টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে
বাংলাদেশের গ্রুপটা শুধু কঠিন নয়, ভীষণ
কঠিনই বলতে হবে। গ্রুপে স্বাগতিক
ভারতের পাশাপাশি আছে অস্ট্রেলিয়া,
পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো
শক্তিশালী দল। কঠিন এই বাধাগুলো
পেরিয়ে শেষ চারের স্বপ্ন দেখাটা কঠিন।
প্রথমেই ছিল পাকিস্তান-বাধা। ইডেনে
সেই বাধা পেরোতে পারেনি
বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে হেরে
গেছে ৫৫ রানে। কিন্তু মাশরাফিদের এই
ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে
না। সামনেই আবার এসে পড়ছে নতুন
চ্যালেঞ্জ। ২১ মার্চ বেঙ্গালুরুর
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের
প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন
করে তুলতে পারে বেঙ্গালুরুর ন্যাড়া
উইকেট। পাকিস্তানের কাছে হারের পর
রুক্ষ বাস্তবতাকেই যেন তুলে ধরলেন
মুর্তজা, ‘গ্রুপে চারটি দলই আছে যারা
সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল খেলবে।
আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বিন্দ্বিতার
আশাই করছি। আমাদের যে খেলাটা
খেলার কথা ছিল, দুর্ভাগ্য সেটার কিছুই
করতে পারিনি আজ। আমাদের জন্যে কঠিন
ও ভিন্ন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে
সামনে। ভারত ও নিউজিল্যান্ড খুব ভালো
ফর্মে আছে। ভারত শেষ ১২ ম্যাচের ১০টিই
জিতেছে। অস্ট্রেলিয়া তো সব সময়ই কঠিন
দল।’
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তুলে
ফেলেছিল ১ উইকেটে ৫৫ রান। হারের
পেছনে প্রথম ৬ ওভারে খরুচে বোলিংকে
দায়ী করলেন মাশরাফি, ‘পাকিস্তানের
বোলিং আক্রমণ অনুযায়ী রানটা বেশি
হয়ে গিয়েছিল। আমরা প্রথম ছয় ওভার
থেকেই খেলাটা ধরতে পারিনি। ওরা
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনায়
সাফল্য পেয়েছে। পরে আমরা
পরিকল্পনামতো কাজ করতে পারিনি।’
গত এপ্রিলের পর আবারও টি-
সাকিব আল হাসান। যেকোনো সংস্করণে
গত জুনে ভারত সিরিজের পর এটি তাঁর
প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের
দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে
প্রায় ১৫০ রান তোলা গেছে। হারের
মধ্যেও তাই কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে
পাচ্ছেন অধিনায়ক, ‘সাকিব দারুণ ব্যাটিং
করেছে। আমরা ১৫০-এর কাছাকাছি রান
করেছি, খুব একটা খারাপ না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে এটা
কাজে লাগলেই হয়!