সূচনা:
ফেসবুক অ্যাড। অনেক মানুষের কাছে নিজস্ব প্রোডাক্ট ছড়িয়ে দিতে এর ঝুরি মেলা ভার। হয়তো তাই, বাংলাদেশের নতুন হোস্টিং কোম্পানিগুলো এই ফেসবুক অ্যাডকেই বেছে নিয়েছে নিজেদের প্রোডাক্ট প্রোমোশনের জন্য।
এই বছরে বাংলাদেশে অসংখ্য নতুন হোস্টিং কোম্পানি বাজারে এসেছে। তারা কাস্টমার ধরতে বা জানাতে ব্যবহার করছে অনলাইন প্রোমোশন, যেমন: ফেসবুক অ্যাড। আর এই ফেসবুক অ্যাডের কারনে গত একমাসে নিউজফিডে হোস্টিং কোম্পানিগুলোর অ্যাড শুধু চারিদিকে ঘুরঘুর করছে।
তারা অ্যাড দিচ্ছে অনেক সুন্দর করে, ৫জিবি কিংবা ১০জিবি হোস্টিং অফার করতেছে মাত্র ৮০০টাকায় বা তারও কমে। তাতে দিচ্ছে লোভনীয় অফার, যেমন: এসএসএল সার্টিফিকেট, এডঅন ডোমেইন, আনলিমিটেড ব্যান্ডউইথ। আসলেই কী তাই?
মনে পড়ে, ২০১৭ সালের কথা। তখন একজিবি হোস্টিং কিনতেই লাগতো ১৫০০টাকার মতো। কিন্তু, এখন কেনো এত কম দাম? এসব হোস্টিং কোম্পানি কী আসল নাকি স্ক্যাম? এসকল প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সাজিয়েছি আজকের এই পোস্ট।
মূল পোস্ট:
কোনো কোম্পানী থেকে হোস্টিং কেনার আগে মূলত কয়েকটি বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হয়। এগুলোর মধ্যে, কাস্টমার রিভিউ, কোম্পানীর বয়সকাল, ক্লাউড স্টোরেজ কোথায়, নেক্সট ইয়ার রিনিউয়াল ফি কত এবং আরও অনেক কিছু।
কোম্পানির বয়সকাল: হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং কোম্পানির বাজারে আসার ডেট চেক করে নিতে হয়। অনেক হোস্টিং কোম্পানী বাজারে আসামাত্রই ফেসবুকে অ্যাড দেয়, অ্যাড দেখেই হোস্ট কিনতে গেলে ঠকে যেতে পারেন।
কাস্টমার রিভিউ: কাস্টমার রিভিউ সম্পর্কে জানার বেস্ট ওয়ে হচ্ছে সেই কোম্পানীর ফেসবুক ফ্যান পেজ। ফেজবুক ফ্যানপেজ থেকে দেখে নিতে পারেন কাস্টমাররা তাদের সম্পর্কে কী বলছে।
রিনিউয়াল ফি: দেখা যাচ্ছে কাস্টমার পাওয়ার জন্য অনেক কোম্পানী প্রথম বছরে অনেক ছাড় দেয় এবং পরের বছর রিনিউয়াল ফিতে অনেক চার্জ করে।
এসব বিষয়ের প্রতি দেখেশুনে হোস্টিং কেনা প্রয়োজন। শুধুমাত্র ফেসবুকে অফার দেখে না বুঝে হোস্টিং কিনে ঠকবেন না। ধন্যবাদ।
https://youtu.be/SJx-NgaJE_g