আমাদের দেশে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে । সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে প্রতি বছর তুলনামূলক অনেক বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হচ্ছে । ফলে কারিগরি লাইনের অনেক শিক্ষার্থীর মনে একটি প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে যে , পলিটেকনিক এ পড়াশোনা করে বা ডিপ্লোমা পাস করে – ডিফেন্স এর কোনো বাহিনীতে যোগদান করা যাবে ? নাকি যাবে না ?

আজকের পোস্ট এ আপনারা এই বিষয় টি বিস্তারিত জানতে পারবেন – সুতরাং পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।

 

আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষা পূর্বের তুলনায় এগিয়ে গেলেও ডিফেন্স এর চাকরি গুলোতে এখনো সম্পূর্ণ ভাবে এর মূল্যায়ন করা হয় না । অর্থাৎ নির্দিষ্ট কয়েকটি বাহিনী ছাড়া – কারিগরি বা ডিপ্লোমার – শিক্ষার্থীর দের জন্য আলাদা ভাবে কোন পদের সার্কুলার হয় না ।

সামরিক ৩ টি বাহিনীর মধ্যে – শুধুমাত্র বিমান বাহিনী এবং নৌ বাহিনীতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় এর উপর কিছু সংখ্যক কারিগরি শিক্ষার্থী দের নিয়োগ দেয়া হয় ।

যেমন –

বিমান বাহিনীর বিমান সেনা সার্কুলার এর চিকিৎসা সহকারী ট্রেড এর জন্য শুধুমাত্র Diploma in MATS এর প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় ।

এবং নৌ বাহিনীর ক্ষেত্রে – টেকনিক্যাল শাখায় কারিগরির নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে –

যেমন –

ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে –
ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি – ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল এবং পাওয়ার টেকনোলজি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় ।

ইলেক্ট্রিক্যাল শাখার ক্ষেত্রে –
ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়

রেডিও ইলেক্ট্রিক্যাল শাখার ক্ষেত্রে –
ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়

এবং অর্ডিন্যান্স শাখার ক্ষেত্রে –

ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল টেকনোলজি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়

 

সামরিক এই ২ টি বাহিনী তে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা বা কারিগরি প্রার্থীদের জন্য কিছু পদ রয়েছে । তাছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তে এখন পর্যন্ত ডিপ্লোমা প্রার্থীদের জন্য আলাদা ভাবে কোন পদের সার্কুলার হয় না ।
এছাড়াও পুলিশ এবং আনসার সহ ইত্যাদি বাহিনী গুলো তে এখন পর্যন্ত ডিপ্লোমা বা কারিগরি প্রার্থীদের জন্য আলাদা ভাবে কোন নিয়োগ দেয়া হয় না ।

( তবে ডিপ্লোমা পাস করা প্রার্থীদের এইচ এস সি এর সমমান ধরা হয় ) 

যেমন – আপনারা হয়ত জানেন যে, সেনাবাহিনীর সৈনিক পদবীতে যারা এইচ এস সি পাস করে যোগদান করে তাদের ট্রেনিং ৬ মাস হয়ে থাকে এবং যারা এস এস সি পাস করার পর যোগদান করে তাদের ট্রেনিং ১ বছর হয়ে থাকে ।

( এক্ষেত্রে যারা ডিপ্লোমা পাস অর্থাৎ যাদের সার্টিফিকেট রয়েছে তাদের এইচ এস সি সমমান ধরা হবে )

এবং ডিপ্লোমা পাস করার পর যারা বি এস সি সম্পূর্ণ করবে তাদের স্নাতক সমমান ধরা হবে – এবং বি এস সি করার পর তারা স্নাতক সমমান যে কোন পদবীতে আবেদন করতে পারবে ।
( যেমন – সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার এবং বিমান বাহিনীর সাইফার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি )

পরিশেষে – 
কারিগরি বা ডিপ্লোমা প্রার্থীদের জন্য ডিফেন্স এর চাকরি গুলো তে আরো নির্দিষ্ট কিছু পদে যোগদান করার সুযোগ করে দেয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কি তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন ।

 

( নতুন সার্কুলার এর নতুন নিয়ম সহ বিস্তারিত জানতে আমাদের চ্যানেল এ চোখ রাখুন  )

বিদ্রঃ –

ডিফেন্স। সরকারি। প্রাইভেট সকল প্রকার চাকরির গোপন  তথ্য – সাহায্য এবং ডিফেন্স এর মেডিক্যাল যে, কোন সমস্যার সমাধান এবং রহস্য ও রোমাঞ্চ ভিন্ন রকম ভিডিও পেতে  আমাদের চ্যানেল টি ভিজিট করতে পারেন।

(ভালো লাগলে Subscribe করবেন)

( আমাদের চ্যানেল এ ১০০ ভাগ সঠিক তথ্য প্রদান করা হয় – যা আপনি নিজে যাচাই করে দেখতে পারেন )

( আমাদের চ্যানেল এ ১০০ ভাগ সঠিক তথ্য প্রভাইট করা হয় – যা আপনি নিজে যাচাই করে দেখতে পারেন )

আমাদের চ্যানেল – Career Message 

যদি কোন যায়গায় বুঝতে সমস্যা হয় টিউমেন্ট করবেন আমি ইন শা আল্লাহ্‌ উওর দিবো।

Leave a Reply