আসসালামুআলাইকুম
চলছে ঝড়-বৃষ্টির সিজন,কখন যে মেঘ ধরে আবার বৃষ্টি নেমে পড়ে তা বলা মুশকিল।অনেক সময় খবরে দেখা যায় ঝড়-বৃষ্টির সময় লোক মারা যায়। আসলে এই সময় আমাদের সকলের নিরাপদে থাকা অত্যান্ত জরুরি। কারন এই ঝড়-বৃষ্টির কারনে,বজ্রপাত হয়।এই বজ্রপাতে অনেক লোক মারা যায়।এছাড়াও আমাদের অনেক সাবধান থাকতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সময়। আজকে আপনাদের জানাব,ঝড়-বৃষ্টির সময় যে বিষয়গুলো মেনে সাবধানে থাকা উচিৎ। আশা করি সম্পন্ন আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ঝড়-বৃষ্টির সময় আপনাকে চেস্টা করতে হবে ঘরে থাকার জন্য।কখনো ঝড়-বৃষ্টির সময় বাহিরে থাকবেন না।বজ্রপাতে ব্যাপক লোক মৃত্যু বরন করে থাকে।আপনি যদি ঘরেও থাকেন,তবুও সাবধানের সাথে থাকতে হবে।বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টিভি সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখবেন।যখন ঝড় হয় বা বজ্রপাত হয়,কখনো ঘরের দরজা, জানলা খোলা রাখবেন না৷ বজ্রপাতের সময় লোহা জাতীয় কোনোকিছু স্পর্শ করবেন না।এছাড়াও আমাদের সব সময় সাবধান থাকতে হবে।অনেকে আছে এই বজ্রপাতের সময় বাহিরে আম কুড়ায় বা বাহিরে থাকে,এটি কখনো করা উচিৎ না। কারন,বজ্রপাত যার উপর পরে সে কখনো বাচে না।অনেক জায়গায় বজ্রপাতে শত শত মানুষ মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।আপনার ঘরে যদি ফ্রিজ থাকে,তাহলে ফ্রিজের লাইন অফ করে রাখার চেস্টা করবেন।অনেকে আছে ঝড়-বৃষ্টির সময় মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে থাকে। আসলে এ সময় মোবাইল ফোন ফ্লাইট মুড বা সুইচ অফ করে রাখা উচিৎ। ঝড় এর সময় কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হলে নিরাপদ যেখানে সেখানে আশ্রয় নিতে হবে।শিলা বৃষ্টির সময় অনেকে শিলা কে উপভোগ করার জন্য বাহিরে যায়।আসলে এমন কাজ কখনো করা উচিৎ না।কারন শিলার জন্য বাহিরে গেলে, অনেক সময় বজ্রপাত ঘটতেই পারে।তখন সে বজ্রপাত আপনার উপর এসে পড়লে তখন তো উপায় নেই।এই বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় হবেই,এটাই স্বাভাবিক। অসাবধানতার কারনে আমাদের প্রান যেন না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।অনেকে গাড়ী চালায় এই ঝড় এর সময়, এটি করা উচিৎ নয়।ঝড়-ঝাপটা কিংবা অতিরিক্ত বজ্রপাতের সময় নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।বিশেষ করে ফাকা কোনো জায়গায় অবস্থান কোনোভাবেই নেয়া উচিৎ নয়।কারন,ফাকা জায়গায় বজ্রপাত পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।আসলে আগের তুলনায় তো এখন ঝড় অনেক কম হয়।আগে ঝড় হয়েছে এমন গতিতে যে অনেকের বাড়ী উড়ে নিয়ে গেছে৷ আবার অনেকের ফসল এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে।খবরে যে আবহাওয়া পুর্বাভাস দেয় সেটি সকলের মেনে চলা উচিৎ। আগের সময় তো টিভি, ইন্টারনেট ছিল না,তখন একমাত্র মাধ্যাম ছিল রেডিও। তখন সবাই রেডিওতে খবর শুনে সাবধান হত।আমাদের ভিতর অনেকে আছে জেলে ভাই,মাছ ধরতে নদীতে যায়। আসলে এখন বজ্রপাতে ব্যাপক লোজ মারা যাচ্ছে।তাই যারা মাছ ধরতে বা নদী পথে চলাচল করেন,তারা সাবধানে চলাচল করবেন।মেঘ বা ঝড়ের পুর্বাভাস পেলে নদী পথে চলাচল না করাই উত্তম।আপনাকে চেস্টা করতে হবে প্রতিকুল পরিবেশ এর সময় সাবধানে চলাচল করা।ঝড় এর সময় বিদ্যুৎ থাকে না,কিন্তু যদি বিদুৎ থাকে তাহলে মেইন সুইচ অফ করে রাখাই ভালো।
আসল কথা হলো আপনাকে সাবধান থাকতে হবে।ঝড়-ঝঞ্ঝার কবলে অনেকের মৃত্যু হয়ে থাকে।আমরা যদি ঝড় বাদলের সময় নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিই,তাহলে আমাদের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হবে না।আশা করি সকলে ঝড়-বৃষ্টির সময় এভাবে সাবধান থাকব,যাতে আমাদের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি না হয়।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।
7 thoughts on "ঝড়-বৃষ্টির সময় যে বিষয়গুলো মেনে সাবধানে থাকা উচিৎ, জেনে নিন।"