হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদেরকে আবারো আমাদের এই সাইটে স্বাগতম জানাই। আজকে আমি আপনাদের সাথে মোবাইল ফোনের IMEI নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

মোবাইল ব্যাবহার করে অথচ আইএমইআই নাম্বার (IMEI) নামটা শুনে নাই এমন মানুষ কম পাওয়া যাবে। মোবাইল বা স্মার্টফোন কেনার সময় প্যাকেজিং এর সাথে আমরা কিছু স্টিকার দেখতে পাই, আর এখানে এইসব IMEI নাম্বার লেখা থাকে। তবে এই আইএমইআই নাম্বার (IMEI) কি, এর কাজ বা এটা দিয়ে কি করা হয়, সে সম্পর্কে হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। চলুন দেরি না করে এবার জেনে নেয়া যাকঃ-

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন খুবই প্রচলিত একটি প্রযুক্তি পন্য। দিনে দিনে এর ফিচার আপগ্রেড করে মানুষের জটিল ও জরুরী ব্যাবহার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। আর সেকারনে এইসব স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ফলে চোরদেরও অন্যতম টার্গেট হয়ে দাড়িয়েছে। তো আপনার স্মার্টফোনটি হয়ত আপনি দূর্ঘটনাবশত হারিয়ে ফেললেন অথবা কেউ চুরি হয়ে গেল। তখন সেই স্মার্টফোন কিভাবে ফিরে পাবেন বা জানবেন কোথায় আছে? চোর নিজেকে রক্ষার জন্য প্রথমেই সীমকার্ড খুলেও ফেলতে পারে, সময় আপনি কি করবেন?

এই সময় আপনাকে সাহায্য করবে আপনার ফোনের  আইএমইআই নাম্বার (IMEI)।

আইএমইআই নাম্বার কি?

আইএমইআই (IMEI) এর পূর্নরূপ হলো International Mobile Equipment Identity. এই IMEI প্রতিটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি সংখ্যাসূচক পরিচয় বা আইডিন্টিটি। এ কারনে প্রতিটি ডিভাইসের আইএমইআই নম্বরই অনন্য তথা একটি আরেকটির থেকে ভিন্ন।

মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানির কাছে আপনার মোবাইল ডিভাইসটির সকল তথ্য এই আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে। আর তাই আপনি যখন কোন কারনে আপনার মোবাইল সার্ভিসিং এ নিয়ে গিয়েছেন কাস্টমার কেয়ারে, তারা আপনার ফোনের আইএমইআই নম্বরটি চেক করে ফোনের সব ডাটা বের করেছে; যেমনঃ ওয়ারেন্টি আছে কিনা, কবে বিক্রি হয়েছে ইত্যাদি।

মূল আইএমইআই নম্বরটি হয়ে থাকে ১৪ ডিজিটের। তবে পুরো আইএমইআই নম্বরটি ভেরিভাই এর জন্য এর সামনে আরো একটি সংখ্যা থাকে যা মিলে পুরো আইএমইআই নম্বরটি হয়ে যায় ১৫ ডিজিটের। তবে এখন অনেক আইএমইআই নম্বরে ডিভাইসের সফটওয়্যার ভার্সন সংস্করন এর জন্য আরেকটি সংখ্যা থাকে, ফলে আইএমইআই নম্বরটি হয়ে যায় ১৬ ডিজিটের। আর এসব আইএমইআই নম্বরকে IMEISV’ও বলা হয়।

এবার জেনে নিন আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি দেখবেন কিভাবে?

আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি অনেক উপায়ে দেখা যেতে পারে। তবে আমার কাছে ফোন নম্বর ডায়াল করার মত করে একতি কোড ডায়াল করে এই নম্বরটি চেক করা সবচাইতে সহজ লাগে। আপনার ফোনের ডায়ালর অপশনে গিয়ে *#06# নম্বরটি ডায়াল করলেই ফোনের আইএমইআই নম্বরটি ডিসপ্লেতে দেখতে পারবেন।

এছাড়া এন্ড্রয়েড ডিভাইসের Settings> About> Phone> Status এ গিয়ে আপনি আপনার IMEI নম্বরটি দেখতে পাবেন। আবার অ্যাপেল ইউজাররাSettings> General> About এ গিয়ে IMEI নম্বর দেখতে পাবেন। আপনার ফোন কেনার সময় সাথে থাকা বক্সে এবং ওয়ারেন্টি কার্ডেও আপনি IMEI নম্বরটি খুঁজে পাবেন।

আইএমইআই নাম্বার কতটা দরকারি?

বর্তমানে মোবাইল বৈধভাবে আমদানি করা বা দেশে উৎপাদিত কি না, তা যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে খুদে বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহকেরা সহজেই বৈধ বা অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করতে পারবেন।

নতুন মুঠোফোন কেনার আগে সেটির মোড়কের গায়ে লেখা ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি দেখে নিবেন। এরপর মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখে 16002 নম্বরে খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। ফিরতি খুদে বার্তায় গ্রাহক বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে ওই আইএমইআই নম্বরটি আছে কি না, তা জানতে পারবেন।

অনেক অবৈধ মোবাইল ফোন, যেমন: নকল আইফোন এগুলোতে IMEI নাম্বার থাকে না। আবার অনেক নকল বা অবৈধ ফোনে কারাপ্টেড IMEI নম্বর থাকে। তাই আপনার ফোন আসল কিনা বা IMEI নম্বর ভ্যালিড কিনা তা জানতে IMEI.info এর মত অনলাইন চেকার ব্যবহার করতে পারেন।

এখন অ্যাপেল বা শাওমির মত ওয়েবসাইটে তাদের ডিভাইসের IMEI ভেরিফাই করার অপশন থাকে, তাই কেনার আগে IMEI ভেরিফাই করে আসলটা কিনবেন।

আইএমইআই নাম্বার দিয়ে কি হয়?

IMEI হল একটি মোবাইল ডিভাইসের কমপ্লিট আইডেন্টিটি। ধরুন আপনার ফোন হারিয়ে গেছে, তবে আপনি বিভিন্ন এনড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ ব্যবহার করে, কেবল IMEI দিয়ে ফোনটি ট্র্যাক করতে পারেন। আবার আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের জন্য থানায় অভিযোগ করতে গেলে, তারাও IMEI নাম্বার চাবে এবং তা দিয়ে আপনার ফোন ট্র্যাক করতে পারবে।

অন্যদিকে যে সব ক্লোন বা নকল আইএমইআই সংবলিত কিংবা অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রয়ে, সে সব হ্যান্ডসেট থেকে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দেবে বিটিআরসি।

নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।

পরামর্শ: আপনার ফোনের IMEI নাম্বারটি সব সময় সংরক্ষণ করুন। বলা যায় তো যায় না, ভবিষ্যতে কখন লাগবে।

তো আশা করছি পোস্ট টি ভালো লাগলে পোস্ট ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আর প্রতিদিন এমন নৃত্য নতুন পোস্ট পেতে ভিজিট করতে থাকুন এই সাইট টি।

4 thoughts on "IMEI দিয়ে কি কি করা সম্ভব? জেনে নিন"

  1. Tech Noyon Contributor says:
    Bro Tumar Seo Siktha khoto din lagcha
    1. Md Saif Hasan Contributor Post Creator says:
      30 Days!
  2. Tech Noyon Contributor says:
    Amio siktha chai khoto theke sikbo

Leave a Reply