mysmsbd_e077e1a544eec4f0307cf5c3c721d944

অদ্ভুত পৃথিবীর অদ্ভুত সব মানুষগুলো আবার অদ্ভুত তাদের আচরন। পৃথিবীর কোথাও যখন খুন, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি চলছে পৃথিবী অন্যকোথাও দেখা যায় ঠিক এর উল্টো ঘটনা।

শরৎচন্দ্রের মহেশ গল্পের কথা নিশ্চই মনে আছে আপনাদের ? সেখানে গফুর খড় জোগাড় করতে পারেনি পালিত পোষ্য মহেশের জন্য। মহেশের প্রতি অনাচারের প্রতিকারের ভার দিয়েছিলেন উপরওয়ালার প্রতি।

সেটা ছিল গল্প, বাস্তবের মাটিতেও রয়েছে গফুরের ন্যায় পশুপ্রেমের নিদর্শন। তবে সেটা মাত্র একজন ব্যক্তি বা পরিবারের নয়। সমগ্র একটা উপজাতি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে মানব প্রেমে লালন-পালন করেন হরিণছানাদের। মহিলারা নিজেদের স্তন দুগ্ধও খাওয়ান পোষ্য হরিনছানাকে।

ভারতের রাজস্থানে এক গ্রামীণ এলাকায় বিষ্ণৈ উপজাতির বসবাস। ওই উপজাতিদের মধ্যেই রয়েছে মানুষ ছাড়াও সমগ্র জীবকুলের মধ্যে মানব প্রেমের রীতি। হিন্দু দেবতা জাম্বেশ্বরের নির্দেশ মেনে এই রীতি চলে আসছে পঞ্চদশ শতক থেকে। জাম্বেশ্বরের ২৯টি নিয়মের মধ্যে হরিণছানাদের সেবা করা একটি অন্যতম।

সেই প্রথা মেনেই নিজের গর্ভের সন্তানদের সঙ্গে বাড়ির পোষ্য হরিণছানাদের নিজের স্তনদুগ্ধ দেন বিষ্ণৈ উপজাতির মহিলারা। বছর ৪৫-এর মাঙ্গি দেবী বিষ্ণৈ বললেন, “বাড়ির হরিণছানারা আমার সন্তানতুল্য। পরিবারের একজনের মতোই আমি অদের খেয়াল রাখি।”

২১-এর রোশনী বিষ্ণৈ এবার জানালেন যে তিনি হরিণছানাদের সঙ্গেই খেলতে খেলতে বড় হয়েছেন। হরিণরাই তাঁর ভাই-বোনের মতো। পোষ্য হরিণগুলি বিষ্ণৈ উপজাতির ভাষাও বুঝতে পারে বলে দাবি

 

>>>আরও দেখুন

Leave a Reply