সমুদ্রে মিশে যাওয়া বরফগলা জলে
পালটে যাবে এ গ্রহের তাপমাত্রা বণ্টন।
ওদিকে উষ্ণায়ন সংকট এখন এক্কেবারে
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। প্রলয়
কি তবে এসে গেল?
বরফ তো আজ গলছে না, গলছে গত কয়েক
দশক ধরেই। সারা পৃথিবী জানে উষ্ণায়ন,
উত্তর মেরুর আইস ক্যাপে গলন,
মহাদেশীয় গ্লেসিয়ার হ্রাস ও তার ফলে
সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির কথা। এ সব নতুন
কোনও খবর নয়। নতুন খবর শুধু এটাই যে,
মহাসংকটের আর বেশি দেরি নেই।
ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর
প্রকাশ করেছে।
খুব তাড়াতাড়ি বাজতে চলেছে
প্রলয়ঘণ্টা। ‘২০১২’ বা ‘দ্য ডে আফটার
টুমরো’-র দৃশ্যগুলির এবার পুনর্নির্মাণ হবে
বাস্তবে। মেরু-বরফের গলনে সমুদ্রে শুধু

জলোচ্ছ্বাসই ঘটবে না, পরিবর্তন ঘটবে
তাপমাত্রা বণ্টনে।
বায়ুপ্রবাহের মতো সমুদ্রস্রোতও মুখ্য
ভূমিকা নেয় তাপমাত্রা বণ্টনে। উষ্ণ
স্রোত যেমন তার সংস্পর্শে থাকা বায়ুর
তাপ বৃদ্ধি ও চাপ হ্রাস করে, শীতল
স্রোত তেমনই সংলগ্ন বায়ুর তাপ কমায় ও
চাপ বৃদ্ধি করে।
সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর তাপ-চাপের এই
পরিবর্তন আবার প্রভাবিত করে
পার্শ্ববর্তী উপকূলের তাপ-চাপ-আর্দ্রতা
ও আবহাওয়ার অন্যান্য নিয়ামককে।
এইভাবে সারা পৃথিবীতে, অক্ষরেখা ও
দ্রাঘিমারেখা বরাবর তাপ-চাপের
বণ্টনের মাধ্যমে বজায় থাকে আবহাওয়া
ও জলবায়ুর ভারসাম্য।
ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল
অর্গানাইজেশনের আবহাওয়াবিদেরা
বলছেন, গত কয়েক দশকে বিশ্ব উষ্ণায়নের
জেরে ব্যাহত হয়েছে ভারসাম্য এবং
প্রলয়ের চৌকাঠের দিকে প্রায় অর্ধেক
এগিয়ে গিয়েছি আমরা। চরম উদ্বেগের
বিষয় হল এই যে, এই মুহূর্তে যে দ্রুততায়
উষ্ণায়ন ঘটছে, চৌকাঠের দিকে বাকি
অর্ধেকটা পেরোতে আর মাত্র কয়েকটা
বছর।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে ১
ডিগ্রি। ২ ডিগ্রি হলেই আমরা পৌঁছে
যাব সেই ভয়ার্ত স্তরে, যেখান থেকে
মানব সভ্যতার আর কোনও ফেরার রাস্তা
থাকবে না।

আমার
সাইট
একবার ঘুরে আসবেন

2 thoughts on "পৃথিবীর প্রলয় ঘণ্টা বাজতে আর বেশি দেরি নেই!"

  1. Azim Ahmed Contributor says:
    proloy ghontar somoyta apnar na bolleo cholbe.
  2. MD.NOBEL Contributor says:
    aziz tomar matha kharap hoise… মাথায় কেরোসিন তেল দাও।।। আল্লাহই জানেন কবে এসব হবে

Leave a Reply