জিয়ারতের ফজিলত :

অতীত ও বর্তমানের সকল ওলামায়ে কেরামের ইজমা হল যে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওজা জিয়ারত করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম প্রধান উপায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা একথা বলে আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, আর যদি তারা নিজেদের আত্মার উপর জুলুম করে এবং আপনার কাছে এসে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং রসুল তাদের জন্য সুপারিশ করেন তবে তারা আল্লাহকে পাবে তওবা কবুলকারী দয়াবান। (সুরা নিসা-৬৪) সুতরাং নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুনাগারের জন্য আল্লাহর দরবারে অসিলা-তাঁর জীবদ্দশায় এবং ওফাতের পরেও। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, দরবারে গিয়ে ইসতেগফার করা এবং গুনাহগারের জন্য আল্লাহর দরবারে তাঁর সুপারিশ- চাই তা তাঁর জীবদ্দশায় কিংবা ওফাতের পর-এ সব কিছুর উপর নির্দেশ প্রদান করে। রওজা শরিফে এ জন্য যাওয়া উত্তম। কেননা, প্রিয়নবি স্বশরীরে রওজা পাকে জীবিত। তিনি তাঁর উম্মতের সালামের জবাব দেন। তাঁর রওজা জিয়ারতের মাধ্যমে তার প্রতি মুহাব্বত বৃদ্ধি পায় ।

বাধা দানের পরিণতি :

নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মুবারক জিয়ারত করা আল্লাহর নৈকট্যের অন্যতম প্রধান উপায় হওয়ার উপর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপরন্তু হাসান পর্যায়ের অনেক হাদিস দ্বারা এ বিষয়ে যথেষ্ট তাগিদ দেয়া আছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “আর যদি তারা নিজেদের আত্মার উপর জুলুম করে এবং আপনার কাছে এসে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং রসুল তাদের জন্য সুপারিশ করেন তবে তারা আল্লাহকে পাবে তওবা কবুলকারি দয়াবান” (নিসা ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে যাওয়া, সেখানে গিয়ে তাঁকে আল্লাহর দরবারে এস্তেগফার করার মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপনে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করা চূড়ান্ত সফলতা থেকে বঞ্চিত হওয়া, রহমত থেকে দূরে সরে থাকা এবং আল্লাহর নির্দেশিত বিষয়ের বিরোধিতা করার নামান্তর। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া মুনাফিকদের অভ্যাস এবং তাঁর দরবারে একনিষ্ট হয়ে থাকা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পাথেয়। অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম উপরের আয়াতে করিমার মর্মালোকে শুধুমাত্র মদিনা মুনাওয়ারার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে পৃথক সফর করেছেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক থেকে বারণ করা ঐ সকল প্রেমিকদের জন্য ভয়ানক বিপদ, যাদের অন্তরসমূহ রওজা মুবারকের সাথে লেগে আছে, কিন্তু মুনাফিকরা তা বুঝতে পারে না।

2 thoughts on "নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর রওজা মোবারক জিয়ারত ফজিলত এবং জিয়ারতের বাধাদানের পরিনিতি…"

  1. pollob1122 Contributor says:
    vaia apni hadis ta valo kore poren ektu.hadis a kobor jiyaroter kotha kothau bola nei.ar apni j hadis bornonona koresen seta akhirater kotha bola hoyese j kisu manush bipode porbe tara onek nobider kase jaben.kintu tara ei sokol manushder help korte parben na.ekmatro Mohanobi S. amader jonno suparish korben.kobor gitarot kora ba paka korar kotha soja mana koresen amader priyo nobi.Tini manush silen.Amra maf chaibo sudhu Allahr kase.Ar gun nebo amder nobir.Kobor a salam debar niyom,milad korar niyom,salater aage arbite,banglaw niyat egulo hadise kothau nei.apni please aage hadis ta niye torjoma dekhen AHOLE Hadiser.Ami vul hole amaw mail kore sikhaw deben.vul hotei pare.ami egulo niye onek ghatsi.ami hujur na aage amder hadiser boi follow kori.Jara dekhsen tader bolsi please aage hadis torjoma dekhe nije thik korben.
    [email protected]

Leave a Reply