প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা প্রযুক্তির চাকর হয়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞানীদের মতে অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধে পুরো মানবজাতিকে পঙ্গু করে দিবে। কিন্তু এই আক্রমণ ভবিষ্যতে না হয়ে বর্তমানেও হতে পারে…

অফিসিয়াল মুভি পোস্টার

খুঁটিনাটি :-

পরিচালক – জেমস ক্যামেরন

  • প্রযোজক – গ্যাল এন্নে হার্ড
  • গল্প – জ্যামস ক্যামেরন
  • চিত্রনাট্য – জেমস ক্যামেরন, গ্যাল এন্নে হার্ড
  • ধরণ – সাইন্স ফিকশন, থ্রিলার
  • অভিনয়ে – আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, লিন্ডা হ্যামিল্টন, মাইকেল বেইন
  • মিউজিক – ব্রেড ফিদেল
  • সিনেমাটোগ্রাফি – এডাম গ্রিনবার্গ
  • সম্পাদনা – মার্ক গোল্ডব্লাট
  • প্রোডাকশন কোম্পানি – হেমডেইল, প্যাসিফিক ওয়েস্টার্ন প্রোডাকশন, সিনেমা ৮৪
  • পরিবেশনায় – অরিয়ন পিকচার্স
  • মুক্তি – ২৬ অক্টোবর, ১৯৮৪
  • রানিং টাইম – ১০৭ মিনিট 
  • দেশ – যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য
  • ভাষা – ইংরেজি
  • বাজেট – $৬.৪ মিলিয়ন
  • বক্স অফিস – $৭৮.৩ মিলিয়ন
ভাল দিক এই মুভির গল্প ছিল এর সময়কাল থেকে অনেক এগিয়ে। ভাল মেকিং, চোখধাঁধানো ভিএফএক্স, গল্পের ইমোশনাল এঙ্গেল গল্পটিকে আরো প্রাণবন্ত করেছে। শেষের দিকে গল্প যেভাবে মোর নেয় এবং সিকুয়েল এর আশ্বাস দেয় তা সত্যিই লোমহর্ষক…’

খারাপ দিক – জেমস ক্যামেরনের মুভিতে খারাপ দিক খুঁজা সত্যিই কষ্টকর। বলার মত এই মুভিতে কোনো খারাপ দিক নাই…

কাহিনী সারসংক্ষেপ – ২০২৯ সাল। উন্নত প্রযুক্তির সব আবিষ্কার, ম্যাশিন, কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তায় নিজের ভাল নিজে বুঝতে শুরু করেছে। যাকে বলে সেলফ এওয়ারনেস। কোনো কিছুই আর মানবজাতির নিয়ন্ত্রণে নেই। এই মেশিনরা যখন বুঝতে পারে মানুষ তাদের জন্য হুমকিস্বরুপ তখন তারা মানবজাতির উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই শক্তিশালী মেশিনগুলোকে কন্ট্রোল করে স্কাইনেট নামক এক সেল্ফ কন্ট্রোলড এডভান্সড কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম। পারমাণবিক বোমা বিষ্ফোরণের মাধ্যমে সব ধ্বংস হয়ে যেতে থাকে। তখন মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়ায় হিউম্যান রেসিসটেন্স বাহিনীর লিডার জন কনর। স্কাইনেট সিদ্ধান্ত নেই যে জন কনরকে তারা জন্মের আগেই মেরে ফেলবে। তাই স্কাইনেট একটি মানুষ আকৃতির রোবট টাইম ট্রাভেল দ্বারা ১৯৮৪ সালে প্রেরণ করে যেখানে জন কনরের মা সারা কনর এখনো কুমারী। ঐ রোবটটির মিশন হচ্ছে যেকোনো মূল্যে সারা কনরকে হত্যা করা যাতে সে জন কনরকে জন্ম দিতে না পারা। এদিকে ঐ যুদ্ধের কাইল রিস নামক একজন সাহসী সৈনিক স্বেচ্ছায় টাইম ট্রাভেল করে ১৯৮৪ সালে চলে আসে এই রোবটের হাত থেকে সারা কনরকে যেকোনো মূল্যে বাঁচানোর জন্য। ঐ রোবটটি সারা কনরের উপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কাইল রিস সারা কনরকে তার উপর হামলা হওয়ার কারণ, তার ভবিষ্যৎ সন্তান জন কনর এবং তার লিখিত ভাগ্য নিয়ে বলতে থাকে। প্রথমে অবিশ্বাস করলেও ঘটনাক্রমে সারা সব বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় এবং তার কথামত চলতে থাকে। সারা কি পারবে কাইল রিসের সাহায্য নিয়ে নিজেকে বাঁচাতে এবং জন কনরকে জন্ম দিতে? সারা কি তার এই লিখিত ভবিষ্যতকে বাস্তবায়ন করতে পারবে? জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে মাস্টারপিস এই মুভিটি…

www.bigganbd.com বাংলা ভাষার একটি অনলাইন ওয়েব ম্যাগাজিন । এখানে, যে কেউ তার বিজ্ঞান ভিত্তিক লিখা জমা দিতে পারে অনলাইন পাবলিশের জন্য ।

-ধন্যবাদ

Shahenul Jeme

🙂

Leave a Reply