২০ হাজারের মধ্যে কী এটা ভালো ফোন? Infinix Note 30 Review

আজকাল ১৯ হাজারের নিচে এত ভালো 5G ফোন খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে Infinix তাদের নতুন Note 12 এর পর ডিরেক্ট Note 30 লঞ্চ করেছে। যার ৮/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্ট এর দাম ১৯ হাজার টাকা।

বক্স খুললে প্রথমেই ফোনটি পাবেন। তারপর ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। এবং একটি Type A to Type C ক্যাবল। তারপর একটা স্ক্রিন প্রটেক্টর এবং একটি হার্ড কেস। এত কিছু ১৯ হাজার টাকাই।

প্রথমেই আমরা ডিজাইন নিয়ে কথা বলি। বেশ বড় একটি ফোন। আপনার হাত ছোটো হলে ধরতে একটু সমস্যা হতে পারে। এর যেই ফ্রেমটা একদম ফ্লাট এবং এটা গ্লসি ফিনিশিং দেওয়া এবং এর ব্যাক প্যানেল ম্যাট ফিনিশিং এর সাথে আসে যেটা ফিংগারপ্রিন্ট খুব কমই পড়ে। প্রয়োজনীয় সব পোর্টস এবং বাটন আছে নিচের দিলে 3.5mm হেডফোন জ্যাক, স্পিকার মাইক্রোফন, টাইপ সি চার্জার আর উপরের দিকে আরেকটা স্পিকার আছে তবে নাই কোনো সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যানছেলেশন পোর্ট। এটা খুবই হতাসা জনক। ফোনের ডান দিলে ভলিউম বাটন আর তার ঠিক নিচে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর আছে। যেটা খুবই ফাস্ট এবং এক্যুরেট। খুব দ্রুতই রেসপন্স করে। আর বাম দিকে সিম ইজেক্টর ট্রে পাচ্ছেন। এটাতে ডেডিকেটেড SD কার্ড আছে একই সাথে ২ টা সিম এবং একটা মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করা যাবে।

এবার ডিসপ্লের দিকে আসা যাক। ৬.৭৬ ইঞ্চি এর ফুল এইচডি ISP ডিসপ্লে দেওয়া আছে। তবে IPS ডিসপ্লে হওয়ার জন্য যে এর ডিসপ্লে খারাপ হবে এমনটা কিছু না। কালার গুলো যথেষ্ট ভালো ভাবে দেখাতে পারছিলো। তবে একটু সাইড থেকে দেখলে ব্রাইনেস কিছুটা কমে যায়। 120Hz রিফ্রেশরেট সাপোর্ট করে আর 240Hz পযর্ন্ত টাচ স্যামপ্লিং রেট দেওয়া আছে। ব্রাইটনেসের ব্যাবারে একটা যথেষ্ট ভালো। ইনডোর লাইটে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স দেই আবার সরাসরি সূর্যের আলোতে গেলে কিছুটা কম হয়ে যায়।

এই ফোনে ব্যাবহার করা হয়ে ৬৪ মেগা-পিক্সেল এর মেইন সেন্সর। ছবিতে যথেষ্ট শার্পনেশ ধরে রাখতে পারে।
ছবি গুলা যথেষ্ট কালারফুল এবং ন্যাচেলান ছিলো৷ এর পাশাপাশি এর যে ডাইনামিক রেঞ্জ এটাও অনেক সুন্দর করে ক্যামেরা ক্যাপচার করতে পারে৷ সর্বোচ্চ 2k 30FPS রেজুলেশনে ভিডিও রেকোর্ডিং করতে পারবেন। তবে 1080 তে আবার 60 FPS এ ভিডিও রেকোর্ডিং করতে পারবেন। তবে এটাতে কোনো স্টাবিলাইজেশন নেই। তবে স্টাবিলাইজার মুড On করে নিলে কিছু কমে যায়।

এটাটা ব্যাবহার করা হয়েছে Mediatek MT8781 Helio G99 প্রসেসরটি যেটি 6mn প্রযুক্তিতে তৈরি। ডেইলি ব্যাবহার এর ক্ষেত্রেও এই ফোনটি অনেক ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছে। মাল্টি টাস্কিং এর জন্যই খুবই ভালো কোনো ল্যাগ বা আটকে যাওয়া এই রকম কোনো সমস্যা এখন পর্যন্ত দেখা যায় নি। আ্যাপ ওপেন এবং ক্লোজ খুব তাড়াতাড়িই হচ্ছিলো।

গেমিং এর দিকে এসেও আমরা একই জিনিস দেখতে পাচ্ছি। আমরা বেশ কিছু গেম ট্রাই করে দেখিয়েছি। PUBG, Free Fire, CODM এর গেমিং পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা অনেক সন্তুষ্ট। এটা যেহেতু কোনো গেমিং প্রোসেসর না সেজন্য এর কাছ থেকে খুব বেশি পারফরম্যান্স আসা করা যাবে না। তবে হ্যা আপনি এটাতে গেমিং করতে পারবেন তবে বেশ কিছুক্ষন খেলার পর পারফরম্যান্স ড্রপ করবে। আপনার যদি মেইন টার্গেটই গেমিং হয় তাহলে ভাই এই ফোনটি আপনার জন্য না। আপনি যদি শুধু ডেইলি ব্যাবহার করবেন আর মাঝে মাঝে গেম খেলবেন তাহলে এই ফোনটি আপনি নিতে পারে।

এটাতে 5000 Mah এর ব্যাটারি দেওয়া আছে। আর ৫৬ ওয়াট এর Wirelesses চার্জার ব্যাবহার করেছে Infinix. সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার মধ্যে ফুল চার্জ হতে সক্ষম ফোনটি৷ তাছাড়াও এর ব্যাটারি ব্যাকাপও যথেষ্ট ভালো। এটা থেকে আকরা ৭-৮ ঘন্টার মতো ব্যাপারি ব্যাকাপ পেয়েছি।

আসুন দেখি কী কী দূর্বলতা আছে এই ফোনটির।

  • এটাতে সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যানশেলেশন কোনো মাইক নাই। তবে Infinix বলেছে এটাতে তারা AI নয়েজ ক্যানেছেলেশন পদ্ধতি ব্যাবহার করেছে।
  • ক্যামেরা মডিউলটা আমার কাছে একটু বড় হয়েছে।
    আর ক্যামেরা দিকে 4k রেকোর্ড করা যায় না।
  • ব্রাইটনেস কিছুটা কম মনে হয়েছে আমার কাছে।

আজকের জন্য এতটুকুই। কোনো ভুল করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply