আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

কিভাবে Unstoppable হয়ে উঠবেন

যেকোনো ফিল্ডেই আনস্টপেবল হতে হলে মাত্র দুটো স্টেপ রয়েছে। প্রথমটা হল সেই সব আওয়াজ গুলো বন্ধ করে ফেলা যেগুলো আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। এই আওয়াজ আবার দুই ধরনের হতে পারে। এক হলো অন্যদের আওয়াজ। এই অন্যরা কারা তারা হল আপনার বন্ধু আত্মীয়স্বজন এমনকি আপনার বাবা-মা ও।

এমনটা হয়ে থাকে যখন আমাদের নতুন কিছু করার কথা মাথায় আসে আর নতুন আইডিয়া মাথায় আশায় আমরা এক্সাইটেড হয়ে যায়। তখন আমরা উত্তেজনাবশত সেগুলো গিয়ে তাদের সাথে ডিসকাস করতে শুরু করে দিই। আর তখন যেটা হয় তারা সবাই একদম আমাদের আইডিয়ার বিরুদ্ধে বলতে লেগে যায়। যেমন আরে না এই কাজে কোনো ভবিষ্যত নেই। লোকে কি বলবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাহলে এনাদের আওয়াজ বন্ধ করা কিভাবে সম্ভব। এনাদের সাথে তো সম্পর্ক মুছে ফেলা যাবে না। কারণ এনারা আমাদেরই আপনজন। তাহলে কি করা যায়…? এরকম সিচুয়েশনে কেউ যদি আপনার কাছে এসে বলে এই কাজটা পাড়া কখনো সম্ভব না। তাহলে না তো আপনাকে তাদের সাথে ঝগড়া করতে হবে।নাইবা চুপ থাকতে হবে। আপনাকে তাদের শুধু একটা ছোট্ট প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে হবে। কেন…?

কেন সম্ভব না। তাদের মধ্যে 90 শতাংশ লোকই আপনারাই কেন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারবে না। আর যদি জবাব দেয় সেটা হাস্যকর জবাব হবে। যেমন ধরুন কেউ বলল পরীক্ষায় কোনদিন ভালো নাম্বার তো পেলি না এত বড় বিজনেস কিভাবে সামলাবি। মানে তারা পরীক্ষার মাক্স এর সঙ্গে বিজনেসকে রিলেটেড করবে।

এই কথার না আছে কোন মানে আর না আছে কোন লজিক। এখন বাকি টেন পার্সেন্ট লোক এমন হবে যাদের কাছে সত্যি সত্যিই আপনার কেন প্রশ্নের জেনুইন জবাব থাকবে। এমন লোক যদি পেয়ে যান তো আরাম করে বসে তার সবগুলো কথা শুনে ফেলুন। তারপর নিজে গিয়ে তার বলা প্রবলেম গুলোর সমাধান একা একা খুঁজুন। মানুষটিকে মন থেকে একটা ধন্যবাদ’ দিন। কারণ এই মানুষগুলোই আপনার চলার পথে জেনে বা না জেনে আপনাকে অনেক খানি সাহায্য করে দেয়।

কোন প্রবলেম এর সমাধান যদি নাও পান তবুও থেমে যাবেন না। শুধু এই সমস্যাটার কথা মাথায় রেখে এগোতে শুরু করুন। চলতে চলতে সেই সমাধানটাও আপনি ঠিকি পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি এটা ভেবে বসে থাকেন যে যখন সমস্ত সিগন্যাল গ্রীন হবে তবেই আপনি ঘর থেকে বের হবেন। তাহলে আপনারা কখনোই বের হওয়া হবেনা। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন। কেউ যদি আপনাকে বলে যে তুমি এই কাজটা কখনোই করতে পারবে না।

তাহলে সেই শুধু এটা আপনাকে বলতে চাইছে যে যেহেতু সে নিজেই কাজটা কখনো করতে পারেনি। তাই তার ধারণা দুনিয়ার কারো পক্ষেই কাজটা করা সম্ভব না। যেটা একেবারেই মিথ্যা। তো এভাবে প্রথম ক্যাটাগরির আওয়াজ অর্থাৎ অন্যদের আওয়াজ আপনি বন্ধ করে দিতে পারবেন। এবার আসি দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে এই ওয়াজটা প্রথম ক্যাটাগরির থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী আর এই আওয়াজ হলো আপনার নিজের আওয়াজ।

আপনার নিজে থেকে তৈরি করা কিছু Mental Barriers এগুলোর কারণে আপনি সামনে এগোতে পারছেন না। আপনার চলার পথের সবচেয়ে বড় বাধা। এখন এই জিনিসটাকে কিভাবে দূর করবেন। দুনিয়ায় দুই ধরনের মানুষ আছে। এক যারা সবসময় তাদের হাত মাথার উপরে ধরে থাকে অর্থাৎ তারা সব সময় Problem Avid করে চলতে চায়। এই মানুষগুলো পথে বাধা দিনদিন বড়ই হতে থাকে।

আরেক ধরনের মানুষগুলো যারা দুই হাত সবসময় ছড়িয়ে পেতে রাখে। অর্থাৎ সব সময় সব ধরনের প্রবলেম ফেস করতে প্রস্তুত থাকে। যার কারণে এদের ভেতরে সবসময়ই একটা এনার্জি ফ্লো করতে থাকে। এই এনার্জি থাকে তারা কখনোই নিজের ভেতরে যেতে বাধা দেয় না। আর এই এনার্জি কারণেই তাদের পথের বড় বড় বাধা আস্তে আস্তে ছোট হতে থাকে। এভাবে একটা সময় আসে যখন সেই বাধাটা একেবারে দূর হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন হল এই প্রবলেম ফেস করার সাহসটা আসে কোথা থেকে। এই সাহসটা আসে সঠিক প্রশ্ন করার মাধ্যমে। এটা এরকম কেন..? এটা কিভাবে চেঞ্জ করা যায় কিংবা কেন চেঞ্জ করা যায় না…? এই কঠিন প্রশ্ন গুলো নিজেকে করার মাধ্যমেই সেই সাহসটা আসে। আর তখন আপনার দ্বিতীয় ক্যাটাগরির আওয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। তার মানে তখন আর এমন কোন আওয়াজই থাকেনা যে আওয়াজ আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দিতে পারে।

আর আনস্টপেবল হওয়ার দ্বিতীয় স্টেপ টা হল আপনি আপনার কাজের জন্য কি পেলেন না পেলে সেটাকে ভালো না বেসে শুধুমাত্র কাজটাকেই ভালোবাসা। নাইনটি নাইন পারসেন্ট লোক এই জায়গাটাতে এসেই ভুল করে। এজন্যই মাত্র এক পারসেন্ট মানুষই তাদের যার যার ফিল্ডে আনস্টপেবল হয়ে ওঠেন। বাকিয়া হয় মিডিয়াকার না হয় ফেলিয়ার হয়ে থেকে যান।

যেকোনো কাজেই যখন আপনার হান্ডেট পার্সেন্ট ফোকাস থাকবে তখনই একমাত্র আপনার কাজটা এক্সট্রাঅরডিনারি হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল কোন মেটেরিয়াল এচিভমেন্ট যদি কারোর উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে সে কখনোই খুশি থাকতে পারবে না। কারণ সে যতটা চায় ততটা না পেলে আফসোস করতে থাকবে। আর যদি পেয়ে যায় তাহলে নতুন কিছুর পেছনে আবার ছুটতে শুরু করে দেবে।

যদি না পায় তোর না পাওয়ার কষ্ট আর যদি পেয়ে যায় তো হারানোর ভয়। এই দুই অনুভূতির টানাপোড়নে তার পুরো জীবনটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু কারো যদি কোন কাজে এক্সেলেন্সি আচিপ করা কিংবা এক্সট্রাঅরডিনারি হয়ে ওঠা উদ্দেশ্য হয়। তাহলে সে সবসময়ই খুশি থাকবে। কারণ তখন তার না কিছু হারানোর ভয় থাকবে না থাকবে কিছু পাওয়ার লোভ। তার শুধু কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকবে। ওই নির্দিষ্ট কাজটাই এক্সেলেন্সি এচিভ করাই হবে তার উদ্দেশ্য। এই মানুষগুলোই তাদের যার যার ফিল্ডে আনস্টপেবল হয়ে ওঠেন।

চলুন আজকের পুরো আর্টিকেলের সামারি দেখে নিই। লাইফে কোন ফিল্ডে আনস্টপেবল হওয়ার প্রথম স্টেপ হলো যে আওয়াজ গুলো আপনাকে সামনে এগোতে বাধা দিচ্ছে সেগুলো বন্ধ করা। এর মধ্যে প্রথম হলো অন্যদের আওয়াজ। যেটা বন্ধ করতে আপনাকে কেন প্রশ্ন করতে হবে। আর দুই হলো আপনার নিজের ভেতরের আওয়াজ। এটাকে বন্ধ করার জন্য যেকোনো সমস্যা কে ভয় না পেয়ে তাকে ফ্রিজ করার সাহস অর্জন করতে হবে। আর আনস্টপেবল হওয়ার দ্বিতীয় স্টেপ হলো কোন মেটেরিয়াল এচিভমেন্ট-এর পেছনে না পড়ে থেকে শুধুমাত্র কাজকে ভালবাসতে হবে।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Leave a Reply