গ্রাহকদের ঠকাতে সিরিঞ্জ দিয়ে গলদা চিংড়ির
মাথার খোলসের ভেতরে এক ধরনের সাদা জেলি
ঢুকিয়ে বাড়ানো হতো মাছের ওজন। এরপর বরফের
মধ্যে রাখা হলে সেই জেলি মাছের সঙ্গে মিশে
যেত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন
জায়গা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এমন দুই হাজার
কেজি গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। পরে আজ শুক্রবার
এগুলো মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে.
এনায়েত উল্লাহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর
চাঁদপুর মাছঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে
পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০টি বাক্স ভর্তি দুই হাজার
কেজি গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। ওজন বাড়ানোর
জন্য একেকটি চিংড়িতে ১০০ থেকে ২০০ গ্রামের
মতো জেলি ঢোকানো হতো। আর জেলির রং একেবারে
মাছের গায়ের রঙের মতো। তাই বোঝার কোনো
উপায় নেই। এসব চিংড়ি খুলনা থেকে বিভিন্ন
বাসে করে চাঁদপুরে আনা হয়। এই চিংড়ির মূল্য
আনুমানিক ১০ লাখ টাকা।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর মণ্ডলের
নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুটেস লরেন
চিরান শহরের ইচলী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর
পাড়ে এই চিংড়িগুলো মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস
করেন।
জেলি পরীক্ষার জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তার
মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে বলে জানান
জেলা প্রশাসক।
যুক্ত হন বৃহত্তম সাইন্স ওয়েব