আপনি কি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। কিন্তু এখনো ভোটার হতে পারেননি অথবা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নেই। তাহলে এখনই সুযোগ আপনার ভোটার হওয়ার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাওয়ার। আসলে আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থেকে থাকে। তাহলে আপনি দেশের মধ্যে থাকা অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেটা আপনারা কোন কাজে ক্ষেত্রে গেলে বুঝতে পারবেন। তাই যেহেতু এখন সুযোগ এসেছে তা করার। তাই দেরি না করে করে ফেলেন। তো এই ভোটার তালিকা হালনাগাদের মধ্যে নিজের নাম উঠাতে আপনার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা জানতে পোস্টটি ভালো করে পড়ুন।
কোন কোন উপজেলাতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, কত তারিখ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং কত তারিখে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে তা দেখতে উপরের স্ক্রিনশটগুলি ভালো করে দেখে নিন। অথবা এই স্ক্রিনশটগুলির একসাথে পিডিএফ ফাইল পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
আসলে বাংলাদেশের সকল জেলা বা উপজেলায় একসাথে ২০/০৫/২০২২ইং থেকে শুরু হয়ে ০৯/০৬/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হবে। তবে নিবন্ধন কার্যক্রমের তারিখটা এলাকা ভিত্তিক আলাদা আলাদা সময়ের মধ্যে হবে যা উপরের স্ক্রিনশটগুলি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন। তো আপনি যে এলাকার সে এলকাটি দেখলেই হবে। আর মনে রাখবেন যে এলাকার নাম এখানে নেই সেগুলো ধাপে ধাপে পরবর্তীতে আগামী ২০ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখ মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এইবারে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিটা আলাদা। আগে ১৮ বছর বা তার উপরের বয়সের ব্যক্তিদের তথ্য নেওয়া হতো এবং তাদের আইডি কার্ড দেওয়া হতো। তবে এবার যাদের বয়স ১৫ বছর বা তার উপরে তাদেরও সবারই তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু বয়স অনযায়ী ধাপে ধাপে সেগুলোর আইডি কার্ড দেওয়া হবে। তো এইবারের নিয়মানুযায়ী আপনার বয়স যদি ১৫ বা তার উপরে হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপনার তথ্য দিতে পারেন। এতে করে আপনার আইডি কার্ড করার জন্য প্রাপ্ত বয়স না হলেও কাজটা একধাপ এগিয়ে থাকলো। পরবর্তীতে সময় অনুযায়ী কার্ডটি পেয়ে যাবেন। তো সেটা কবে পাবেন তা আমি নিচে উল্লেখ করে দিব।
আপনার যদি বয়স ০১লা জানুয়ারি ২০০৫ইং সাল বা তার আগের হয়ে থাকে অর্থাৎ ১৭ বা ১৮ বছরের উপরে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার আইডি সম্ভাব্য তারিখ ০২য় মার্চ ২০২৩ইং সালে পেতে পারেন। আর আপনার বয়স যদি ০১লা জানুয়ারি ২০০৬ইং সাল বা তার আগে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার কার্ডটি সম্ভাব্য ২০২৪ সালের ০২য় মার্চে পেতে পারেন। সর্বশেষ আপনার বয়স যদি ০১ জানুয়ারি ২০০৭ইং সাল বা এর আগের হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনাে জাতীয় পরিচয়পত্রটি সম্ভাব্য তারিখ ০২য় মার্চ ২০২৫ইং সালে পেতে পারেন।
আপনি যদি শিক্ষার্থী হোন তাহলে ভোটার তালিকায় আপনার নাম, পিতার ও মাতার নাম ও জন্ম তারিখ এগুলো সার্টিফিকেট অনুযায়ী দিবেন। কেননা তানাহলে আপনার সার্টিফিকেটের কোন মূল্য থাকবে না। ভালো করে করে বারবার আপনার দেওয়া ডাটাগুলো সঠিকভাবে পূরণ এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা দেখে নিবেন। তারপর আপনাকে ডেলিভারী স্লিপ হিসেবে একটি ছোট্ট স্লিপ বা ফরম দিবে সেটি যত্নসহকারে সংরক্ষণ করে রাখবেন। যাতে করে যেদিন আপনার আইডি কার্ড দেওয়া হবে সেদিন এটি দিয়ে আনতে পারেন। মনে রাখবেন ০১লা জানুয়ারি ২০০৭ইং সাল বা এর আগে যাদের জন্ম কিন্তু কোন কারণে এখনো ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে পারেননি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারাও কিন্তু এখন ভোটার তালিকায় নাম উঠানোর সুযোগ পাবেন। তাই অবহেলা না করে এই সুযোগটি কাজে লাগান। তানাহলে পরবর্তীতে কাজে ক্ষেত্রে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
অনেক বলে ফেললাম আজকে। বলতে বলতে পোস্টের শেষ পর্যায়ে চলে আসলাম। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনাদের উপকারে এসেছে। এখন কখা হলো আপনার যদি পোস্টটি লেগে থাকে তাহলে একটা লাইক এবং কমেন্ট করে যাবেন যাতে করে আরো বেশি বেশি করে পোস্ট করার উদ্দীপনা পাই।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।
43 thoughts on "ভোটার তালিকায় নাম তুলুন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম চলতেছে।"