আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
পোস্টটি সম্পকে কিছু কথা
প্রথমেই বলছি পোস্ট টি সম্পূর্ণ আমার নিজের হাতে লেখা।স্যাটেলাইট সম্পকে যতটুকু জানি ঠিক তত টুকু তুলে ধরছি আপনাদের মাঝে।আর আমি কোনো ওয়েব সাইট থেকে কপি করি নি।আপনাদের বুঝানোর সুবিধার্থে কিছু ফটো শেয়ার করছি যা গুগল থেকে নেয়া।তাই পোস্টের ব্যাপারে কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না।জানি পোস্ট টি লিখতে অনেক সময় লাগবে কিন্তু যাতে আপনারা এ সম্পকে একটা জ্ঞান লাভ করতে পারেন,,, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।,,,আর আপনাদের একটা ভালো কমেন্ট একজন অথর কে লেখতে প্রেরনা যোগায়।
বাংলাদেশে Satellite এর যাত্রাঃ
স্যাটেলাইটটির নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। যদিও বাংলাদেশ এখনো স্যাটেলাইট এর যাএা শুরু করে নি।স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপন হবে,,,১০ মে যুক্তরাষ্ট্রে,,সময় বিকাল ৪ টা ১২ থেকে ৬ টা ১২ এর মধ্যে।আর বাংলাদেশ রাত ২ টা ১২ থেকে ৪ টা ১২ এর মধ্যে,,অথাৎ ১১ ই মে।আপনারা উৎক্ষেপন BTV থেকে লাইভ দেখতো পাবেন। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টি তৈরী হয় ফ্রান্সে,,,যা তৈরী করতে অনেক দিন সময় লেগেছে এবং তা রকেট ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয় ফ্লোরিডা নামক স্থানে।সেখানে থেকেই উৎক্ষেপন হবে আমাদের এই স্যাটেলাইট টি।
উদ্বোধন
উদ্বোধন করার সময় সেখানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়,,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে পারেন,,, আবার নাও পারেন।আমি যতটুকু জানি।আরো উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীসহ আরো অনেকে।তারপর ফ্লোরিডায় স্যাটেলাইট টি উদ্বোধন করা হবে।
Satellite তৈরীতে খরচ
স্যাটেলাইট তৈরীতে খরচ অনেকাংশে বেশি,,,,যা আপনারা ভালো করে জানেন।তবুও দেশের প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যেগ না নেওয়ার জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।যাহোক তিনি এই জিনিস টার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি দিচ্ছে বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। মোট প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় খরচ হচ্ছে থ্যালেস অ্যালেনিয়া থেকে স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনায়। এ জন্য খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটটি যে কক্ষপথ বা অরবিটাল স্লটে উড়বে, সেটি কেনা হয়েছে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২১৯ কোটি টাকা। বাকি প্রায় ৮০০ কোটি টাকা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে খরচ হচ্ছে।
যেসকল দেশ এই স্যাটেলাইটটির সুবিধা পাবেঃ
সুবিধা বলতে সেই সুবিধার কথা বলছিনা।স্যাটেলাইট যেসকল দেশে পরিভ্রমন করবে সেসব দেশ হলো সার্কভুক্ত দেশসহ,,, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তান ইত্যাদি।তারা অর্থের বিনিময়ে তা বাংলাদেশের কাছ থেকে শেয়ার করবে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে বাংলাদেশের অবস্থানঃ
আপনারা অনেকে জানেন যে,,, আমেরিকার অনেকগুলো কোম্পানির নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে।ওদের কথা বাদ দেন।ওরা বড় লোক মানুষ???।তো কথা হচ্ছে,,,,,বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করছে।যা আমাদের জন্য গৌরবের।সত্যি ভালো লাগছে।
স্যাটেলাইট এর গঠনঃ
স্যাটেলাইট বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। প্রত্যেক স্যাটেলাইট এর ২টি সাধারণ অংশ থাকেঃ অ্যান্টেনা এবং শক্তির উৎস। অ্যান্টেনা তথ্য গ্রহণ ও সংগ্রহের কাজ করে থাকে। সোলার প্যানেল অথবা ব্যাটারি, উভয়েই শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। নাসা’র স্যাটেলাইটে ক্যামেরা এবং কিছু সেন্সর লাগানো থাকে।
স্যাটেলাইট এর ব্যবহারঃ
স্যাটেলাইট খামার গুলোর ডিজিটাল মাপ তৈরি করে । ফলে কৃষক দের মাটির গুনাগুণ , ফসলের ফলন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়।সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছরই অনেক মানুষ মারা যায়। স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সড়কের খুঁতগুলো বের করতে পারি।নগরায়ন এর কাজে অনেক অনেক উপকারে আসে।এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নানাবিধ পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়। ঘরে বসেই এদের অবস্থান ট্র্যাক করতে স্যাটেলাইট আমাদের সাহায্য করে ।বাতাসের বেগ এবং বায়ু দূষণের পরিমাণ নির্ণয়ে স্যাটেলাইট আমাদের সাহায্য করে থাকে।প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করার কাজে স্যাটেলাইট সবচেয়ে বেশি কাজে আসে।
স্যাটেলাইট যেভাবে উৎক্ষেপন করা হয়ঃ
(১)কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করার জন্য আলাদা মহাশূন্য যান রয়েছে। একে বলা হয় “উৎক্ষেপণ যন্ত্র (Launch Vehicle)“। কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয়, তা হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ এবং মহাশূন্য যানটির গতির সমতা রক্ষা করা। কারণ অভিকর্ষজ ত্বরণ আমাদের উৎক্ষেপণ যন্ত্রকে পৃথিবীর দিকে টানতে থাকে।
(২)দুই ধরনের উৎক্ষেপণ যন্ত্র রয়েছে – অপচয়যোগ্য রকেট এবং মহাশূন্য শাটল। অপচয়যোগ্য রকেটগুলো স্যাটেলাইট স্থাপন শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে মহাশূন্য শাটলগুলো স্যাটেলাইট স্থাপনের কাজে বারবার ব্যবহার করা যায়। উৎক্ষেপণ যন্ত্রের গতিবেগ উচ্চতার উপর অনেকটা নির্ভর করে। কম উচ্চতার কক্ষপথে (Low Earth Orbit = LEO) এর বেগ ৭.৮ কি.মি./সেকেন্ড, বেশি উচ্চতার কক্ষপথে (Geostationary Earth Orbit =GEO) এর বেগ ৩.১ কিমি/সে ।
(২)দুই ধরনের উৎক্ষেপণ যন্ত্র রয়েছে – অপচয়যোগ্য রকেট এবং মহাশূন্য শাটল। অপচয়যোগ্য রকেটগুলো স্যাটেলাইট স্থাপন শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে মহাশূন্য শাটলগুলো স্যাটেলাইট স্থাপনের কাজে বারবার ব্যবহার করা যায়। উৎক্ষেপণ যন্ত্রের গতিবেগ উচ্চতার উপর অনেকটা নির্ভর করে। কম উচ্চতার কক্ষপথে (Low Earth Orbit = LEO) এর বেগ ৭.৮ কি.মি./সেকেন্ড, বেশি উচ্চতার কক্ষপথে (Geostationary Earth Orbit =GEO) এর বেগ ৩.১ কিমি/সে ।
আমার মনে হয় না আর স্যাটেলাইট নিয়ে আর ট্রিকবিডিতে পোস্ট করার দরকার আছে।
যাহোক লিখতে আমাকে দেড় ঘন্টার বেশি লেগেছে,,, তাই আশা কেউ একটা কমেন্ট না করে যাবেন না।আপনারা ভালো কমেন্ট করলে আমাকে ভালো লাগে লিখতে।আর আপনাদের কিছু শেখাতে পারি তাতেই আমার আনন্দ।
আশা করি সবাই ভালো থাকবেন।নিত্য নতুন ট্রিক ও ইসলামিক পোস্ট পেতে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।পরবর্তীতে আরো এরকম টিপস্ পেতে সাথেই থাকুন।
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।
আশা করি কেউ খারাপ কমেন্ট করবেন না।কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানান।
আল্লাহ হাফেজ
যেকোন প্রয়োজনেঃ
যেমন:
বাংলাদেম(বাংলাদেশ) ৫৭ তম দেশ
জিসিন (জিনিস) টার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন
html gula ki kore use koren & kothi theke pabo ektu bolben?
“বঙ্গবন্ধু – ১” বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ৭ই মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে “ফ্যালকন ৯” রকেটের মাধ্যমে মহাশূন্যে গিয়ে (..°) কক্ষপথে ঘুরবে।
এবং এই রকেটের ৪০টি এন্টেনা আছে, যাহার মধ্য ২০টি দেশের জন্য ও বাকি ২০টি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এরকম আরো অনেক তথ্য আছে যা আপনার পোষ্টে লেখা নেই। তাই যদি আপনি পারেন তবে এই (Main) তথ্যগুলো এড করবেন।
আর আমি যতটুক জানি শেয়ার করেছি।তোমার কথা গুলো বাদে অনেক কিছু জানার আছে স্যাটেলাইট সম্পকে যা লিখতে গেলে ব্যূহ রচনা করা হবে।
ধন্যবাদ।
তবে অনেক তথ্য নাই এখানে। আর ৭মে Finally ঠিক হয়েছে। আর তথ্যগুলা ভালো লাগলে লেখবেন, না হলে নাই। ধন্যবাদ।
“সম্পকে” না লিখে, লিখুন “সম্পর্কে”,
“যাএা” না লিখে, লিখুন “যাত্রা”,
“উদ্যেগ” না লিখে, লিখুন “উদ্যোগ “,
“বাংলাদেম“ না লিখে, লিখুন “বাংলাদেশ “,
সুন্দর হয়েছে। তবে গুগোল থেকে বারতি কিছু জ্ঞান আহরণ করে আরো বড় করলে বিস্তারিত হতো কিছু বাদ পড়তো না। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ for giving the জ্ঞান সম্বলিত news
রাত ১২–২টা,,,, রাতটার মধ্যে। যদি লাইভ দেখায় দেখবো একদিন ঘুম যেতে হবে কে বললো।
Carry on…