আসসালামু আলাইকুম ভিউয়ার্স, আজকে আমরা জানবো অ্যাপোলো-১১ অভিযানটি কেমন ছিলো এবং কিভাবে সফলভাবে এটি সম্পন্ন হয়েছিলো। তো চলুন দেরি না করে আর্টিকেল পড়া শুরু করি,,,

সময়টা ছিলো ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই, অ্যাপোলো-১১ নামক একটি মহাকাশযানে চড়ে ৩ জন নভোচারী পৃথিবীকে ছাড়িয়ে চাঁদে পদার্পন করেছিলেন। এই মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপন করা হয়েছে ১৬ই জুলাই ১৯৬৯ সালে। এই অভিযানে যে ৩ জন নভোচারী ছিলেন তাদের নাম হচ্ছে ১.দলনেতা ক্যাপ্টেন নীল আর্মস্ট্রং ২.কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স ৩.চন্দ্র অবতরণের চালক বাজ আলড্রিন। অভিযানটি চলেছিল ৮ দিন ৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।

 

অ্যাপোলো-১১ মিশনে যে কম্পিউটার ছিলো সেটি আসলে লুনার মডিউলের অর্থাৎ সমস্ত কিছুর কন্ট্রোল এটা দিয়েই করা হয়েছিলো, কম্পিউটার’টি বিশাল আকারের ছিলো। সেই কম্পিউটারের মধ্যে র্যাম ছিলো ৪ কিলোবাইট এবং কম্পিউটারের প্রসেসরটি ছিলো ২ মেগাহার্জ গতিসম্পন্ন। এসব কিছু শোনার পরে আপনার কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হতে পারে, কেননা এই কম্পিউটারের ক্ষমতা আধুনিক একটি ক্যালকুলেটরের সমান, তাহলে কিভাবে এই কম্পিউটার দ্বারা পুরো মিশন সম্পন্ন করা সম্ভব হলো! এই মিশনটিতে যে রকেট ব্যবহার করা হয়েছিলো সেটা হলো ‘স্যাটার্ন-৫’,, মিশন নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিলো, রকেটে যে পরিমানে জ্বালানী মজুদ ছিলো সেটা দিয়ে চন্দ্র অভিযান শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণের আগেই জ্বালানী শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় ছিলো। যদি এমনটা হতো তাহলে মাহাকাশ যাত্রীদের চাঁদেই থেকে যেতে হতো।


মহাকাশ যাত্রায় যাওয়ার জন্য নির্ধারিত বীমা করার টাকা ছিলোনা আর্মস্ট্রং এর কাছে। তাই সে উপায় না পেয়ে ১০০ টি কাগজে নিজের অটোগ্রাফ লিখে পরিবারকে দিয়ে যান। তিনি ভেবে রেখেছিলেন হয়তো তিনি আর পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না। পরবর্তীতে তার অটোগ্রাফগুলো নিলামে তুলে অনেক টাকা পাবে তার পরিবার। কিন্তু অভিযান শেষে নভোচারীরা তাদের নির্ধারিত বেতন ছাড়া আর কোনো ভাতা পায়নি।

অবশেষে সকল ভয় ভীতি ছাড়িয়ে রওনা হলেন চাঁদের উদ্দেশ্যে, প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদে পা রাখলেন নীল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে ২১ ঘন্টা অবস্হান করে তারা ২২ কেজি পাথর ও মাটি নিয়ে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জাদুঘর ও গবেষণাগারে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে।চাঁদে অবতরণের পরেই নভোচারীরা চাঁদের বুকে উজ্জ্বল একটি প্রতিফলক রেখে এসেছিলেন।আজকের দিনেও ওইপ্রতিফলকে লেজার রশ্মি ফেলে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব নির্ণয় করেন।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন নভোচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি আগে থেকেই শোকাবহ একটি ভাষণ লিখে রেখেছিলেন। অবশেষে চন্দ্রাভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং এই খুশির খবরটি নিক্সন তার দেশবাসীকে জানান।

অ্যাপোলো-১১ মিশন সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করতে গেলে কয়েক পৃষ্ঠার সমান লেখা লিখতে হবে। এজন্য সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করেছি শুধু। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই মিশনের সম্পূর্ণ কাহিনী আপনি সহজে বুঝতে পারবেন।

আপনাদের থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি_পরে আবার দেখা হবে, আল্লাহ হাফেজ…!

2 thoughts on "অ্যাপোলো-১১ মিশনে মানুষের প্রথম চন্দ্রাভিযান কেমন ছিলো? নতুন প্রজন্মের সেটা জানা উচিত!"

  1. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    এইগুলো ভাই কেমন কনটেন্ট,,, টেক রিলেটেড লিখুন
  2. mithu8099 Author Post Creator says:
    টেকনোলজি কন্টেন্ট লিখতে বসছিলাম ভাই, দুই তিন লাইন লিখার পরে মাথায় অন্য আইডিয়া চলে আসলো। সেটাই লেখেছি,তবে খারাপ না। পোস্ট সম্পূর্ণটা পড়ে দেখুন,তখন বুঝবেন এটা লিখতে গিয়ে কতটা সময় ব্যয় করেছি।

Leave a Reply