সৌরজগতে পৃথিবীর চেয়ে
প্রায় ১০ গুন বেশি ভরের
একটি সম্ভাব্য নতুন গ্রহের
সন্ধান পাওয়ার দাবি করছেন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা সম্ভাব্য ওই
গ্রহটির নাম দিয়েছেন
প্ল্যানেট নাইন।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট
অফ টেকনোলজির
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই
গ্রহটি নেপচুন গ্রহ থেকে
শত-শত কোটি মাইল দূরের
একটি কক্ষপথে পরিভ্রমণ
করছে। কম্পিউটার মডেল
থেকে তারা এই তথ্য
দিচ্ছেন। মার্কিন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ভাষায়, তারা খুব শক্তিশালী
প্রমাণাদি পেয়েছেন যার
দ্বারা বলা যায় যে এই
সৌরজগতে একটি নবম গ্রহ
রয়েছে। এবং বামন গ্রহ
প্লুটো থেকেও এর অবস্থান
অনেক অনেক দূরে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট
অফ টেকনোলজি বা
ক্যালটেকের একটি গবেষক
দল এসব তথ্য তুলে ধরছে।
তবে তারা বলছে, গ্রহটির
মতো কোন সরাসরি
পর্যবেক্ষণ এখনো পর্যন্ত
করা হয়নি। তবে
সৌরজগতের দূরবর্তী
বিভিন্ন বস্তুর চলাচল
বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা
এই সিদ্ধান্তে উপনীত
হয়েছেন। যদি প্রমাণ হয়
তবে ওই গ্রহটি হবে পৃথিবীর
চাইতেও ১০ গুন বড়। যদিও
কম্পিউটার মডেলের ওপর
ভিত্তি করে এখনো পর্যন্ত
এই দাবি করা হচ্ছে, তবে এই
গবেষণার একজন প্রধান
বিজ্ঞানী, কনস্টানটিন
বেটিজেন বলেন এই গ্রহের
অস্তিত্বের বিষয়ে তিনি
আত্মবিশ্বাসী।
গত ২০ বছরে সৌরজগতের
বাইরে গ্রহের অনুসন্ধানে
আমরা বেশ সফল হয়েছি।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে,
সবচেয়ে সাধারণ যে
গ্রহগুলো রয়েছে সেগুলো
আমাদের পাওয়া বস্তুর
মতোই, যার ভর প্রায় ১০টি
পৃথিবীর সমান। এটি বেশ
উত্তেজনার। গবেষকদের
হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে
সূর্যের থেকে সবচেয়ে দূরে
থাকা গ্রহ নেপচুনের চেয়েও
২০ গুন দূরের কক্ষপথ দিয়ে
চলাচল করছে নতুন এই
গ্রহ নেপচুনের দূরত্বও সূর্য
থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০
কোটি কিলোমিটার দুরে।
সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ
প্রায় বৃত্তাকার পথে
সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও,
সম্ভাব্য এই গ্রহটি
প্রদক্ষিণ করছে অনেক
বেশি উপবৃত্তাকার পথে এবং
সূর্যকে একবার পুরো
প্রদক্ষিণ করতে এর সময়
লাগে ১০ হাজার থেকে ২০
হাজার বছর। নতুন এই বস্তু
বা গ্রহটি কোথায় হতে পারে
সে সম্পর্কে ক্যালটেকের
বিজ্ঞানীদের এখনো
পর্যন্ত অস্পষ্ট একটি
ধারণা রয়েছে। তবে এটি
অনেকটা নিশ্চিত যে এখন
ওই গ্রহটিকে খুঁজে বের
করার জন্য নতুন করে চেষ্টা
শুরু হবে।
thanks