একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্মার্ট এই মার্কেটপ্লেসে আপনাকে স্বাগতম। প্রথম সময়টুকুতে প্রতিনিয়ত আপনি নিত্যনতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। এদের অধিকাংশই হয়তো হবে তিক্ত অভিজ্ঞতা! আর তাই, নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, প্রথম দিকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে শেখা কিছু ব্যাপার আজ আলোচনা করব আপনাদের সাথে।
আর ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই দুনিয়াতে, সেসব অভিজ্ঞতাকেই মোটিভেশন হিসেবে কাজে লাগাতে হয়। ধরে নিচ্ছি, ইতিমধ্যেই আপনি কোনো ফ্রিল্যান্স সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কারণ, অবশ্যই আপনার কাজে লাগানোর মতো কোনো না কোনো স্কিল আছে। প্রথম সময়টাতে আমি ৪টি জিনিস শিখেছিলাম। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনিও এই টিপস গুলো কাজে লাগাতে পারেন।
নিজেকে প্রস্তুত রাখুন!
কমিউনিটি এবং ফোরাম গুলোতে থেকে বেশি বেশি আর্টিকেল পড়ুন। শুধু ফ্রিল্যান্সার দের জন্য লেখা আর্টিকেলেই সীমাবদ্ধ না থেকে, ক্লায়েন্টদের জন্য লেখা আর্টিকেল গুলোও পড়ুন। এতে ক্লায়েন্টরা কিভাবে চিন্তা করে সে ব্যাপারেও আপনি বেশ ভালো একটি ধারণা পাবেন। এর ফলে, আপনিও তাদের সাথে কাজে নামার আগে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পাবেন।
অংশ নিন কমিউনিটি ডিসকাশন বা ফোরামে!
কমিউনিটি ডিসকাশন কিংবা ফোরামগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগান। কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হলে, সাথে সাথে সেখানে জানান। কাজে হতাশ লাগছে? কিছুটা মোটিভেশন কিংবা ইন্সপিরেশন দরকার? ব্যস্ততার ফাঁকে কয়েক ঘণ্টা সময় বের করে ডিসকাশন ফোরামে কাঁটাতে পারেন। সবচেয়ে ভালো ইন্সপিরেশন, অভিজ্ঞতা কিংবা সাফল্যের গল্পগুলো কিন্তু ওখানেই পাবেন। তবে, প্রয়োজনের বেশি সময় মোটেও কাটানো যাবে না। এতে করে কাজের ক্ষতি হবে। যা খুঁজতে এসেছেন, পাওয়া মাত্রই আবার কাজে ফিরে যান।
প্রোপোজালের প্রতি যত্নবান থাকুন!
ক্লায়েন্টের সাথে সফলভাবে নতুন কন্ট্রাক্ট করার ক্ষেত্রে, প্রোপাজাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। প্রোপাজাল লেখার সময় বাড়তি যত্ন এবং মনোযোগ দেয়া দরকার। ক্লায়েন্টের সাথে প্রথমবার যোগাযোগের মাধ্যম এই প্রোপোজাল। কিন্তু, সেই প্রোপোজালটিই যদি ভুল-ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে, ক্লায়েন্ট নিশ্চয়ই আপনার সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা পাবে না। তাই, প্রোপোজাল লেখা শেষে অন্তত ৫/৬ বার নিজে পড়ে নিন। কোনো গ্রামাটিক্যাল ভুল কিংবা বানান ভুল আছে কিনা চেক করুন। তবে, নিজের লেখা খুব বেশিবার পড়ার ফলে অনেক সময় ভুল-ত্রুটি গুলো চোখে সয়ে যায়। তাই, পরিচিত কাউকে দিয়ে লেখাটি একবার চেক করিয়ে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ব্রেইনকে বিশ্রাম দিন!
একটানা কাজ করার ফলে কাজে একঘেয়ে ভাব আসতে পারে। এতে অনেক সময়, কাজের প্রতি অনীহাও চলে আসে। তাই একটানা কাজ না করে নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য বিরতি নিন। কিবোর্ড ছেড়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিন। এতে রিফ্রেশড্ হবার পাশাপাশি, আপনার মস্তিষ্ক হবে আরও ক্ষুরধার।
শুধু মাত্র কঠোর পরিশ্রম করলেই সাফল্য অর্জন করা যায় না। নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পাশাপাশি, কাজ করার পদ্ধতিও স্মার্ট হওয়া চাই। আর একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, সাফল্য অর্জন করতে আপনাকে অধিক দক্ষতার সাথে কার্যকর ভাবে পরিশ্রম করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপরের টিপস গুলোর সাহায্য নিতে পারেন। সবসময়, আপনার উদ্দেশ্য এবং দক্ষতার ব্যাপারটা মাথায় রেখে কাজ করবেন। এটি আপনাকে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবার পথে অবিচল রাখতে সহায়তা করবে।
মনে রাখবেন, সাফল্য অর্জন করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়! ধৈর্যের সাথে লেগে থাকুন। স্মার্টভাবে কাজ করে যান। সাফল্য আসবেই।
Post by : Amit Hasan
6 thoughts on "ফ্রীল্যান্সারে সফল হওয়ার উপায়।"