাই, আমি যদি গুগলেই সার্চ করে দেখবো, তাহলে আপনি আমার কী উপকারটা করলেন? আমি যদি সলিউশন নিজেই খুজে নিবো, তাহলে এই পোস্ট এর অর্থ কী?! ?
গুগলে সার্চ তো সবাই পারে। তাহলে আপ্নিই বলুন, মানুষ গুগলে সার্চ করেই সলিউশন পেয়ে যাবে, তাহলে এই পোস্ট টা কোন উপকারে আসলো?! আপনাকে গুগলে সার্চ করা শেখাতে বলছি না। IMEI চেক করার সাইটের লিংক সহ এখানে দিয়ে সেটা ব্যবহারের নিয়ম দেখাতে বলছি।
সামান্য একটা কথা বুঝতে পারছেন না?! ?
মনে করেন আপনি নতুন মোবাইল কিনতে দোকান এ গেলে।এবং আপনি একটি মোবাইল দেখলেন।
আপনি এখন বুঝবেন কিভাবে একটা আসল নাকি কপি তার কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি