সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে জব পাওয়ার উপায় ২০২৩


বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরি যেন এক সোনার হরিণের নাম। বিশেষ করে ব্যাংকে চাকরি পাওয়াটা, বিসিএস ক্যাডার হয়ে যাওয়ার চাইতে কম কিছু নয়। সেই সাথে অনেকের কাছে ব্যাংকার হওয়াটাও কিন্তু এখন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনি যদি google এ প্রতিনিয়ত খুঁজেন কিভাবে সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে জব করা যায়। সেই ব্যাপারে তাহলে আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই।  আর এর কারণ হলো, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন- ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য নিম্নতম কত পয়েন্ট প্রয়োজন? ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়বস্ত। তো চলুন বেশি সময় নষ্ট না করে আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক।

তো চলুন প্রথমেই জেনে নেই কিভাবে ব্যাংকে চাকরি পাবেন সেই সম্পর্কে শর্টলি কিছু উপায়: 

১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: 

ব্যাংকে চাকরি পেতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ব্যাংক চাকরিতে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন হতে পারে, সাথে সম্প্রসারণ পাওয়া সাপ্তাহিক চাকরি শিক্ষা (ব্যাংকিং কোর্স) এবং অগ্রাধিকার যোগ্যতা যেমন সিএফএ (চাৰ্টাৰ্ড ফাইনান্সিয়াল এ্যানালিস্ট) প্রয়োজন হতে পারে। তাই অবশ্যই এই যোগ্যতাগুলো আগে অর্জন করুন, এরপর ব্যাংকে চাকরি করার কথা ভাবুন।

২. প্রস্তাবনা: 

আপনার ব্যাংক জব পেতে দক্ষতা এবং প্রস্তাবনার ব্যাপারটিও কিন্তু খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি আপনার উপর নির্ভর করে যে কোন বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্কিল এবং জ্ঞান প্রয়োজন করতে পারে, চলুন নিষে থেকে সেই গুলো জেনে নিই।

যেমন:- 

  • আর্থিক ব্যানালিসিস
  • ব্যাংক ব্যবস্থাপনা
  • কাস্টমার সার্ভিস
  • সেলস এবং মার্কেটিং
  • এবং অন্যান্য।

উপরের লিস্টে থাকার যে কোন একটি জ্ঞান এবং স্কিল অবশ্যই অবশ্যই আগে নিজের মধ্যে অর্জন করে নিন। এতে আপনার ব্যাংকে চাকরি পেতে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ব্যাংক পরীক্ষা: 

ব্যাংক চাকরির জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি পরীক্ষা অনুষ্ঠান করা হতে পারে, এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে সাধারণভাবে যেই পরীক্ষাগুলি সবচাইতে বেশি দেখা যায় তা হল:- লিখিত পরীক্ষা, গণিত পরীক্ষা, সাধারণ জ্ঞান, এবং ইত্যাদি আরও অনেক জিনিস থাকতে পারে।

তাই এই বিষয়গুলো আপনার মাথায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন বিশেষ করে ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

৪. অভিজ্ঞতা:

প্রাথমিকভাবে ব্যাংকে চাকরি পেতে হলে যে অভিজ্ঞতাগুলো খুব বেশি দরকার পড়ে তা হল:- সাম্প্রতিক স্নাতক ডিগ্রি সহ উপলব্ধ। এটি স্টুডেন্ট এথলীট, ইন্টার্নশিপ, অথবা অন্য সম্পর্কিত চাকরির মাধ্যমে প্রাপ্ত হতে পারে।

৫. নেটওয়ার্কিং: 

আরেকটি কথা মনে রাখবেন , সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ব্যাংকে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই সম্পর্ক এবং নেটওয়ার্কিং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অবশ্যই ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করতে এবং ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ অথবা মূল্যবান অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত করতে আপনাকে অনেক অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারে।

৬. চাকরির আবেদন এবং ইন্টারভিউ: 

চাকরির জন্য আবেদন করা এবং ইন্টারভিউ এই বিষয়টিও খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। ব্যাংক চাকরির জন্য আবেদন করার সময় সাক্ষরিক এবং নিবন্ধন পূর্ণ আবেদন প্রস্তুত করার চেষ্টা করুন। এতে করে, ইন্টারভিউ স্টেজে যাওয়ার সময় উচ্চ মানের প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করে। তাই নিশ্চয়ই আপনি স্বাক্ষরিক এবং নিবন্ধন পূর্ণ আবেদন প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করবেন।

আর একটি কথা সম্পূর্ণ সফলভাবে ব্যাংকে চাকরি পেতে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, সাক্ষরিকতা, ব্যক্তিগত উচ্চাধিকার, এবং নেটওয়ার্কিং স্কিল এই বিষয়গুলো কিন্তু খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আপনার জন্য। এছাড়াও, সময়ে সময়ে ব্যাংক চাকরির সুযোগের জন্য চাকরি পোর্টাল ও ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি জিনিস যদি আপনার মধ্যে রেডি থাকে তাহলে আপনি ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য একেবারে রেডি। এখন আপনাকে জাস্ট ব্যাংকে চাকরির জন্য এপ্লাই করতে হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন নিচে থেকে আরো কিছু বিষয়বস্তু জেনে নেওয়া যাক, যা আপনার ব্যাংকে চাকরি পেতে অনেকটাই উপকারে আসতে পারে।

ব্যাংকে চাকরির জন্য নিম্নতম কত পয়েন্ট এর প্রয়োজন হয়?

ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকের চাহিদা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। আর সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়াও কিন্তু অনেকটা স্বচ্ছ এবং সহজ। যেখানে আমরা দুর্নীতি মুক্ত ভাবে আমাদের পরীক্ষা গুলো দিয়ে, নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেতে পারি।

এইযে সরকারি ব্যাংকগুলো রয়েছে এখানে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আপনাদের রেজাল্ট কিন্তু অনেক বেশি ফ্যাক্টর। তো কত পয়েন্ট থাকলে আমরা পরীক্ষা দিতে পারব, এবং সেই সাথে কত পয়েন্ট থাকলে আমরা পরীক্ষা দিতে পারবো না, সেই বিষয়টি এই পোস্টটি পড়লে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।

সরকারি ব্যাংকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে:-

  • আপনার চার বছরের অনার্স এবং মাস্টার্স থাকতে হবে, সরকারি ব্যাংকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
  • আপনার রেজাল্টের ক্ষেত্রে সেকেন্ড ডিভিশন থাকতে হবে, থার্ড ডিভিশন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
  • শুধু যে থার্ড ডিভিশন আপনার অনার্স এবং মাস্টারের ক্ষেত্রে নয়, এই থার্ড ডিভিশন আপনার এইচএসসি এবং এসএসসির ক্ষেত্রেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
  • এইচএসসি এবং এসএসসির ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয় ৫. এর মধ্যে। এজন্য এখানে টু থেকে ২.৯ পয়েন্ট এর মধ্যে কে দ্বিতীয় শ্রেণী ধরা হয়। তাই এর মধ্যে যদি আপনার রেজাল্ট থাকে তাহলে এটিকে আমরা দ্বিতীয় শ্রেণি ধরবো। এবং এর মধ্যে আপনার পয়েন্ট থাকলে আপনি ব্যাংকে চাকরির জন্য পরীক্ষার দেয়ার জন্য এলিজিবল হবেন।
  • অনার্স এবং মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে ২.২৫ থেকে ২.৯৯ যেখানে ৪. পয়েন্ট স্কেলে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেটাকে দ্বিতীয় শ্রেণী ধরা হয়। এরকম পয়েন্ট যদি আপনার অনার্স কিংবা মাস্টার্সে থাকে তাহলে আপনি কিন্তু ব্যাংকে চাকরি করার জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন।

এ তো গেল সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এরকম যোগ্যতা থাকতে হবে আপনার। বেসরকারি ব্যাংকের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা ধরা বাধা নেই। তারা অনেক বেশি চাইতে পারে তারা সাবজেক্টওয়াই ও চাইতে পারে, তবে তারা ৩.৫০ এটা চেয়ে থাকে অনার্স মাস্টার্স এর রেজাল্ট। এবং তারা অনেক সময় এইচএসসি এবং এসএসসিতে ৫. অথবা ৪. এরকম এর মধ্যে চেয়ে থাকে।

আর হ্যাঁ এটি অবশ্যই তাদের ডিমান্ড এর উপর নির্ভর করবে, তারা কি চাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করবে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো সবচাইতে বেশি পরিমাণে তারা তাদের পোষ্টের ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন ধরনের সার্কুলার ছেড়ে থাকে। তো যারা সম্পূর্ণ বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর না বুঝলে কমেন্ট সেকশন তো আছেই।

শেষ কথা:

আমরা চেষ্টা করেছি ব্যাংকে চাকরি করার জন্য যে সমস্ত দক্ষতার প্রয়োজন , হয় বা যা দরকারী বিষয়বস্তু সে সমস্ত একই পোস্টের মধ্যে তুলে ধরতে। এরপরও যদি আপনার ব্যাংক জব সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে সেটি আপনি আমার কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। আপনার কমেন্টে আমি গুরুত্ব সহকারে দেখে রিপ্লাই করার চেষ্টা করব। আজকের মত আমি হৃদয় এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো দারুণ পোস্টে আপনাদের সঙ্গে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

কেউ (Google ) এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করা ওয়েবসাইট বিক্রি করতে চাইলে, আমার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো: আমার ফেসবুক আইডির লিংক

Leave a Reply