বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট-বিশ্বের সমীহজাগানো শক্তি। একসময় যারা অবজ্ঞা করত তাদের মুখেই আজ বাংলাদেশের জয়গান। গত এক বছরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ আর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে মাশরাফির দল। অথচ বিস্ময়কর হলেও সত্যি, প্রায় ১০ বছর পর আজ ভারতের মাটিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পেলেও আজো ভারতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এখনো ভারতের মাটিতে কোনো টেস্টও খেলেনি লাল-সবুজের দল। অবশ্য সৌরভ-টেন্ডুলকারদের দেশে খেলারই বা কয়টা সুযোগ পেয়েছে! আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ার যুক্তিতে তো বাংলাদেশকে আজ পর্যন্ত আমন্ত্রণই জানায়নি ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই সর্বশেষ ভারতে কোনো প্রতিযোগিতায় খেলেছিল বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে। লঙ্কান ও ক্যারিবীয়দের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। তবে জিম্বাবুয়েকে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল। জয়পুরে অপরাজিত ১২৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে জয়ের নায়ক ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ভারতে ঐ একটি টুর্নামেন্টেই খেলেছে বাংলাদেশ। তার আগে অবশ্য দুটো টুর্নামেন্টে খেলেছিল। প্রথমবার ১৯৯০ সালের এশিয়া কাপে। পরেরবার ১৯৯৮ সালে ভারত ও কেনিয়ার সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ঐ টুর্নামেন্টেই কেনিয়াকে ছয় উইকেটে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়ের মধুর স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে কি তাই অচেনা কন্ডিশনে খেলার সমস্যায় পড়তে হবে? কিছুটা শঙ্কা থাকলেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এটাকে কোনো অজুহাত হিসাবে দাঁড় করাতে রাজি নন। নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাঁর আশাবাদ, ‘এটা সত্যি যে আমরা ভারতে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। তবে এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমাদের দলের দুয়েকজন ব্যতিক্রম ছাড়া ভারতের কন্ডিশন সবার কাছেই নতুন মনে হবে। তারপরও আশা করি আমরা ভালো খেলতে পারব।’
প্রথম প্রকাশিতঃ এখানে