মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল,
সাতক্ষীরা থেকে : ক্রিকেট
দুনিয়ার সাড়া জাগানো তারকা
বাংলাদেশের কাটার মাস্টার
খ্যাত ‘দ্য ফিজ’ মুস্তাফিজুর রহমান।
আইপিএল শেষ করে তিনি ঢাকায়
ফেরেন সোমবার রাতে। তারপর
মঙ্গলবার বিসিবির (বাংলাদেশ
ক্রিকেট বোর্ড) কাজ শেষ করে তার
নিজের গাড়িতে করে তেঁতুলিয়ার
গ্রামের বাড়িতে ফেরেন মঙ্গলবার
রাত ১০টা ৫০ মিনিটে।
রাতে বাসায় ফিরে মায়ের
হাতের রান্না পুঁইশাক, রুইমাছ ঝোল,
মুরগির মাংস, ডাল দিয়ে রাতের
খাওয়া শেষ করেন। এরপর পরিবারের
সদস্যদের সাথে একান্ত সময় কাটান
মুস্তাফিজ। গল্প করেন ভারত সফরের
অভিজ্ঞতা নিয়ে। রাতে যখন
ঘুমাতে গিয়েছেন তখন ঘড়ির কাঁটা
তিনটা। অনেক পরিশ্রমের পরে ছুটির
ঘুম। সংগত কারণেই উঠতে একটু দেরিই
হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে
ঘুম ভাঙে মুস্তাফিজের।
বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির
বাইরে আসেন ‘দ্য ফিজ’। অপেক্ষমাণ
সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা দেখে
একটু অপ্রস্তুত হন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন মা-বাবাকে

পেয়ে কেমন অনুভূতি? জানালেন খুবই
ভালো লাগছে। এত দিন টানা
বাইরে থাকা হয়নি। যে কারণে খুবই
ভালো লাগছে। এরপর হ্যাঁ-না-হ্যাঁ
না বলে দু-একটি কথা বলেই ঢুকে যান
ঘরের মধ্যে।
পরে মুস্তাফিজের ইউনিয়ন
তারালীর চেয়ারম্যান এনামুল হক
ছোট অনুরোধ করেলে আবারও কিছু
সময়ের জন্য বেরিয়ে আসেন
মুস্তাফিজ। তবে দু-একটি ছবি ছাড়া
তেমন কোনো কথা বলেননি তিনি।
এদিকে সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে।
তাই মা মাহমুদা খাতুন বুধবার দুপুরে
রান্না করেছেন, দেশি মুরগি, ভুনা
খিচুড়ি। সঙ্গে আছে দু-তিন ধরনের
পিঠা। যেসব খাবার সব সময়
মুস্তাফিজের পছন্দ।

আইপিএলে প্রথমবারের মতো
অংশগ্রহণ ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি
জানতে চাইলে মুস্তাফিজ এক কথায়
বলেন, ‘খুব ভালো।’
বাংলা ভাষা সম্পর্কে বলেন,
‘অনেকে তার কাছ থেকে বাংলা
শিখেছে।’
মা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘ওর জন্য দুপুরে
দেশি মুরগি ও খিচুড়ি রান্না করব। ও
দেশি মুরগি খেতে খুব পছন্দ করে।’
আর মুস্তাফিজ বলেন, ‘মা যা রান্না
করে তাই ভালো লাগে।’
মুস্তাফিজের জীবনের প্রথম ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট হচ্ছে জনতা ব্যাংকের
উজিরপুর শাখায়। এদিন ওই ব্যাংকের

ব্যবস্থাপক শেখ শামীম আহমেদের
নেতৃত্বে ব্যাংকের একটি
প্রতিনিধিদল আসেন তার সঙ্গে
দেখা করতে। ফুলের তোড়া আর
মিষ্টি নিয়ে আসেন তারা।
এরপর কোকাকোলা কোম্পানির পক্ষ
থেকে মুস্তাফিজের পরিবারকে
একটি রেফ্রিজারেটর উপহার দেওয়া
হয়। কোকাকোলা কোম্পানির
সাতক্ষীরা জোনের রিসোর্স
অফিসার হাবিবুর রহমান এ উপহারটি
তাদের হাতে তুলে দেন। তাদের
সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনেও চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন মুস্তাফিজ।
যার হাত ধরে মুস্তাফিজের
ক্রিকেটের হাতেখড়ি, সেজো ভাই
মোখলেছুর রহমান পল্টু বলেন,
‘বিসিবির নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওর
জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া এখন
সমস্যা। এত লোকজনের চাপে ওর খুব
কষ্ট হচ্ছে।’

সকল ধরনের টিপস ট্রিকস পেতে TrickMax.com ভিজিট করুন

One thought on "মায়ের হাতের দেশি মুরগি আর ভুনা খিচুড়ি মুস্তাফিজের পছন্দ ।"

  1. bappakhan Contributor says:
    আসলেই মোস্তাফিজ এত সম্মান পাওয়ার যোগ্য। এখন আমারও হিংসা হচ্ছে আমি কেন মোস্তাফিজ হতে পারলাম না। মোস্তাফিজ তুমি এগিয়ে যাও পুরা বাংলাদেশ আছে তোমার সাথে। মোস্তাফিজ যুব সমাজের গর্ব।

Leave a Reply