Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক তো আজকে আমি আপনাদের দুটি চমৎকার সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট দেখাব যা আপনারা ঘরে বসেই করতে পারবেন
১/ জলের ওপর কীট-পতঙ্গের চলাফেরা
উপকরণ : বড় বাটি, একটা সূঁচ ও টিসু পেপার।
পরীক্ষা পদ্ধতি : টেবিলের ওপর জলভর্তি একটা বড় বাটি রাখ। বাটির জল স্থির হলে, খুব সাবধানে একটা সূঁচ রাখ। যদি ঠিকমতো রাখতে পার তাহলে দেখবে যে সূঁচটা জলের ওপর ভাসছে। যদি ডুবে যায়, তাহলে নিরাশ না হয়ে আবার চেষ্টা কর। অবশ্য আরও একটা জিনিস তুমি করতে পার। এক টুকরো টিসু পেপার জলের ওপর রেখে তার ওপরে সূঁচটা রাখতে পার। জলে ভিজে কাগজখণ্ডটি একসময় আপনা থেকে ডুবে যাবে। কিন্তু সূঁচটা ভেসে থাকবে। খুব অবাক লাগছে তাই তো?
কারণ : সূঁচ জলে ভেসে থাকার কারণ, আসলে জলের ওপরে একটা মিহি আস্তরণের কাজ করছে, যাকে বলে সারফেস টেনশন বা জলের উপরিভাগের টান। জলের উপরিভাগের মলিকিউলগুলি নিচের মলিকিউলের তুলনায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এইভাবে জলের উপরিভাগের মলিকিউলগুলির মধ্যে তীব্র আকর্ষণ শক্তি সূঁচটিকে ভেসে থাকতে সাহায্য করে। এই তীব্র আকর্ষণ শক্তি জলের ওপর এক ধরনের আস্তরণ তৈরি করে, যা প্ল্যাটফর্মের মতো কাজ করে। আর এই কারণেই ছোট ছোট কীট পতঙ্গ জলের ওপর স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে সক্ষম হয়। আশা করি এবার আর তোমাদের ধাঁধা বলে মনে হচ্ছে না।
২/ ভুতুড়ে লেখা
প্রয়োজনীয় উপকরণ : বার্লির প্রবণ, চার টুকরো কাগজ ও এক ঘটি টিংচার আয়োডিন মেশানো জল।
পরীক্ষা পদ্ধতি : প্রথমে চার টুকরো কাগজ নাও। এবার বার্লির দ্রবণ দিয়ে সেগুলোর তলায় চাররকমের জবাব
লেখ। যেমন কোনওটায় ‘ভাল’, কোনওটায় ‘ভাল নয়’, কোনওটায় ‘হ্যাঁ’, আবার কোনওটায় ‘না’। এখন তোমার
কোনও বন্ধুদের মধ্যে কেউ কোনও প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তুমি তাকে ওই চার টুকরো কাগজের মধ্যে একটা
টুকরো কাগজ দাও এবং তাতে প্রশ্ন লিখে ভাঁজ করে তোমার হাতে দিতে বলো। তুমি কিন্তু কখনোই ভাঁজ করা
প্রশ্নে কি লেখা আছে তা দেখবে না। এইবার ভাঁজ করা কাগজটা এক ঘটি জলে ডুবিয়ে তারপর তুলে তোমার
বন্ধুর সামনে মেলে ধর। দেখবে তোমার বন্ধুটি তার উত্তর পেয়ে গেছে। যদি বন্ধুটির উত্তর মনপসন্দ না হয় তাকে
বলবে ভূতেরা তোমার ওপর নিশ্চয়ই খুব রেগে আছে তাই তোমার উত্তর পছন্দ হয়নি। যেমন ধর তোমার বন্ধু
হয়তো তোমার ওই কাগজের টুকরোতে প্রশ্ন লিখেছিল সে এবার পরীক্ষায় পাশ করবে কি না। হয়তো লেখা আছে
হ্যাঁ, না, ভাল, ভাল নয়। মনপসন্দ উত্তর হলে খুশিতে তোমাকে হয়তো একটা মস্ত বড়ো ক্যাডবেরিই খাইয়ে দেবে।
কারণ : বার্লির দ্রবণ দিয়ে কোনও কাগজের ওপর লিখলে তা দেখা যায় না। কিন্তু যেই মুহূর্তে টিংচার আয়োডিন মেশানো জলে ডোবানো হয় তা স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে। আসলে বার্লি হলো শ্বেতসার। এই শ্বেতসার আয়োডিনের সংস্পর্শে এলে নীল হয়ে ফুটে ওঠে।
তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ।
4 thoughts on "দেখে নিন মজার দুটি সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট যা আপনারা ঘরে বসেই করতে পারবেন"