ফতুল্লায় আজ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে
মুখোমুখি
হয় মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ও মাহমুদুল্লাহর
শেখ জামাল। এই ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে
কলাবাগানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান শেখ
জামাল কাপ্তান মাহমুদুল্লাহ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তরুণ ওপেনার
জশিমুদ্দিন ও সাদমান ইসলাম ওপেনিং জুটিতে ৩০ রান
যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। সাদমান ১৭ রানে
সোহাগ
গাজির বলে আউট হলেও তিন নম্বরে নামা
হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সাথে জুটি গড়েন জশিম।
এই জুটি দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে ৭১ রান
যোগ করে। একপ্রান্ত থেকে ভালো
খেলে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন

ওপেনার জশিমুদ্দিন। কিন্তু ৪৫ রান করে আরাফাত
সানির বলে রান আউট হন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা
মাসাকাদজা।

তাসামুল উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে
পারেননি। কিন্তু এরপর থেকে ফতুল্লায় শুরু হয়
মাশরাফি ঝড়। তাসামুলের বিদায়ে ক্রিজে এসে
শুরু
থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকে মাশরাফি।
একের পর এক ছয়ে মাত্র ৩৫ বলে নিজের
অর্ধশত রান তুলে নেন কলাবাগানের অধিনায়ক।
সেখানেই থামলেন না। এর পরের ১৫ বলে
নিজের প্রথম লিস্ট এ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান
মাশরাফি।

ছয় মেরে সেঞ্চুরি করে ইনিংসের ৪৯ তম
ওভারে শফিউলের বলে মার্শালের হাতে ক্যাচ
দেন মাশরাফি। ৫১ বলে ১০৪ রানের এক
অতিমানবীয় ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন নড়াইল
এক্সপ্রেস।
১১টি ছয় ও ২টি চারের সাজানো ছিল মাশরাফির

ইনিংস।

মাশরাফির বিদায়ে আরেক প্রান্ত থাকা শরিফুল্লাহ
ব্যাটে ভর করে ইনিংসের শেষে কলাবাগানের
সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১৬ রান ৭ উইকেটের বিনিময়ে।
শেখ জামালের হয়ে সোহাগ গাজি ও রিয়াদ দুটি
করে উইকেট শিকার করেন। জয়ের জন্য
শেখ
জামালের প্রয়োজন ৩১৭ রান।

Leave a Reply