এককথায় বলতে গেলে, বেশি গতির
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা। তবে
সেটা ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার হতে পারে।
কোথাও কোথাও সংযোগের গতি বাড়ানো
অসম্ভবের কাছাকাছি হতেও পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট
অব টেকনোলজির (এমআইটি) কম্পিউটার
সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ল্যাব (সিএসআইএল) এবং
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক
যৌথ গবেষণা এ ক্ষেত্রে দারুণ এক বিপ্লব
এনেছে। কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই,
বাড়তি ঝামেলায় না গিয়েই এই প্রযুক্তির
মাধ্যমে স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ব্রাউজারে
তথ্য নামানোর কাজ প্রায় ৩৪ শতাংশ
পর্যন্ত দ্রুততর করা সম্ভব হবে। নতুন এই
প্রকল্পের নাম ‘পোলারিস’।
ব্রাউজারে ওয়েবসাইট দ্রুত দেখার জন্য
সাধারণত ডেটা সংকোচন প্রযুক্তির
সাহায্য নেওয়া হতো। উদাহরণ হিসেবে
যায়। তবে এমআইটি এবং হার্ভার্ডের
বিজ্ঞানীদের নতুন এই প্রযুক্তি
পোলারিসে একই কাজ ব্যতিক্রম উপায়ে
করার চেষ্টা করেছেন।
যখন একটি ব্রাউজার দিয়ে কোনো ওয়েব
পাতা খোলা হয়, এটা তখন শুধু বড় আকারের
ডেটা নামায়, তা না। ভেতরে-ভেতরে
অদৃশ্য অনেক কাজ যেমন বিভিন্ন উৎস
থেকে ছবি, শব্দ, লিংক, বিজ্ঞাপন সংগ্রহ
করে এক পাতায় দেখায়। এই কাজগুলো
করতে অনেক কম্পিউটার সার্ভার, ডেটা
সেন্টার ঘুরে আসতে আসতে অনেক সময়
লেগে যায়। এই কাজটিকেই সহজ এবং অল্প
সময়ে করে পোলারিস। বারবার তথ্যের
জন্য এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি কমিয়ে এবং
সুন্দরভাবে সব তথ্য একসঙ্গে করে, অনেক
কম সময়ে তথ্য খুঁজে আনার কাজটি করে।
পোলারিস গবেষণাপত্রের সহ-লেখক
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
জেমস মিকেনস বিষয়টি একটি ভ্রাম্যমাণ
ব্যবসায়ীর সঙ্গে তুলনা করে সুন্দরভাবে
ব্যাখ্যা করেছেন। যখন আপনি কোনো
শহরে বেড়াতে যান, ফেরার রাস্তায় আরও
কিছু শহর দেখে যাওয়ার কথা মনে হতে
মানচিত্র আগে থেকেই দেখিয়ে দেয়, তবে
কাজটা সহজে করার পরিকল্পনা আগে
থেকেই করে নিতে পারবেন। ওই মানচিত্র
ছাড়া কাজটি আপনি ঠিকই করতে পারবেন,
তবে সময়টা বেশি লাগতে পারে।
পোলারিস এই মানচিত্র দেওয়ার কাজটা
করবে। পোলারিস প্রযুক্তিটি মোবাইল
কিংবা ল্যাপটপে যেকোনো ব্রাউজারে
ব্যবহার করা যায় সহজে। কখন এটি কাজ
করছে সেটাও জানতে হয় না। শুধু দেখা
যাবে, প্রযুক্তিটি ব্যবহারের পর আগের
থেকে অনেক দ্রুত ব্রাউজারে তথ্য
নামানো যাচ্ছে।