মোবাইল ফোনের কারণে কি ক্যান্সার হতে পারে? ক্ষতিকর এই মোবাইল রেডিরেশন্স এর জন্য মস্তিষ্কে কী ক্যান্সার হবে ?
অনেকেই বলছেন “বেশি সময় ফোন কানে নিয়ে কথা বললে মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে… পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে রেডিয়েশন থেকে শারীরিক ক্ষতিসাধন হতে পারে৷ এমনকি মোবাইল পকেটে রাখার ফলে পুরুষের স্পার্ম নাকি দুর্বল হয়ে যায় ৷ ” ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলছে?
এমন কোনো গবেষণা কি আছে যা দ্বারা প্রমাণ হয় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে?আমি নীরব ইসলাম সেইসকল প্রশ্নের উত্তরগুলো খুঁজব আজকের এই পোস্টে।
মোবাইল ফোন বা এই ধরনের তারবিহীন যোগাযোগ যন্ত্র থেকে যে তরঙ্গ বিকিরণ (রেডিয়েশন) হয় সেটা সবারই জানা।
তাই বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে এর রেডিয়েশন নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। অনেকেই বলছেন “বেশি সময় ফোন কানে নিয়ে কথা বললে মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে… পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে রেডিয়েশন থেকে শারীরিক ক্ষতিসাধন হতে পারে” ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলছে?
এমন কোনো গবেষণা কি আছে যা দ্বারা প্রমাণ হয় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে?
রেডিয়েশন! রেডিয়েশন!!
আচ্ছা, একটা কথা বলুন তো, আমরা কেনই বা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তায় আছি এটা খুবি ক্ষতিকর?
এর কারণ হচ্ছে, রেডিয়েশন শব্দটার মাঝেই আমরা একধরনের ভয় পাই, কেনো ভয় পাই ?
যে এই অদৃশ্য শক্তির নিশ্চয়ই অনেক ক্ষমতা!
আপনার এটাই উত্তর দিবেন যে , জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক হামলায় রেডিয়েশনে মানুষের ক্ষতির কথা ৷ যা বর্তমানেও বিদ্যমান ৷ এখন অনেক মানুষ ঐ এলাকায় এখনও পঙ্গু হয়ে জন্মগ্রহন করে ৷ যাহোক এ বিষয়ে বলার কিছু নাই ৷ এটা অনেকেই যানেন ৷ আর না জানলে wiki থেকে দেখে আসুন
হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক হামলা বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন Wikipedia থেকে
তাহলে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ গুলোও থেকে মানুষের কি ক্যান্সার হতে পারে বা ঐ ধরনের পঙ্গুর মতো কীছু সৃষ্টি হবে ?
সত্যি কথা বলতে গত কয়েক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চেষ্টা করছেন।
তবে আমি এক্টু গুগোলে ঘাটাঘাটি করে যেটা জানতে পারলাম যে , এখনও এ সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া এখনো যায়নি।
গবেষণা যেতুটুকু জানা গেছে :-
গত বছর প্রকাশিত আমেরিকান সরকারের একটি গবেষণায় কতগুলো ইঁদুরের উপর খুবই উচ্চমাত্রার সেলফোন রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হলে দেখা যায় কিছু পুরুষ ইঁদুরের হৃদপিণ্ডে এক ধরনের টিউমার সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু পুরুষ ইঁদুরের ব্রেইনেও টিউমার ধরা পড়ে। অবশ্য, স্ত্রীজাতীয় ইঁদুরে এই সমস্যা দেখা যায়নি। এর সাাথে যোগসূত্র থাকার ব্যাপারে একটি প্রেস রিলিজও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রোমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সরকারি সংস্থা এফডিএ এ ব্যাপারে বলছে, বর্তমানের সেফটি লিমিট অনুযায়ী সেলফোন থেকে বিকিরিত রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি (বেতারতরঙ্গ শক্তি) মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে এফডিএ বিশ্বাস করে।
যদিও এসব ব্যাপারে পুরোপুরি সত্যতা এখনও প্রমান হয়নি তবে গবেষণা চলছে।
সেলফোনগুলো থেকে অবশ্যই পরিবেশে রেডিয়েশন হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই না যে এটা একটা পারমাণবিক বোমা থেকে বা এক্সরে মেশিন থেকে প্রাপ্ত রেডিয়েশনের মতো শক্তিশালী!
মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কি ক্ষতিকর?
রেডিয়েশন বিভিন্ন রকম হতে পারে যার মান ভিন্ন ভিন্ন৷ অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে,
“সেলফোনের রেডিয়েশন হচ্ছে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন যা মানুষের দেহকোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে টিউমার সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। এগুলোকে বলে ‘নন-আয়োনাইজিং’ রেডিয়েশন বলে, যা কোষে ডিএনএ এর রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে ক্যান্সার তৈরি করতে সক্ষম নয়। এ ধরণের আরও কিছু ‘নন-আয়োনাইজিং’ রেডিয়েশন হচ্ছে এফএম রেডিওর তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ এবং দৃশ্যমান আলো।
অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি আরও বলছে, অনেক বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোনের তরঙ্গ যদি মানবদেহের সংস্পর্শে আসে, তাহলে এটি শরীরের কোষের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে (মাইক্রোওয়েভ ওভেন যেভাবে কাজ করে আরকি)। সেইসাথে সাইটটি এটাও বলছে, মোবাইল ফোন থেকে বিকিরিত তরঙ্গের শক্তি এতটাই কম, যে তা মানুষের কোষের উষ্ণতা বৃদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট না।
যদি… কিন্তু… তাই…
অবশ্য সবকিছুর পরেও সেলফোন রেডিয়েশনকে ক্ষতিকর মনে করার জন্য অনেক তথ্য উপাত্ত হয়ত আপনি পাবেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরাও এখনো সম্পুর্ন পরিষ্কার নন বিষয়টি নিয়ে। শত শত গবেষণা হয়েছে, কিন্তু সরাসরি সেলফোন রেডিয়েশনকে মানুষের জন্য ক্যান্সারের কারণ বলে কেউ ১০০% প্রমাণ করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা বরাবরই এর ঝুঁকির ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দিনে দিনে নেটওয়ার্কে পরিবর্তন আসছে। ইঁদুরের ওপর পরিচালিত উপরোক্ত গবেষণা ২জি, ৩জি নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে করা হয়েছে। এখন ৪জি ও ৫জি এর যুগ। তাই সময়ের সাথে মোবাইল ফোনের বিকিরণ মানবদেহে কেমন প্রভাব ফেলে সে ব্যাপারে উপসংহার টানার সময় এখনও হয়নি।
তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা আগাম সতর্কতা হিসেবে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন, তাই আমাদের অবশ্যই যতটা সম্ভব মোবাইল ব্যবহার কমানো উচিত। সেই সাথে মোবাইল ফোন এর অতিরিক্ত ব্যবহার যেন আমাদের যান্ত্রিক না করে দেয় সেদিকে খেয়াল রাখাটাও অনেক দরকার।
সৈজন্য :JobKhujo.com
এখন ফ্রি
>প্রিমিয়াম ব্লোগার টেমপ্লেট
>প্রিমিয়াম Wirdpress Thems
>প্রিমিয়াম Andrioad Apps
>প্রিমিয়াম PC Apps পেতে জোয়েন করুন ProDokan ফেসবুক গ্রুপ এ ৷ জোয়েন করতে এখানে চাপুন
3 thoughts on "মোবাইল ফোনের কারণে কি ক্যান্সার হতে পারে? ক্ষতিকর এই মোবাইল রেডিরেশন্স এর জন্য মস্তিষ্কে কী ক্যান্সার হবে ?"