আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে ২০২২ সালে।
বলা হয়ে থাকে ২০২২ সাল হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়নের বছর। কারন এই বছর বাংলাদেশের দুইটি বহুল প্রতীক্ষিত প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে।
একটি হলো মেট্রোরেল
এবং অন্যটি হলো পদ্মা সেতু।
আজকে আমরা কথা বলব গত ২৮শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন হওয়া মেট্রো রেল সম্পর্কে।
মেট্রোরেলের কিছু অংশ চালু হয়েছে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। বর্তমানে এটি চলছে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত।
এবং মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। যার মাধ্যমে ঢাকা শহরের মানুষ তীব্র যানজটের ঝামেলা ছাড়াই মাত্র 10 মিনিটে উত্তরা থেকে আগারগাঁও যেতে পারবেন।
যা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। তো চলুন দেখে নেয়া যাক মেট্রোরেল এ চড়তে হলে আপনার কি কি কাজ করতে হবে:
প্রথমেই আপনাকে এমআরটি বুথ থেকে মেশিনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে মেট্রোরেলের ভ্রমণ কার্ড কিনতে হবে।
অথবা আপনারা চাইলে ম্যানুয়ালভাবে স্টেশন থেকেই টিকিট কালেক্ট করতে পারবেন।
একজন গ্রাহক চাইলে একটি টিকিট কিনতে পারে আবার চাইলে এক মাস ব্যাপী একটি কার্ড কিনতে পারে।
আমার মতে যারা নিয়মিত চলাচল করবেন তাদের জন্য এক মাস এর জন্য কার্ড নেওয়াটাই সবচেয়ে বেশি ভালো হবে।
একমাস ব্যাপী র্যাপিড কার্ড নিলে আপনাকে কার্ডের জন্য লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ট্রেন আসলে সরাসরি সেই কার্ডের মাধ্যমে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।
আপনারা মেট্রোরেলের কার্ডটি চাইলে বিভিন্ন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, রকেট ,নগদ, উপায়) এর মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারবেন।
অথবা চাইলে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেও পেমেন্ট করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে প্রবেশ করার আগে রেলের প্রবেশ মুখে আপনাকে কার্ড পাস করে ঢুকতে হবে। নয়তো আপনি ঢুকতে পারবেন না।
কার্ড পাস হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রোরেলের দরজা খুলে যাবে নয়তো খুলবে না।
মেট্রোরেলে কেউ বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে পারবে না। কারণ প্রবেশের সময় অবশ্যই কার্ড শো করতে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ট্রেনে ভ্রমণ করেন যারা এক জায়গায় টিকিট কিনে আরেক জায়গাতেও চলে যান কিন্তু মেট্রোরেলে এই সুযোগটা নেই।
কারণ আপনি যদি এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশন এর টিকেট কেটে প্রবেশ করেন তাহলে আপনাকে ঠিক সেই স্টেশনেই নামতে হবে।
নয়তো আপনি অন্য কোন স্টেশনে নামতে পারবেন না আপনার জন্য দরজা খুলবে না স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি আটকে থাকবেন ভিতরে।
সুতরাং এমন ভুলটি কেউ করার চেষ্টা করবেন না।
ট্রেনের ভেতরে সিটগুলো পুরোটাই প্লাস্টিকের সিট তাই চাইলেই সেখানে কাটাছেঁড়া করা যাবে না আর ভুলেও এমন করার চেষ্টাও করবেন না।
কারণ মেট্রোরেল পুরোটাই সিসিটিভি ক্যামেরা এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আপনার সমস্ত কিছু কর্তৃপক্ষ দেখতে পাবেন।
মেট্রোরেলের সিটে বা আশেপাশে কোন কিছু লেখার চেষ্টা করবেন না যদি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে আর সিসিটিভি ক্যামেরা যদি চেক করে তাহলে কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে।
যেহেতু মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুতরাং এটিকে নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না কেউ। মেট্রোরেল আমাদের যাতায়াতকে করেছে অনেক সহজ এবং সাবলীল ভাবে।
এবং অনেক সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে মেট্রোরেল ব্যবহার করে। যা আমাদের কর্ম ঘন্টা অপচয় রোধ করছে।
আপাতত সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মেট্রো রেল চলছে।
সপ্তাহে ছয় দিন মেট্রোরেল চলাচল করছে। (মঙ্গলবার বন্ধ,)
চলতি বছর মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে মেট্রোরেল তার পুরোপুরি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।
তো বন্ধুরা এটাই ছিল বিস্তারিত ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। দেখা হবে খুব জলদি নতুন কিছু নিয়ে ততক্ষণ trickbd এর সাথেই থাকুন।
যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাবেন এই লিংকে
15 thoughts on "মেট্রোরেলে চড়তে হলে কি কি করতে হবে এবং কি কি নিয়ম মানতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক!!"