জমিদার বাড়ি রহস্য
পর্ব ৪
Rn Efty
ππ
দিনটা বড়ই গোল মেলে কাটল।
আমি সরাসরি বেডে।
কারন বেশি দাড়িয়ে থাকলে পা
প্রচুর ব্যাথা করে।
তাই বিছনায় শুয়েই রিও কে বললামঃভাগিনা। কি বুঝলে?
কে খুন করতে পারে?
_সেটা যদি জানতাম তাহলে তো তাকে ধরে নিয়ে আসতাম।
কিন্তু খুনের কোন মটিভ পাচ্ছি না।
_কি বল? খুন যে করেছে তার বর্নণা দিয়ে দিলে।
আর এখন বল মোটিভ
পাচ্ছ না। অদ্ভুত?
_আরে মামা ওটাতো ইনভেস্টিগেশন এর ফল বললাম।
দেখ খুনির দুটি পায়ের দুরত্ব, মানে স্টেপ বাই স্টেপ মাপলে তার উচ্চতা, বয়স বলে দেওয়া যায়।
তবে এর জন্য পায়ের মাপ লাগে। আর সে জন্য গ্রিপলেস
জুতার মাপটা নিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল।
কিন্তু খেয়াল করে দেখলে তোমারও মনে আছে মিসেস জোহানের মাথার চুল পুরোটাই পাকা ছিল।
কিন্তু ভিকটিমের দেহের পাশে
বেশ কিছু কাচা পাকা মিশ্রিত চুল পেলাম।
যেগুলো টানা টানি করার দরুন উঠেছে।
তাই বললাম খুনির বয়স ত্রিশ বা পয়ত্রিশ হলেও মাথায় কাচা পাকা চুল আছে।
_হতে পারে এটা ভভিকটিমের চুল? আমার প্রশ্ন
_না। ছেলেদের চুল ছোট আর স্মুথ হয়।
আর মেয়েদের হয় সিল্কি আর বড়।
চুল গুলো সব ছোট ছিল।
আর ভিকটিমের সাথে মিলিয়েও দেখেছি।
এটা ভিকটিমের চুল নয়।
_তা হলে তো খুনি এক জন নয় দুই জন?বললাম আমি
_ কি ভাবে?
_দুই ধরনের চুল? কাচা আর পাকা.
_এই তো প্রফেসর তোমারও মাথা খুলতে শুরু করেছে।
কিন্তু দুই জন নয়।
কারন আমি প্রতিটা চুল মেপে দেখেছি।
সব গুলোর সাইজ এক। তাই
সব গুলোই এক জনের চুল।
এটা হয়ত মিসেস জোহানের সাথে হাতা হাতির সময়
উঠে গিয়েছিল।
কিন্তু কথা হল, যদি খুন করতে আসে।
তাহলে খুন না করে লোকটা সারা ঘর কেন পায়চারি করবেন?
কেনই বা মহিলার সাথে হাতা হাতিও করবেন?
কারন ঘরময় তার পায়ের ছাপ ছিল।
গ্রিপ ছাড়া একটা জুতা পরা ছিল তার।
তার মানে তিনি খুন করতে এসেছিলেন না।
এসেছিলেন অন্য কোন উদ্দেশে।
তাই ভদ্রমহিলাকে জাগাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ভদ্রমহিলার তার কথায়, রাজি না হওয়ায় হাতাহাতি হয়।
এক প্রয্যায়ে মহিলাকে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
কিন্তু কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে খুনির?
কি নিতে এসেছিলো খুনি?
কিছু যদি নিতে আসে নিয়ে চলে যাবে।
তাতে করে হাতে গ্লাভস পরার কোন সমাধাম পাচ্ছি না।
কারন যা দিয়ে আঘাত করে থাকুন না কেন।
জিনিসটা বেশ ভার এবং এবেড়ো থেবড়ো ছিল।
তাই হ্যান্ড গ্লাভসের কিছু একটা আংশ ছেড়াও পেয়েছিলাম।
এটাই চিন্তার বিষয়।
কি নিতে এসেছিল খুনিএই জমিদার বাড়ি?
_আর সময়ের কথা বলেছিলে কি করে বুঝলে খুন দুইটার দিকে নয়, খুন হয়ে এগার থেকে বার টার মাঝে?আমার প্রশ্নর জবাবে রিও বললঃ
মামা। ভদ্রমহিলার হাতের ঘড়িটা দেখনি নিশ্চয়?
_হ্যা। দেখেছি। ৯৩/২ তে যখন গিয়ে গিয়েছিলেন তখনও ঘড়িটা হাতে ছিল।
_হ্যা। ঘড়িটা দেখে বুঝলাম।
কারন আঘাতের পর যখন তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। তখন হাতটা হয়ত নিচে পড়ে যায়।
তাই ঘড়ির গ্লাস ভেংগে ঘড়ির ভিতর দিয়ে ঢুকে যাওয়ায় ঘড়ির কাটার চলন বন্ধ হয়ে যায়।
আর ঘড়িটার কাটা ১১.১৯.৩৭ এ বন্ধ হয়ে আছে।
তাই বলায় যায় তিনি এগার থেকে বারটার মাঝে মারা গেছেন।
_তার মানে আঘাতের পরও তিনি জিবিত ছিলেন?
_সে আশা কম।
তবে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
_কিন্তু ভাগিনা।
তিনি তো বলেছিলেন বাড়িতে নাকি ভুত থাকে?
_তোমার মাথা থাকে।আজাইরা কথা।
_তাহলে পুলিশতো সহজে খুনিকে ধরে ফেলতে পারবে।
কারন ফিজ্ঞার প্রিন্ট দিয়ে সহজে খুনিকে সনাক্ত করা যাবে।
_ কিন্তু খুনিকে না পেলে কার ফিংগার প্রিন্টের সাথে মিলাবো?
_মানে?
_তুমি কি ভাবছ খুন ওই বাড়িতে বসে আছে?
এখান থেক ৩৫ কি মি হল যশোর।
তার একটু এগিয়ে গেলে
বেনাপোল বর্ডার।
কিছু বুঝেছ মামা।
ধরা পড়ার ভয় সবার আছে।
হোক সে খুনি আর হোক সে খুনের মদদ দাতা।
_মদদ দাতা মানে? তুমি কি মনে কর খুনের পিছে অন্য কারো হাত আছে?
_মনে করার মত কিছু পায়নি।
আবার মনে না করার মত কিছুও পায়নি।
________ হয়ত রিও সাথে আরো কিছু কথা হত।
কিন্তু রিওর বাবা এর মাঝে এসে গেলেন।
তার সাথে দেখলাম একটা লোক এসেছে।
বয়স ২৫ এর মত।

সাদা সার্ট আর কালো প্যান্ট ইন করা।
পায়ে ব্লাক সু।
কমিশনার রিওর বেডের উপর বসে লোকটিকে বসতে বলল।
তারপর রিওর আর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললঃএই হল সাফিন।
আমাদের জিনিয়াস ডিটেকটিভ অফিসার।
সরকারি ভাবে এ মামলা তিনিই হ্যান্ডেল করবেন।
তোমাদের কোন হেল্প লাগলে
তাকে বলতে সংকোচ করবে না।
তোমার সাফিনের সেল নাম্বার রেখে দিতে পার।
রিও তার বাবার কথা উত্তর না দিয়ে হো হো করে হেসে দিয়ে বললঃ আসলে বুঝলেন কমিশনার।
আল্লাহ আমার জ্ঞান এখনো কমিয়ে দেননি।
তাছাড়া বিফল করেন নি।
আপনি সাফিনকে বলেন রিওর সেল নাম্বার নিয়ে যেতে।
যদি কখনো জমিদার বাড়িতে বাঘ_ছাগল কিছু দেখেন।
তবে যেন আমায় নক দেন।
কারন ভুতের বাড়িতে বাঘ থাকতেও পারে।
________ ভাগিনার হেয়ালি বোঝা বড় দায়।
তবে এত টুকু বুঝেছি ভাগিনা বাপের কথায় অপমান বোধ করেছে।
কারন ওবলে নিজের জ্ঞান যেখানে থেমে যায়।সে জায়গা
থেকে প্রস্থান করাই ভাল।
কারন ধার করা জ্ঞান দিয়ে আর যাই হোক ইনভেস্টিগেশন পসিবল না।
যদি তাই হত চাদ রাতে নয়
দিনে আলো দিত।
কারন সুর্য থেকে চাদ পৃথিবীর অনেক অনেক কাছে।
ভেবেছিলাম ওসি সাফিন হয়ত
রিওর কথার কোন উত্তর দিবেন।
কিন্তু কিছুই বললেন না।
কারন মনে হয় বড় আফিসার হাজির থাকলে ছোট অফিসারেরা কথা বলেন না।
আর সেখানে স্বয়ং পুলিশ প্রধান উপস্থিত।
দেখলাম মাথা নেড়ে রিওকে সালাম দিয়ে বিদায় নিল সাফিন।
এরপর শুরু হল বাপ_বেটার
গল্প।
কথায় কথায় রিওর কাজের ধরন শুনে কমিশনার বললঃআমি যদি কমিশনার না
হতাম।
তাহলে রিও হতে চাইতাম।
রিও তার উত্তরে বললঃরিওর বাপ কমিশনার ছিল তাই রিও ইজ ইর।
আর আপনি রিও হতে পারবেন না। কারন আপনার বাপ কমিশনার নয়, স্কুলের মাস্টার ছিল।
_হুম। তাই বলি আমি পারি না কেন? বলল, কমিশনার।
__________ আমাদের শুভ সন্ধা জানিয়ে কমিশনার যখন চলে গেল তখন সাড়ে সাতটার মত বেজে গেছে।
রিও দরজা লক করে দিয়ে
জমিদার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা বই খাতা গুলো বেডের উপর ছড়িয়ে বসল।
আমি কি করব কিছু বুঝতে পেলাম না।
তাই রিওকে বলে বাহিরে আসলাম।
আশ্রম রোড দিয়ে এগিয়ে কলেজের পাশে একটা বড় মাঠ দেখতে পেলাম।
দেখলাম সেখানে বেশ মেলার মত বসেছে।
ভিতরে ঢুকে জানতে পেলাম
এটা কুড়ির ঢোপ মাঠ বলে।
আর মেলা টা হল পাশের এক সরকারি স্কুলের বার্ষিক কি সব অনুষ্ঠান হচ্ছে। ভিতর দিয়ে
একটু এগিয়ে যেতেই
একটা রাস্তা পেলাম।
এ রাস্তা টা নাকি চিত্রা সেতুতে গেছে।
পূর্ব দিকে কিছুদুর এগিয়ে যেতেই দেখলাম বাম পাশে ভিক্টোরিয়া রেখে রাস্তা একটা সোজা দক্ষিন আর একটা উত্তরে ঢুকেছে।
পাশে বেশ কিছু মুদি এবং ফটোকপির দোকান আছে।
ভাগিনার জন্য একপ্যাকেট B&H নিয়ে টাকা দিতে যাব এমন সময় দেখলাম একটা হকার চিৎকার করে বলছেঃএই সন্ধার খবর, সন্ধার খবর।
টাকা দিয়ে কোতুহল বসত কাছে গিয়ে দেখলাম এখানেও ইভিনিং নিউজ বের হয়।
তিনটা পেপার কিনে দিলাম।
কারন দেখলাম প্রতিটা পেপারেই ঘটা করে জমিদার বাড়ির খবর দিয়েছে।
এবং সেটা প্রথম পাতাতেই।
নিউজ পেপার হাতে নিয়ে সামনে তাকাতেই দেখলাম ১০০ ফিট দুরেই নদী দেখা যাচ্ছে।
রিওর মুখেই অনেক শুনেছি
ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশেই এস, এম, সুলতানের চিত্রা নদী।
কোতুহল বসত এগিয়ে গিয়ে দেখি। আরে বাহ। বেশ সুন্দর করে ঘাট বাধানো।
একজনের কাছে জানতে পারলাম এটাকে নাকি বান্ধা ঘাট বলা হয়।
বেশ কিছু কপত_কপতিও বসে ছিল।
ভাবছিলাম যাব না।
বিদ্যুৎ আলোয় সব স্পস্ট দেখা যাচ্ছিল।
ফিরে যাব এমন সময়
একটা ছেলে, বয়স ১৮ হবে।
টিসার্ট আর ট্রাওজার পরা।
আমায় ডাক দিল ঃএই ভাইয়া।
আমি ঘুরে তাকাতে বললঃ
হ্যা আপনি।
সিড়ি দিয়ে নিচে নামা আমার পক্ষে সম্ভব না খোড়া পায়ের জন্য।
দেখলাম ছেলেটা আমার কাছে এগিয়ে এসে আমায় ধরে নিচে নামিয়ে নিয়ে গেল।
তারপর বললঃযদি মাইন্ড না করেন কিছু কথা বলি?
_হ্যা। বলো।(আমি)
_আপনি কি এলাকায় নতুন?
_হুম। কেন?
_যদি কিছু মনে না করেন আপনার চশমার পাওয়ার কি
– ২.৫?
_হ্যা।
_ তার মানে আমি আপনাকে চমকে দিতে পেরেছি?
_হুম। বাট কেন?
_আপনিই তো প্রফেসর ইফতি?
_হ্যা। কি ভাবে বুঝলে.?
_ ভাইয়া আমি আপনার সব বই গূলো পড়েছি।
বলতে পারেন আপনার ডিটেকটিভ স্টোরি যদি না পড়তাম তাহলে আমি হয়ত এত বই পাগলা হতাম না।
তাছাড়া আপনার ভাগিনাতো জিনিয়াস।
_তুমিও কম নও।
_না। ঠিক সেটা নয়।
আপনি সকালে ফেসবুক পেইজএ লিখেছিলেন নড়াইল আসতেছেন।
তাই আপনাকে দেখে বুঝে গেলাম।
কারন আমি গত দুই বছর ধরে সন্ধায় এখান বসে বসে আড্ডা দেয়।
আপনার মত কেউ কে দেখিনি।
তাই রিওর সিশ্য হিসাবে
একটা চান্স নিয়ে নিলাম।
যদি লেগে যাই।
ফাইনালি লেগে গেল।
_নিশ্চয় জমিদার বাড়ির ব্যাপারে এসেছে?
রিও স্যার কি আছেন উপরে নাকি ইনভেস্টিগেশন এ বের হয়েছেন?
_ও বাসায়। কিন্তু কি করে বুঝলে?
আপনার হাতের পেপার আর
আপনারা কি কাজে আসতে পারেন সেটা আমি ভাল করেই জানি।
_ওহ। গুড।
এমন সময় রিওর কল এল।
আমি রিসভ করতেই বললঃমামা কোথায়?
_বান্ধা ঘাট।(আমি)
_থাকো। আসছি।
_____ রিও আসছে শুনে ছেলেটা দেখলাম আনন্দে লাফিয়ে উঠল।
রিওর আসতে সময় লাগল ১০ মিনিট।
গাড়ি উপরে রেখে সোজা আমার কাছে এসে বললঃএখানেও দেখি বন্ধু জুটিয়ে নিয়েছ।
পারও বটে তুমি মামা।
_না। আমার বন্ধু নয়।
তোমার ফ্যান;বললাম আমি।
তারপর ছেলেটার ইনভেস্টিগেশন এর কথা শুনিয়ে দিতেই রিও বললঃচালিয়ে যাও বৎস।
তুমি পারবে একদিন রিওকেও টক্কর দিতে।
ছেলেটা দেখলাম খুব আনন্দ পেল।
তারপর বলল স্যার আমি, অরন্য।
এই কলেজে ইন্টার ২য় বর্ষ।
এখানকার কাউসিল মেম্বার আমার বাবা।
যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি?
_হ্যা। বল, বলল রিও
_আসলে আপনার সহচার্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
তাই যদি এই কেসটা তে আপনি আমায় সাথে নিতেন
তাহলে চির কৃতগ্য থাকতাম।
রিও খানিকটা চুপ থেকে বললঃ চল। এখন থেকেই লেগে পড়।
যদি ভাল কিছু দেখাতে পার তবে ৯৩/২ তে ওয়েল কাম।
ছেলেটা চোখে মুখে উত্তেজনার ছাপ স্পস্ট।
গাড়িতে যেতে যেতে কি করতে হবে সেটা রিও, অরন্যকে বুঝিয়ে দিয়ে জমিদার বাড়ির পাশে নামিয়ে দিল।
আমরা সোজা জমিদার বাড়ি ঢুকলাম।
প্রথমে গেটে একজন দারোয়ান পেলাম।
রিও তার পরিচয় দিয়ে
সকল ঘটনা জেনে নিল।
কিন্তু নতুন কিছু পেলাম না।
ওসি যা বলেছিল সেটাই বললেন তিনি।
রিও বললঃ মালি দুই জন আর কাজের মহিলাকে কি ছেড়েছে?
_হ্যা। আমরা সবাই থানায় জবান বন্ধি দিয়ে এসেছি।
_______ ভুতের ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করতেই ভদ্রলোক যেন চুপসে গেলেন।
বললেনঃকি বলব স্যার, সব অভিশাপ।
জমিদাররা বড় অত্যাচারী ছিল।
তার পুর্ব পুরুষের অভিশাপ পড়েছে বাড়িটার উপর।
না হলে বাঘে খায় মিসেস জোহানের মত ভাল মানুষকে?
_বাঘ?
_আপনি জানে না স্যার গত কয়েক দিন আগেই তো আমরা ঐ গুদাম ঘরের পিছু থেকে বাঘের গর্জন শুনেছি।
_আমরা মানে?
_আমি প্রথম শুনি। তারপর মালিদের ডেকে নিয়ে আসি।
তিন জন মিলেও ডাক শুনেছি।
কিন্তু কাছে গিয়ে কিছুই পায়নি।
_কুকুর দেখেন নি? রিওর প্রশ্ন
_আগুনের কুত্তারো অহরহই দেখি স্যার।
_আর কিছু?
_মাঝে মাঝে মায়া কান্না শুনতে পায়।
একদিন গিয়েছিলাম। ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে সারা রাত পড়ে থাকি বাগানে।
_হুম। ভুত। (অনেটা তাচ্ছিল্য স্বরে বলল রিও)
_বিশ্বাস করেন স্যার সত্যি বলিছি।
_লেখা পড়া করেছ? রিওর প্রশ্ন
_কি যে কন স্যার।
লেখা পড়া করলে কি দারোয়ান হতাম?
পুলিশ হতাম পুলিশ।
আমার বাবাও পুলিশ ছিল।
গন্ডগোলের বছর তিনি আর ফিরে আসেন নি।
তাই আর লেখা পড়া হয়ে উঠে নি।
_থাক। আর বাঘ দেখলে আমাকে খবর দিও।
_জি স্যার।
_______ এবার আমরা সোজা বাড়িটার ভিতরে ঢুকে গেলাম।
আমাদের দেখে একজন ভদ্রমহিলা এগিয়ে এলেন।
বয়স চল্লিশের কাছা কাছি।
কালো ড্রেসিং গাউন পরা।
মুখে স্পস্ট শোকের মাতম।
বললেনঃকি চাই?
রিও তার পরিচয় দিয়ে বললঃআমি প্রাইভেট ডিটেকটিভ রিও। ভিকটিম আপনার কি হন?
_আমার আম্মা;বললেন মহিলা।
_আপনার আম্মাই আমাকে মরার আগে এপায়েন্ট করে গেছেন?
_ওয়াট?
_জি, উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই;ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে বলল, রিও।
চলবে..!
Like My Facebook Page
আমার ফেসবুক পেজ এ কিছু এডিটর লাগবে। যারা হতে চান তারা কমেন্ট করেন।

17 thoughts on "জমিদার বাড়ি রহস্য পর্ব ৪"

    1. Mahbub Subscriber Post Creator says:
      editor hoben??
  1. Alamin200 Author says:
    আশা করি সব পাঠ দিবেন।পড়ে যা ভালো লেগেছে আপনাকে বলে বুঝাতে পারব না।
  2. NAYEEM Contributor says:
    nice post… aje next part dien bro…
  3. Sohan Rana Contributor says:
    সুন্দর গল্প।
  4. DH SAJIB Author says:
    vai part mot koita ?
  5. Mahin Islam Contributor says:
    Nest pert din
  6. AJJOWEL41 Contributor says:
    porer ta tara tari cai
  7. IA Imon Contributor says:
    ভাই,দ্রুত পরের পার্ট দিন। মিয়া ১টা দিন অপেক্ষা কইরা ছিলাম ৪র্থ পার্ট পড়ার জন্য। ৫ম টা দ্রুত চাই
  8. Zakaria Raz Easin Contributor says:
    Oshadharon Silo . thanks
  9. Md Abdullah Contributor says:
    যত পড়ি তত মজা!
  10. Mahin Islam Contributor says:
    ভাই পরের পর্ব দেন না কেনো,,,,১ ঘন্টা পর পর নিউ পর্ব চাই,,

Leave a Reply