তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তথ্যভান্ডার গুগল। পুরো মহা বিশ্বের সকল বিষয়ই যেন গুগলের জানা। যে বিষয়ই খোঁজা হোক না কেন মুহূর্তের মধ্যে তাঁর উত্তর দিয়ে দেয় গুগল। তবে সব বিষয়ই গুগলে খোঁজা ঠিক নয়।
আমার ফেসবুক পেজে লাইক দিন
এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যা গুগলে খুঁজলে বিব্রত হতে হয়। সংবাদ ও ছবি শেয়ারের ওয়েবসাইট রেডিট এমনই নয়টি বিষয়ের কথা জানিয়েছে। ইংরেজি এই শব্দগুলো স্বাভাবিক মনে হলেও গুগলে খুঁজলে ব্যবহারকারীকে প্রচণ্ড বিব্রত হতে হবে। সঙ্গত কারণেই শব্দগুলো গুগলে খুঁজতে নিষেধ করা হলো।
মাউথ লার্ভা
এক রেডিট ব্যবহারকারী গুগলে ইংরেজি ‘মথ লার্ভা’ খুঁজতে গিয়ে করে প্রথম শব্দটি লিখেছিল মাউথ। এতেই চলে এলো মানুষের মুখের বিচিত্র সংক্রমণ রোগের কিছু ছবি। ছবিগুলোর চিকিৎসাবিদ্যার জন্য স্বাভাবিক হতে পারে তবে সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু।
ক্যালকুলাস ব্রিজ
শব্দটি শুনে অঙ্কের কোনো বিষয় মনে হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ক্যালকুলাস ব্রিজ দাঁতের চিকিৎসার বিষয়। শব্দটির মাধ্যমে দাঁতের মাড়ি কৃত্রিমভাবে যোগ করা বোঝায়। বিষয়টি শব্দের বর্ণনায় নির্মল মনে হলেও ছবিতে বেশ বীভৎস।
ফোর্নিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডোর বাস্কেটবল দলের এক খোলোয়াড়ে ডাক নাম এটি। তবে গুগলে কখনোই এটি খুঁজবেন না। কারণ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় যৌনাঙ্গের মাংস পচে যাওয়া রোগ। তাই গুগলে ইংরেজিতে শব্দটি খুঁজলে এমন কিছু বীভৎস ছবি আসবে যা দেখে যেকারো বমি চলে আসতে পারে।
গুগল
গুগল শব্দটি গুগলে খোঁজা নিরর্থক। শব্দটি সবসমই গুগলের পেজ নিয়ে আসে যেখানে থাকবে আরেকটি খোঁজার ব্যবস্থা। এ যেন অনন্তকাল ধরে এক ঘুর্ণন।
ক্রোকোডিলনা কুমির নয়। কুমিরের ইংরেজির বানানের সি এর স্থলে ‘কে’ হবে। রাশিয়া ও ইউক্রেনে প্রচলিত এক ধরনের নেশাদ্রব্য এই ক্রোকোডিল।
এটি তৈরিতে এমন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয় যা মানুষের ত্বক পচিয়ে ফেলে। তাই গুগলে ইংরেজি ক্রোকোডিল সার্চ দিলে ত্বক পচে যাওয়ার বর্ণনা ও ছবি আসবে। গুগলে এই শব্দ খোঁজা থেকে সাবধান।
ফ্লেশ-ইটিং
কোনো খোঁজাখুঁজিতে ফ্লেশ-ইটিং শব্দটি ব্যবহার করা থেকে সাবধান। এখানে ফ্লেশ অর্থ হলো মানুষের মাংস। তাই ফ্লেশ-ইটিং শব্দটি গুগলে খোঁজা হলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া বীভৎস ছবি দেখানো হয়। এর বাইরেও বীভৎস কিছু ছবি চলে আসে।
অসুস্থতার জন্য দায়ী রোগ
রোগে অসুস্থ হয়েছেন, ডাক্তারের কাছে যান। রোগ সম্পর্কে জানতে গুগলে খুঁজতে যাবেন না। রোগটির এমন ছবি ও বর্ণনা পাবেন যা দেখে আরেকবার অসুস্থ হয়ে পড়াও অস্বাভিক নয়।
নিজের ইমেল ঠিকানা
নিজের ইমেলই ঠিকানা দিয়ে কখনো গুগলে খোঁজ দিয়েছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সঙ্গে মেইল ঠিকানার যোগাযোগের বিষয়টি চোখে পড়ে। রেডিটের অনেক ব্যবহারকারী ইমেলই ঠিকানার যোগাযোগ দেখে নিজেরাই বিস্মিত হয়েছেন। এমন যোগাযোগ থেকে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে এমন ভয় পেতে পারেন অনেকে।
হারলেকুন ইচিথিওসিস