সেহরি ও ইফতারে পছন্দের খাবারটি সবারই খেতে ইচ্ছে করে। আমাদের দেশে রমজানে যে খাদ্যাভ্যাস, তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্বাভাবিকভাবে যে কোনো ধরনের খাবারই সেহরিতে খাওয়া যায়। সারা দিনের শক্তি সঞ্চয় ও পুষ্টির কথাটি মাথায় রেখে সেহরিতে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।

সেহরিতে তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। সারাদিনের পানির ঘাটতি পূরণ করবে এমন ঝোলযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেহরিতে আমিষ আর শস্যজাতীয় খাবার রাখা উচিত। সেহরিতে খাওয়ার সময় বেশি পাওয়া যায় না। চটজলদি খাওয়া যায় এমন খাবারই খান।

ভাত যেহেতু বাঙালির প্রধান খাবার তাই সেহরিতে সাদা ভাত রাখুন। রুটি খেতে অভ্যস্ত হলে রুটি খেতে পারেন। পাউরুটি ও দুধও খেতে পারেন। এর সঙ্গে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস অথবা ডিম এবং সাথে যে কোনো একটি সবজি রাখুন। মাছ, মাংস পরিমিত পরিমাণে খান। কিন্তু মাংস বা ডিম সবই একসঙ্গে খাবেন না। সেহরিতে শাক এড়িয়ে গেলেই ভালো। খেয়াল রাখুন, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সেহরিতে খাদ্যের সব উপাদান যেমন ফল, সবজি, দুধ ইত্যাদি যেনো থাকে।

খাওয়া শেষে মিষ্টিজাতীয় কিছু খেলে সারা দিনের শক্তি বজায় থাকবে। পুডিং, দুধ, সেমাই, ফিরনি, পায়েস, কাস্টার্ড খাওয়া যেতে পারে। গর্ভবতীরা খাওয়ার পর এক গ্লাস দুধ খেতে ভুলবেন না। অনেকের খাওয়ার পর চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। চাইলে তাও খেতে পারেন। অনেকে সারা দিনের পানি একসঙ্গে খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এটি কোনোভাবেই ঠিক নয়।

না খেয়ে কখনোই রোজা থাকবেন না। এতে অপুষ্টিতে ভুগবেন। অল্প হলেও সেহরি খান। প্রয়োজনে খেজুর-কলা বা দই-চিড়া খেতে পারেন। বাসি খাবার খাবেন না। পাকস্থলিতে উত্তেজনা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো খাবার খাওয়া উচিত নয়। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে না শুয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ঘুমোতে যান। সুস্থ্য থেকে রোজা রাখুন।

One thought on "সেহরিতে কী খাবেন, কী খাবেন না"

  1. trickbdd Subscriber says:
    bal bal bal a to main a ki hobe

Leave a Reply