কোন রান না দিয়েই ৬ উইকেট!
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল
(সিএবি) পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বিভাগ
ক্রিকেটে ঘটলো ‘অবিশ্বাস্য’ এক ঘটনা।
ভবানীপুর ক্লাবের অফ স্পিনার হৃতিক চ্যাটার্জি
কোন রান না দিয়েই নিলেন ছয় উইকেট। আর
তাতে প্লে অফ ম্যাচে মোহামেডান
স্পোর্টিং ক্লাব হারলো ২৫৩ রানের বড়
ব্যবধানে।
হৃতিক তার প্রথম ওভারের প্রথম, তৃতীয় ও
পঞ্চম বলে উইকেট পান। দ্বিতীয় ওভারের
প্রথম ও ষষ্ঠ বলে ফের আঘাত হানেন।
তৃতীয় ওভার বল করতে এসে দ্বিতীয়
বলেই ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষের শেষ
ব্যাটসম্যানকে।
বলাই বাহুল্য, মোট ১৪ টি ডেলিভারিতে কোন
রান দেননি হৃতিক। আর দিন শেষে বোলিং
ফিগারটাও তার অবিশ্বাস্য – ২.২-২-০-৬!
প্রথম শ্রেনির ম্যাচে ভবানীপুর প্রথমে
ব্যাট করে অল আউট হওয়ার আগে করেছিল
৮৩.৫ ওভারে ২৯০ রান। জবাবে হৃতিকের
ঘূর্ণিতে মাত্র ১৩.২ ওভারে অল আউট হওয়ার
আগে মোহামেডান করে মোটে ৩৭ রান।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে হৃতিক
২৩ বছর বয়সী হৃতিক মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
২০১৩-১৪ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলে তার
অভিষেক হয়। সেবার খেলেছেন মোটে
তিনটা ম্যাচ। এবার পারফরম্যান্সের জোরে
ফের স্বপ্ন দেখছেন দলে ফেরার।
ব্যাটিংয়ে শচিন টেন্ডুলকার ও বোলিংয়ে
ইংল্যান্ডের গ্রায়েম সোয়ানকে আদর্শ মানা
হৃতিক বলেন, ‘সব কিছু এতটা ভালো মত
হয়েছে যে, এর চেয়ে দারুণ কিছু আর
হতে পারতো না। আশা করি আমি এটা ধরে
জিততে পারবো। আশা করি, একদিন জাতীয়
দলেও খেলবো।’
যদিও প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে পশ্চিম বঙ্গে
এটা সেরা বোলিং ফিগার না। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে
কোন রান না দিয়ে সাতটা উইকেট
পেয়েছিলেন মিডিয়াম পেসার শ্যাম সুন্দর
ঘোষ।