আরে ওই তো সোনি
নর্ডি৷ কাকভোরে বাঙালি চোখ ডলতে ডলতে
টিভি অন করতেই ভেসে উঠল সোনির মুখ৷
নীল জার্সি পরে হাইতির জাতীয় দলের লাইনে৷

ডান হাতটা বাঁ দিকের বুকে ঠিক হৃৎপিণ্ডের উপর
রাখা৷ চিৎকার করে হাইতির জাতীয় সংগীত গাইছেন৷
যেখানে ভোরবেলা রোজ মেসি, ডি মারিয়া,
আগুয়েরাদের দেখতে হচ্ছে, এবার
সেখানেই এক সময়ের ঢাকার ঘরের ছেলে
(বর্তমানে কলকাতার) হয়ে ওঠা সোনি নর্ডি!
তবে ম্যাচের সেরা কে তা নিয়ে বিতর্ক
থেকেই গেল৷ ম্যাচ শেষে সোনি নিজে
ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, তিনিই ম্যাচের
সেরা৷ তার ভাই জো হাইতি থেকে ফোনে
বললেন, “হ্যাঁ, আমার দাদাই ম্যাচের সেরা৷” যদিও
কোপা আমেরিকার অফিসিয়াল সাইটে দেখা যাচ্ছে

ম্যাচের সেরা ইকুয়েডরের ভ্যালেনসিয়া৷ তাই

ম্যাচের সেরা কে হলেন, সেই নিয়ে বিতর্ক
থেকেই গেল৷

সঙ্গে সঙ্গে খোঁজখবর নেওয়ার পালাও
চললো৷ এর আগে বাংলাদেশের বা ভারতীয়
ক্লাবে খেলা কোনও ফুটবলারকে কোপার
মতো বড় ফুটবল আসরে দেখা যায়নি৷

সেক্ষেত্রে কোপাতে হাজির বাংলাদেশের
ধানমন্ডি ক্লাব ও মোহনবাগানও৷ কেন না,
কোপাতে প্রত্যেক দেশের ফুটবলারদের
প্রোফাইল দেখানোর সময় সোনি নর্ডির পাশে
লেখা থাকছে- ‘ধানমন্ডি ক্লাব’ ও ‘মোহনবাগান৷’
তাই এদিন সকালে হাইতির সমর্থনে টিভির সামনে
বসেছিলেন ধানমন্ডি ক্লাবের সমর্থকরাও৷

রোজ যাকে ধানমন্ডির মাঠে অনুশীলন করতে
দেখতেন, সেই সোনি নর্ডি এদিন কোপায় টানা
৯০ মিনিট দাপিয়ে ফুটবল খেললো, এটি বাংলা
ফুটবলের জন্য অবশ্যই ভাল বিজ্ঞাপন৷
এখন ধানমন্ডি ক্লাব ছেড়ে কলকাতায়র
মোহবাগানে চলে গেছেন সোনি নর্ডি।

মোহনবাগানে যে জায়গায় খেলেন, সেই
লেফট উইংয়ে হাইতির হয়ে মাঠে নামলেন
মোহনবাগান তারকা৷ তারপর যেরকম সবুজ-মেরুন

জার্সি পরে এঁকে বেঁকে বিপক্ষের ডিফেন্স
ভেঙে ফেলেন, এদিনও সেরকমভাবেই বারবার
ইকুয়েডর ডিফেন্স ভাঙলেন৷ তাতেও শেষ
রক্ষা হল না৷ ৪-০ গোলে হারতে হল
ইকুয়েডরের কাছে৷ আর পরের রাউন্ডে চলে
গেল ইকুয়েডর৷ ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাঠের
বাইরেই ছিলেন সোনি৷ এদিন ৯০ মিনিটে চোখ
ধাঁধানো ফুটবল খেলে পুষিয়ে দিলেন
মোহনবাগানের ফুটবলার ৷

পরুনঃ যৌন মিলনে ক্ষেত্রে মেয়েদের কিছু
কষ্টদায়ক সময়ের কথা।

Leave a Reply