গত বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম
নিবন্ধন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি) নিবন্ধনের জন্য ৩০
এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে
দেয়।
বিটিআরসির তথ্যমতে, দেশে
প্রচলিত মোবাইল অপারেটরগুলোর
মধ্যে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩
কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার। সর্বশেষ
তথ্য অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার
পর্যন্ত মোট সিম নিবন্ধন হয়েছে ৬
কোটি ৩৫ লাখ। বাকি রয়েছে
প্রায় ৭ কোটি ২ লাখ। সিম
নিবন্ধনের জন্য আর সময় আছে ৫
দিন।
সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম
বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা
অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের
মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে
সিম নিবন্ধন শেষ করতে হবে। এর
মধ্যে যেগুলোর নিবন্ধন হবে না,
সেগুলোর গ্রাহককে নিবন্ধনে
বাধ্য করতে কয়েক ঘণ্টা করে সিম
বন্ধ ও এসএমএস দিয়ে সতর্ক করা হবে।’
এরপরও নিবন্ধন না করলে ওই সব সিম
বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন
প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য, শেষ সময়ে এসে
নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা
প্রতিদিনই বাড়ছে বলে জানান
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক
পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ
না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে
না। পাশাপাশি চলছে পুরোনো
সিমের পুনর্নিবন্ধন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব
ফয়জুর রহমান চৌধুরী সিমের
অপব্যবহার ঠেকাতে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে
পুনর্নিবন্ধনে জোর দেন। তিনি
বলেন, ‘সিম অপব্যবহারের শিকার
হয়েছেন অনেকে। একটি গোষ্ঠী
বা পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে
এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পক্ষে সবাই।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান
শাহজাহান মাহমুদ বলেন,
‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে
যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা
দেশ ও জনগণের শত্রু। আঙুলের ছাপ
সংরক্ষণ করা হচ্ছে- এ ধারণা ভুল।
আমরা গ্রাহককে নিরাপত্তা
দিতে চাই, এই অপপ্রচারে কান না
দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিম
নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করুন।’
এদিকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে
পুরোপুরি নিবন্ধন শেষ হওয়া নিয়ে
আশঙ্কা কাজ করছে বিভিন্ন
মোবাইল অপারেটর কোম্পানির
মাঝে। যদি সরকার সময় না বাড়ায়
তবে বেশ কিছু সিম বন্ধ হয়ে যাবে
বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অফ
এক্সটারনাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ
তালাত কামাল বলেন,
‘হাইকোর্টের রিটের পর নিবন্ধন
নিবন্ধন অনেক গুণে বেড়েছে।
আমাদের প্রায় ৫ কোটি ৬০ লাখ
গ্রাহক রয়েছে। সিম নিবন্ধনের জন্য
প্রায় ৫৬ হাজার বুথ রয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ৩ কোটি গ্রাহক
নিবন্ধন করেছে। প্রায় আড়াই
কোটির ওপরে এখনো বাকি
রয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে
সম্পূর্ণ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে
না।’
রবির ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম
কবির বলেন, ‘সরকারের এ মহান
উদ্যোগ সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আমাদের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ
গ্রাহক রয়েছে। ইতিমধ্যে
অর্ধেকের বেশি গ্রাহক সিম
নিবন্ধন করেছে। এ প্রক্রিয়া চালুর
পর থেকে অনেকেই অতিরিক্ত
ব্যবহৃত সিম বন্ধ করে অতি
প্রয়োজনীয় সিমটি নিবন্ধন করছে।
যার কারণে কিছু গ্রাহক কমবে বলে
ধারণা করা হচ্ছে। তবে সিম
নিবন্ধনের জন্য আরো ৫ দিন বাকি
আছে, এর মধ্যে সম্পূর্ণ নিবন্ধন
কার্যক্রম শেষ হবে না।’
6 thoughts on "৭ কোটির বেশি সিম নিবন্ধন এখনো বাকি"