আমরা অনেকেই হয়তো উচ্চমাধ্যমিকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝির পড়েছি। ১৯৯৩ সালে এই উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে মুভি নির্মাণ করেছিলেন গৌতম ঘোষ। ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার মুভি ছিল এটি।
মুভিটা অনেক পুরনো হলেও বর্তমান সমাজের অনেক ছেলেমেয়ে পোস্টের স্থিরচিত্রের সাথে পরিচিত বিভিন্ন রকম মিমস এর কল্যানে।
আমিও তাদের মধ্যে একজন যে কিনা মিমস্ এর কল্যাণে পদ্মা নদীর মাঝি মুভি সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
যথারীতি মিমস দেখার পর আগ্রহ জেগে উঠলো সম্পূর্ণ মুভি টা দেখার। যেই কথা সেই কাজ। সাথে সাথে দেখা শুরু করে দিলাম।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসের অন্যতম মাস্টারপিস বলা যেতে পারে এই মুভি কে। সকলের অভিনয় এতটাই সাবলীল এবং মনমুগ্ধকর ছিল যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
কপিলা এবং কুবের সবচাইতে বিখ্যাত ডায়লগ এর মধ্যে হচ্ছে “আমারে নিবা মাঝি লগে”!
নদীর সাথে এই বাংলার মানুষের গভীর সম্পর্ক খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পদ্মার পাড় কে কেন্দ্র করে জেলে এবং সাধারণ মানুষের সংগ্রামী জীবন আপনার মনে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
সেইসাথে উপন্যাসে যত সুন্দর করে প্রকৃতির বর্ণনা দেয়া হয়েছে মুভিটির পরিচালক ঠিক একই রকম প্রকৃতির মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
মুভিতে অভিনয় কৃত একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
যারা এখনো এই মাস্টারপিস মুভি দেখেননি তারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
2 thoughts on "পদ্মা নদীর মাঝি: লিজেন্ডারি বাংলা মুভি। “আমারে নিবা মাঝি লগে” এই মুভি থেকেই টেমপ্লেট নেয়া হয়েছে। সাথে রিভিউ + লিংক"