TrickBD এর সকল user দের আসসালামুআলাইকুম।
নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নয় কোটি ৬২
লাখের বেশি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী
লোকজনকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড দেওয়ার
কাজ করছে সরকার।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের
ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ পলক এ তথ্য জানান। কাল মঙ্গলবার
থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী ই-আইডি
ফোরাম। এ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের
আয়োজন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি
(আইসিটি) বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএসসিএ) যৌথ
উদ্যোগে ই-আইডি ফোরাম শুরু হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশ কীভাবে
এ ধরনের কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক
সুবিধা নিশ্চিত করছে এবং আমরা কীভাবে
আমাদের দেশে এই সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারি, এ বিষয়ে ই-আইডি ফোরাম থেকে ধারণা
নিতে পারি।’
জুনাইদ আহমেদ জানান, এশিয়ার সব দেশসহ
সারা বিশ্বের ৩০টি দেশের ২৬টির বেশি
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এই ফোরামের আয়োজন করা হয়েছে। দুই দিনের এই ফোরামে
আটটি সেমিনার হবে। এখানে বাংলাদেশের
দুইটি সেশনসহ মোট ২৭টি কারিগরি অধিবেশন
থাকবে, যেখানে সারা দুনিয়ার স্মার্ট আইডি
কার্ড বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। তিনি বলেন,
দেশে প্রচলিত অনেক ধরনের কাজের জন্য অনেক রকম কার্ডের পরিবর্তে সব কাজে একটি স্মার্ট
কার্ডের ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করা
হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তা ব্যবহারের
সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে এই ফোরামে। এ
ধরনের কার্ড ব্যবহারের সুবিধাসহ নানা দিক
নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগও থাকবে, যেখান
থেকে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে
নতুন স্মার্ট আইডি কার্ড ব্যবহারের জ্ঞান
অর্জন করে তা কাজে লাগাতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ই-
কমার্সসহ অর্থনৈতিক নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি
পর্যায়ে নানা সুবিধা নিতে নাগরিকদের
অনেক বেশি সময় চলে যাচ্ছে। এই সময় যাতে
আরও কম লাগে এ ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড
কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক স্মার্ট কার্ড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গ্রেগ
পটে বলেন, অর্থনৈতিক নানা কার্যক্রমসহ
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই স্মার্ট
হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় দেশ এ
ধরনের ফোরামের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেদের দেশে স্মার্ট কার্ড চালুর ক্ষেত্রে
নানা সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি-সচিব শ্যামসুন্দর
শিকদার বলেন, এ ধরনের ফোরামের আয়োজক
হতে পেরে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই ই-আইডি
ফোরাম ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্মার্ট কার্ড চালুর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, এর আগে
ই-আইডি ফোরামের নবম ও দশম আয়োজন হয়েছিল
যথাক্রমে হংকং ও কম্বোডিয়ায়।
Thank You