ফেসবুকে প্রেম। তবে সচরাচর যেমনটা
শোনা যায়, তেমনটা নয়। প্রেমের কাহিনিটা
এক্কেবারে অন্য রকম। প্রেমিকার বাস
সুইজারল্যান্ডে, আর প্রেমিক থাকেন সুদূর
তিউনিশিয়ায়।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা
হয়, প্রেমিকার শরীরের চামড়া বয়সের কারণে
এখন অনেকটাই কুঁচকে গেছে। চুলে
ধরেছে পাক। সারা শরীরের বলিরেখা জানান
দিচ্ছে ৭১টা বসন্ত পেরিয়ে এসেছেন তিনি। আর
প্রেমিক ২১ বছরের তরতাজা যুবক। সবে
কৈশোর থেকে উদ্দাম যৌবনের কোঠায় পা
দিয়েছে। তাদের ফেসবুকের আলাপ ধীরে
ধীরে কখন যে ভালবাসার রূপ নিয়েছে তা তারা
নিজেরাও জানেন না। একদিন তারা দু’জনে মিলে
সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন।

আর সেই মতো তিউনিশিয়ায় সুইতজারল্যান্ড
দূতাবাসে আবেদন করেন ওই বৃদ্ধা। খবর যায়
সুইজারল্যান্ডে। বাধ সাধে সুইজারল্যান্ডের আইন।

বিয়ের অনুমতি দিতে রাজি হয়নি আদালত।
আদালতের কাছে ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাদের
দু’জনের পছন্দ এক। দু’জনেই র্যাপ মিউজিক এবং
ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। আর সবচে বড়
কথা তারা কোনো সন্তান চান না এবং একে
অপরকে অন্ধের মতো ভালোবাসেন। তাই
তাদের বিয়েতে অনুমতি দেয়া হোক। কিন্তু
আদালত বিয়ের বিষয়টি নাকচ করে জানায়, ওই যুবক
শুধু সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতির জন্যই
বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে চাইছেন।

তিন বছর পর গত আগস্টে বৃদ্ধা তার প্রেমিকের
সঙ্গে দেখা করার জন্য তিউনিশিয়া আসেন। এক
সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন,‘বিমানবন্দরে অনুমতি
না থাকার জন্য ও আমায় সেখানে চুমু খেতে
পারেনি। সে আমাকে সামনা-সামনি দেখার পর
আমাকে ত্যাগ করতে চায়নি।

এমনকি আমিও আর তিউনিশিয়ায় ছেড়ে, ফিরে
যেতে চাই না। সে আমাকে ‘মাই লাইফ’ বলে

ডাকে। তাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। আমি
ওকেই বিয়ে করতে চাই।’

ওই যুবক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বয়সের
পার্থক্যটা আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নয়,
কারণ আমি কোনো সন্তান চাই না। আমি তাকে
ভালোবাসি এবং তাকে নিয়েই বাঁচতে চাই।
তিনি তার প্রেমিকাকে পরিবারের সদস্যদের
সঙ্গে আলাপও করিয়ে দিয়েছেন। আর তারা
আপাতত তার বাড়িতে একসঙ্গেই রয়েছেন।

2 thoughts on "ফেসবুকে প্রেম, অতঃপর বিয়ের সিদ্ধান্ত: পাত্রের বয়স ২১, পাত্রীর ৭১!"

  1. Ariyaan Contributor says:
    মাইরালা
    1. Hridoy ahmed Contributor Post Creator says:
      hmm

Leave a Reply