নতুন নতুন

.
.
সকল নতুন টিপস
.

দোকানে সাজানো তরতাজা বাহারি সব ফলের দিকে তাকালেই মনে হয় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু মনের ভেতর থাকা ফরমালিন আতঙ্ক মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। কেউ কেউ সে ভয়কে উপেক্ষা করেন বটে, তবে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়াকে নিশ্চিত করেন। সাদা পাউডারের মতো দেখতে ফর্মালডিহাইড পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ফর্মালিনের জলীয় দ্রবণকে ফর্মালিন হিসাবে ধরা হয়।

ফর্মালিন সাধারনত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রঙ, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে। মানবদেহের জন্য এই মিথানল খুব ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। ফলে দুটি উপাদানই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অথচ ক্ষতিকারক এই উপাদান বর্তমানে দেদারসে ব্যবহার হচ্ছে মৌসুমী ফল সংরক্ষণে।

ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে কোষ ধ্বংস করে। দীর্ঘদিন ধরে ফরমালিনযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ নানা রোগে ভোগাতে পারে। শরীরে উপস্থিত এসব রাসায়নিক পদার্থ ধীরে ধীরে লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেনকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়। গর্ভবতী মা আর শিশুদের জন্য ফরমালিনযুক্ত খাবার বেশি ক্ষতিকারক। ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যানসার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ ব্লাড ক্যানসারও হতে পারে। অর্থাৎ মৃত্যু অনিবার্য।

আসছে ফলের মাস জৈষ্ঠ্য। দেশীয় নানা ফলের রসে মন ডুবাতে উন্মুখ হয়ে থাকে মন। সুস্বাদু সেসব ফলের সঙ্গে আসে ফরমালিনের ত্রাশ। তাই বলে কি লোভনীয় এসব ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন? মোটেও না। কিছু সচেতনতা থাকলে এসব ফল খাওয়া যাবে নির্ভয়ে। আর তাই-

– বাজার থেকে আম বা লিচু যে ফলই আনুন না কেন, খাওয়ার আগে ধৈর্য্য ধরুন এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশি সময়। এই সময় জুড়ে ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ফরমালিনের মাত্রা কমবে ৬১শতাংশ। মনে রাখতে হবে লিচুর রঙ টকটকে লাল বা মেজেন্টা করতে গাছেই রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। তাই গাঢ় রঙের এসব মনোমুগ্ধকর লিচু না কেনায় ভালো।

– লবণাক্ত পানিতে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা প্রায় ৯০শতাংশ কমে যায়।

– এক লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম ভিনেগার মিশিয়ে যেকোনো ফল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।

– খাওয়ার আগে ১০ মিনিট হালকা গরম লবণ মিশ্রিত পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
.

নতুন ডিজান ওয়েব নতুন নতুন পোস্ট দেখুন
.

3 thoughts on "ফলকে ফরমালিনমুক্ত করার সঠিক উপায়"

  1. ANIK Author says:
    Thaknks for this good post 🙂

Leave a Reply