পরিসংখ্যান বলে, ক্রিকেটে
বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুনে এগিয়ে ভারত। আর
সেটা সব ফরম্যাটেই। তবে, সাম্প্রতি সময়ে
সেই ফাঁরাক অনেকটাই কমে এসেছে। ভারতের
সামনে এখন বাংলাদেশ বড় চ্যালেঞ্জে নাম।
আর তাই এখন দু’দলের ম্যাচ ছড়ায় উত্তেজনার
বারুদ। লড়াই চলে মাঠে এবং মাঠের বাইরে। এশিয়া
কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার
আগে এমনই কিছু ‘বিতর্ক’ ছড়ানো ম্যাচের দিকে
নজর দেয়া যাক।
শেবাগের ‘সাদামাটা বাংলাদেশ’
সেই ২০১০ সালের কথা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভারতের ওপেনার
বীরেন্দ্র শেবাগ সংবাদ সম্মেলনে
বাংলাদেশকে অতি সাদামাটা দল বলে বিতর্কের ঝড়
তোলেন। বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের হারাতে
পারবে না কারণ আমাদের ২০ উইকেট নেওয়ার
ক্ষমতা নেই।’ জবাবে সেই সময় বাংলাদেশ

কোচ জেমি সিডন্স বলেছিলেন, ‘শেবাগের
মাইক থেকে দূরে থাকা উচিত।’
নো-বল নিয়ে তোলপাড়
মার্চ ২০১৫, মেলবোর্নে ইতিহাসে
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট
পর্বে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই রোহিত শর্মার
আউট হওয়ার পরে আলিম দার নো বল দেয়ার
পরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশি
সমর্থকরা। একই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর আউট নিয়ে
সন্দেহর সৃষ্টি হয়। সেই ম্যাচের পরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর
প্রতিবাদে মিছিল পর্যন্ত হয়। বলা হয়, ভারত এবং
আম্পায়ার মিলে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। সেই
সময়ে আইসিসি সভাপতি, বাংলাদেশের মোস্তফা
কামাল হুমকি দেন, ঘটনার প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ
করবেন। ক্ষুব্ধ অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘যা
হয়েছে সেটা সবাই দেখেছে। আমি আর কী
বলব?’
মুম্তাফিজকে ‘ভদ্রলোক’ ধোনির ধাক্কা
গত বছরের জুনে ভারতের বাংলাদেশ সফরের
শুরু থেকেই যুদ্ধের মেজাজে ছিল বাংলাদেশি
সমর্থকরা। ভারতীয়দের ব্যাঙ্গ করে ভিডিও ছাড়া
হয়, ধোনিদের সিরিজ হারিয়ে গ্যালারিতে টিটকিরি—
মওকা মওকা; বিশ্বকাপের সময় যা ভারতের প্রচারে
ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রথম ওয়ানডে থেকেই
উত্তেজনা চরমে ছিল। যখন রান নিতে গিয়ে
বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে
প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মেরে বসেন ধোনি।
ভারত অধিনায়কের ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হয়।
মুস্তাফিজুরের ৫০ শতাংশ। আর চরম উত্তেজনার
সেই সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতে যায়।

Leave a Reply