আসসালামুয়ালাইকুম।
সবাই কেমন আছেন..?
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD ভিজিট করে না।
তাই আপনাকে TrickBD আসার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন কিছু জানতে TrickBD এর সাথেই থাকুন।


অনেকেই হয়তো টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন আমি কি নিয়ে পোস্ট করছি। ২দিন আগে আমি ৫টি ভয়াবহ ভাইরাস এর ১ম পার্ট দিয়েছি আজকে আমি ২য় পার্ট এন্ড এটাই শেষ পার্ট দিবো


তো চলুন শুরু করা যাক

HANTA VIRUS




এ কথা সত্য যে হান্টা ভাইরাস আপনার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জ্বী হ্যা আপনি ঠিকই শুনেছেন। কারণ কেউ জানেনা যে এটা কোন ইদুরের শরীরে হান্টা ভাইরাস রয়েছে। আলাদা আলাদা জীবের মধ্যে আলাদা আলাদা হান্টা ভাইরাস বাস করে। এটি সর্বপ্রথম কোরিয়ান যুদ্ধের সময় এই পৃথিবী তে এসেছিল। আর তারপর এর আসল রূপ নেয় ১৯৫৩ সালে। South Western America তে দেখেছিল মানুষজন আর এটি সংক্রমনের ফলে মানুষের কিডনি ফেইল হয়ে যায় অথবা তাদের ফুসফুসে পানি জমতে পারে। আর পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি ১০০ জন সংক্রমিত মানুষ থেকে ৩৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়ে যায়। কিন্তু ভালো খবর যে আমেরিকাতে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়।

SARS virus




Severe Acute Respiratory Syndrome. এটাও একটা করোনার অন্য রকম রোগ। সর্বপ্রথম পৃথিবীতে নভেম্বর মাসের ২০০২ সালে এটির উতপত্তি হয়। এটা চায়নাতেই প্রথম একটি ব্যাক্তির মধ্যে শনাক্ত করণ করা হয়েছিল। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর ৩৭টি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। WHO এর হিসাব অনুযায়ী ২০০৩ সালে আস্তে আস্তে তাদের কাছে ৮হাজার ৯৪টি রিপোর্ট আসে। যার মধ্যে ৭হাজার ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। আর মৃত্যুর খবর নিয়ে চায়না সেবারেও ধামাচাপা দিয়েছিল আর জুলাই ২০০৩ এ আস্তে আস্তে শুধুমাত্র চায়নাতেই ৩৪৯ জন মারা যায়। আর এটা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে মানুষ সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিল। আর পুরো পৃথিবীর মানুষ তার নিজের নিজের বাসায় যেতে থাকে কিন্তু এশিয়ার কোনো দেশ তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। আর সে সময় চায়না সকল এয়ার্পোট গুলোকে বন্ধ করা হয়েছিল। যার কারণে রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাস চায়নার গোমর ফাস করে দিয়েছিল। চায়না প্রতিবারেই ভাইরাসের মহামারি পৃথিবীকে জানাতে চায় না। আর এই ভাইরাস হওয়ার পর চায়না চার মাস পর্যন্ত WHO কে কিছুই জানায়নি। যার কারণ পুরো পৃথিবী চায়নার বদনাম ছড়িয়ে ছিল।

DENGUE




এ কথা সত্য যে ডেঙ্গি যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় ডেঙ্গু বলে থাকি। এ ভাইরাস সংক্রমনের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা মোট কেউ ঠিকমত বলতে পারেনা।এরা মূলত মশার দ্বারা ছড়ায়। এই ভাইরাস সংক্রমনের ফলে অত্যধিক জ্বর হাচি কাশি মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। এটার পরিপূর্ণ ভ্যাকসিন কেউ তৈরি করতে পারেনি। এই ভাইরাস এখনো এক্টিভ আছে। তবে একেবারে বেশি নেই।



ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং শরীরের যত্ন নিবেন। আর নিয়মিত নতুন ট্রিক পেতে TrickBD ভিজিট করুন।
আবার দেখা হবে অন্য পোস্টে । আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply