বলিউডের আলোচিত চলচ্চিত্র
রা.ওয়ান’র বিখ্যাত গান ‘ছাম্মাক ছাল্লো’।

সিনেমাটি মুক্তির পর সে বছর গানটি
সবচেয়ে বেশি প্রচারিত গান হওয়ার
খ্যাতি অর্জন করেছিল। শুধু তাই নয়, এই
গানের কস্টিউম এবং প্রপসগুলোও
দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম
হয়েছিল। বিশেষ করে কারিনার পরনের
লাল শাড়ি। কারুকাজখচিত শাড়িটি ফ্যাশন
সচেতন দর্শকদের মধ্যে আলাদাভাবে
সাড়া ফেলেছিল।

এ তো গেল একটি গানের কথা। কিন্তু
একটি সিনেমায় অনেক চরিত্রের
উপস্থিতি থাকে। তারা প্রত্যেকে
সিনেমায় প্রয়োজন অনুযায়ী পোশাক
ব্যবহার করেন। চিত্রনাট্য অনুযায়ী
দৃশ্যে দৃশ্যে পরিবর্তন করা হয়
পোশাক। সিনেমা নির্মাণ শেষ হলে
সেই পোশাকগুলো দিয়ে আসলে
কী করা হয়? এ তথ্য

সিনেমাপ্রেমীদের অনেকেরই
অজানা। বলিউড সিনেমাসংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে
জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে।
এ নিয়েই সাজানো হয়েছে এই
প্রতিবেদন।

এক. সিনেমার শুটিং শেষ হলে
প্রোডাকশন হাউস কস্টিউমগুলো
বাক্সবন্দি করে। সম্ভব হলে
পরবর্তীতে অন্য কোনো
প্রোডাকশনে কাজে লাগায়।

দুই. সব কস্টিউম সমান নয়। কিছু পোশাক
দৈনন্দিন জীবনেও ব্যবহার করা হয়। কিছু
চিত্রনাট্যের আবদার মেনেই তৈরি। আবার
কিছু এতটাই উদ্ভট যে, সেগুলো
বাক্সবন্দি করা ছাড়া অন্য কোনোভাবে
আর ব্যবহার করা যায় না।

তিন. কোনো কোনো কস্টিউম
অভিনয়শিল্পীরা পছন্দ করেন। সে
ক্ষেত্রে তিনি সেটা কিনে নেন।
কখনো আবার ডিজাইনার নিজেই তার
ডিজাইন করা পোশাকটি নিয়ে যান। সিনেমা
হিট হলে ডিজাইনার সেই পোশাক
নিজের বিজ্ঞাপন হিসেবেও ব্যবহার
করেন।

চার. টেলিভিশন সিরিয়ালের ক্ষেত্রে
শাড়ি-লেহেঙ্গা ইত্যাদি একাধিকবার ব্যবহার
হয়। একাধিক সিরিয়ালে বার বার একই
পোশাক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর
অন্যতম কারণ বাজেট। খরচ বাঁচাতেই
মূলত এটা করা হয়।

পাঁচ. অনেক পোশাক নিলামে তোলা
হয়। স্যুভেনির হিসেবে সেগুলোর
সংগ্রহ-মূল্য রয়েছে। নিলাম থেকে
প্রাপ্ত অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দান
করে দেয়া হয়। নিলাম করে থাকে
সাধারণত প্রোডাকশন হাউজ।

2 thoughts on "সিনেমার শুটিং শেষে পোশাকগুলো কোথায় যায় ?"

Leave a Reply