আসসালামু আলাইকুম  প্রিয় পাঠকবৃন্দ,,
আশা করছি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন,,
আজকে আলোচনা করবো দেশের অন্যতম সুস্বাদু আম হাঁড়িভাঙা নিয়ে এবং তুলে ধরবো এর বিভিন্ন দিক ।  চলুন তাহলে দেরি না করে পোস্টে মনোযোগ দিই।
যদিও আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল কিন্তু স্বাদ ও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে আম’ই সেরা ও স্বাদে অতুলনীয়। আম বছরে একবারই ফল দেয়, তবে বিজ্ঞানের গবেষণার অগ্রগতিতে আবিষ্কার করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের আমের গাছ।  সেইসব গাছের আম বছরে একাধিকবার ফল দিতে সক্ষম।  তবে দেশীয় কয়েক জাতের আম গাছ রয়েছে এগুলো অনেক বয়স্ক হয় এবং ভালো ফলন দেয়, মিষ্টিও হয় অনেক যদিও কাঁচা খেতে গেলে খুব টক লাগে।
হাঁড়িভাঙা আমের উৎপত্তি হয়েছিলো রংপুরে, তাছাড়া রংপুরের সর্বত্র এই আমের চাষ হচ্ছে এবং ওখানকার সব বাগানিরাই এই আমের চাষাবাদ করছেন।

একটি ঘটনাঃ এই আমটি আমাদের দেশের একটি আমের জাত, এবং এই আমের  নামকরণ করা হয় একটি ঘটনার ওপরে ভিত্তি করে।  একটি গুজব শোনা যায় তখন, “এক লোকের বিশাল একটি আমগাছ ছিলো যার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। লোকটি ছিলো ফল বিক্রেতা,আমগাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার জন্য সে একটি মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করতো_একদিন তার হাঁড়ি এটা কেউ ভেঙে ফেলেছিলো। পরেরদিন সে ওই গাছের আম নিয়ে বাজারে গিয়েছিলো আম বিক্রি করতে, লোকেরা জিজ্ঞেস করলো এই আমের নাম কি? কোন গাছের আম এগুলো? তখন লোকটি সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললো, তখন থেকেই এই আমের নাম দেয়া হয়েছিলো হাঁড়িভাঙা আম!

হাঁড়িভাঙা আমের বৈশিষ্ট্যঃ

*_এই আম উপরে কিছুটা গোল ও নিচে সামান্য লম্বাটে,
*_পাকা আম দেখতে সুন্দর লাল রঙের হয়, নিচের দিকে একটু সবুজ থাকে,
*_এই আমে কোনো আঁশ নেই, অর্থাৎ ফাইবার’লেস ম্যাংগো,
*_এই আম সুগন্ধি’যুক্ত ও খুব সুমিষ্ট হয়,এই কারণে দেশের সর্বত্র এই আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে,এবং অধিক সুনামধারী,
*_এই আম’কে সহজে পোকায় ধরেনা এবং ফলন ভালো দেয়,
*_এই আমটি মাঝারি এবং হালকা বড় সাইজের হয় যা ওজন করলে এক একটা ৩৫০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে,
*_উপরের ত্বক কুচকে গেলেও দেখবেন ভেতরে ভালো আছে,
*_বেশি ফলন হওয়ার বাগানীরা লাভ করতে পারে বেশি,

দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির কারণে আমের দাম আগে ছিলো ৬০-৮০ টাকা যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১২০-১৮০ টাকা।  সবগুলো পন্যের লাগামহীন ভাবে মূল্য বাড়ছে,যা খুবই দুঃখজনক।
আম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, আমে রয়েছে কয়েক ধরণের ভিটামিন।  তাই আমের সিজনে বেশি বেশি আম খান, শরীর বাড়ান,,

আজকে আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি, আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে হতাশ হবেন না। কিছু অজানা বিষয় জানতে পারবেন এবং ছোটখাটো একটি ধারণা হয়ে যাবে,
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুলক্রুটি ক্ষমা করে দেবেন,পোস্টে কোনোকিছু মিসটেক হয়ে গেলে কমেন্ট করে জানান। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে আর্টিকেল লিখতে আরো উৎসাহিত করবে,

আল্লাহ হাফেজ… @

Leave a Reply