শিশুটির জন্ম গত বছরের আগস্টে। জন্মের পরই মাথার আকৃতি এবং মস্তিষ্কের ভেতরের গঠন ঠিক ছিল না তার। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অদ্ভুতদর্শন বিরল এই রোগটির নাম মাইক্রোহাইড্রোনেনসিফাইলিয়া। আর জন্মগত এই রোগে আক্রান্তরা সাধারণত তিন মাসের বেশি বাঁচে না। কিন্তু চিকিৎসকদের হতবাক করে দিব্যি বেঁচে আছে ‘অবাক শিশু’ টিনি জাক্সন। শুধু তাই নয়, তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশও হচ্ছে আর ১০টা সাধারণ শিশুর মতোই। চিকিৎসকরা টিনির এই বেড়ে ওঠাকে ‘অলৌকিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
টিনির প্রথম জন্মদিনে যুক্তরাজ্যের মিরর পত্রিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় ‘অবাক শিশুর’ মা ব্রিটানি জাক্সন জানান, জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন, বেশিদিন বাঁচবে না ও। কারণ ও যে মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত, তাতে মানুষ খুব কম দিনই বেঁচে থাকতে পারে। কারণ টিনির মস্তিষ্ক অন্যদের চেয়ে অনেকটাই ছোট এবং কার্যক্ষমতাও বেশ কম। শুনে আমরা খুব ভেঙে পড়েছিলাম। বিশেষ করে ওর বাবা ব্রান্ডন হাসপাতালের বারান্দায় বসে সারাক্ষণ কাঁদত। স্রষ্টার কাছে ওর জন্য প্রার্থনা করতাম আমরা। আমাদের সেই প্রার্থনা হয়তো শুনেছেন স্রষ্টা।
এক বছর পর এসে চিকিৎসকদের মতামত, একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পেরিয়ে যাওয়ার পর হয়তো আরো কিছুটা জীবনকাল পেতে পারে ‘অলৌকিক’ টিনি। তবে জন্মগত এই অসুখ পুরোপুরি সারার নয়। এ ছাড়া টিনির চিকিৎসার খরচও বেশ। ফলে তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় ‘অবাক শিশুটিকে’ বাঁচিয়ে রাখতে গণমাধ্যমের কাছে সাহায্য চেয়েছেন শিশুটির বাবা-মা।
ফেসবুকে আমাকে পাওয়া যাবে এখান থেকে