আসসালামুয়ালাইকুম – সবাইকে পবিএ মাহে রমজানের শুভেচ্ছা,

মহান আল্লাহ্‌ তায়া লার নামে শুরু করছি _

তারাবী নামাজ কত রাকাত এই বিষয়ে অনেক মতামত দিয়ে থাকে এক এক জন – কেও বলে ২০ রাতাক কেও বলে ৮ রাতাক কেও বলে ৩০ বা ৩৯ রাকাত – আজ এই বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েকের উত্তর –

জাকির নায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিল তারাবির নামাজ ঠিক কত রাকাত ? ৮ নাকি ২০। –

জবাবে তিনি বলেছিলেন,

এক ব্যাক্তি মহানবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলো, ‘কিয়ামুল লাইল’ কিভাবে পড়বো ? তিনি বল্লেন,এটা ২ রাকাত করে পড়া উচিত। যেমন ২ রাকাত,তারপর ২ রাকাত, তারপর ২ রাকাত এবং সূর্য যখন উদিত হবার সময় হয়েআসবে ,তখন ১ রাকাত’।

এভাবে যতখুশী তত পড়া যাবে। তবে আমরা যদি মহানবীর দিকে দেখি,

তাহলে হাদীসে এসেছে, “আয়েশা(রাঃ)-কে রাসুল(সঃ)-এর রমযানের তারাবি নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ(সঃ) রমযান মাসে যখন কিয়ামুল লাইল বা তারাবীর নামাজ আদায় করতেন, তখন ১১ রাকাত আদায় করতেন এবং এর বেশী করতেন না।অন্য মাসে ৮ রাকা’আত ‘কিয়ামুল লাইল’ এবং ৩ রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করতেন। বুখারী-তাহাজ্জুদ-১১৪৭

অনেক হাদীস আছে,

যেখানে বলা হয়েছে, নবী করিম(সঃ) ১১ রাক’আত(৮+৩) ‘কিয়ামুল লাইল’ আদায় করতেন।তবে যদি সাহাবী,সালফে সালেহীন ও তাবেয়ীনদের দেখি, তাহলে তারা ১১,১৩,১৯,২৩ ও ৩৯ এধরনের আদায় করতেন। আরেকটা হাদিসে আছে, “তাবেয়ীনরা রমযানের রাতে ২০ রাক’আত তারাবীহ আদায় করতেন। অন্যত্র বলা হয়েছে, তারা ৩৬ রাকাত আদায় করতেন। কিন্তু নবী করিম(সঃ) ১১ রাকাত আদায় করতেন।তবে তিনি ২+২+২+ এভাবেও আদায় করতে বলেছেন। মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা-পৃষ্ঠা-১৫৬,১৬৬।

সূত্র –  সানবিডি/ঢাকা/আহো

রিলেটেড – যুদ্ধের পর বাংলাদেশের এত মানুষ কোন কখনো এক সাথে দেখা যায় নি যেটি দেখা গিয়েছে ” মিজানুর রহমান আজহারীর ” ওয়াজ মাহফিলে

কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ । যদি যেতে চান – তাহলে এই ভিডিও টি দেখে সতর্ক হয়ে নিন । Cox’s Bazar Tour 2020

রোয়ান অ্যাটকিনসন থেকে মি. বিন হবার গল্প ! সর্বকালের অন্যতম সেরা সেলিব্রেটি। Mr Bean । Rowan Atkinson

আমাদের চ্যানেল –  অনুপ্রেরণার গল্প ঘুরে আসতে পারে ভালো লাগলে SUBSCRIBE করবেন । 

7 thoughts on "তারাবির নামাজ কত রাকাত ? শতভাগ সিউর হয়ে নিন ( ভুল ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন )"

  1. MD Shakib Hasan Contributor says:
    Thanks For Share
  2. Syed Tamal Contributor says:
    হাদীসে এসেছে, “আয়েশা(রাঃ)-কে রাসুল(সঃ)-এর রমযানের তারাবি নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, মুহাম্মাদ(সঃ) রমযান মাসে যখন কিয়ামুল লাইল বা তারাবীর নামাজ আদায় করতেন, তখন ১১ রাকাত আদায় করতেন এবং এর বেশী করতেন না।অন্য মাসে ৮ রাকা’আত ‘কিয়ামুল লাইল’ এবং ৩ রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করতেন।
    এই হাদিসটি তারাবির হাদিস নয় এবং এই হাদিসটি সন্দেহযুক্ত কারণ সকল মুহাদ্দিসগণই, উনাদের নিজ নিজ কিতাবে (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ইত্যাদিতে) এই হাদিসকে তাহাজ্জুতের অংশে রেখেছেন৷ তার মানে বুঝা যায় এই হাদিসখান তারাবির নামাজের অংশ বলা মিথ্যা বরং এই হাদিসটি তাহাজ্জুতের অন্তর্ভুক্ত৷ তাছাড়া তৃতীয়ত আরেকটি কারণ হলো স্বয়ং হযরত আয়েশে সিদ্দীকা আলাইহিস সালাম থেকেই তের রাকাতের কথা বর্ণনা আছে যায় কারণে উপরুক্ত বুখারী শরীফের হাদিসখানা সন্দেহযুক্ত বলা যায়৷
    অনেক আউলিয়া কেরামগণও এই হাদিসকে সন্দেহযুক্ত করেছেন৷ যেমন আব্দুল হক দেহলভী রহমতাতুল্লাহি আলাইহিস সালাম উনার আশয়্যাতুল লোমায়্যাত কিতাবে এই হাদিসকে গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন৷ এই হাদিসটি গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ার আরেকটি কারণ হলো সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তিনি চার রাকাত করে উক্ত নামাজ আদায় করতেন৷ কিন্তু চার রাকাত করে নামাজ তারাবির জন্য গ্রহণযোগ্য নয় কেননা তারাবির নামাজ দুই দুই রাকাত করে আদায় করা হয়৷
    এসব কারণে বলা যায় উক্ত হাদিসটি অগ্রহণযোগ্য যায় কারণে সকল মুহাদ্দিসগণ তারাবির নামাজ বিশ রাতাক সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেই ঐক্যমত হয়েছেন এবং আমরা সেই ঐক্যমতকে স্বীকার করে বিশ রাকাত আদায় করে আসছি৷
  3. obaidollah Contributor says:
    হযরত ওমর (রঃ) ওসমান আলি (রাঃ) ও তাদের জামানার সাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের বেশি জেনে গেছেন? খুব ভালো
  4. sagor100 Contributor says:
    sundar post helpful

Leave a Reply