আজকাল এ্যান্টিভাইরাস ছাড়া কোন
কম্পিউটার কল্পনা করা যায় না। কিন্তু
এই এ্যন্টিভাইরাস গুলোর আছে অনেক
সমস্যা। প্রায় সব কয়টি এন্টিভাইরাসই
কম্পিউটারের স্পীড কিছুটা হলেও
স্লো করে দেয়। আবার এদেরকে
নিয়মিত ইন্টারনেট হতে আপডেট
দিতে হয়। আবার এদের আছে ফুলভার্সন,
হাফভার্সন, ক্রাক, কি-জেন কত কি। কি
দরকার এত ঝামেলা। তাহলে এখন
থেকে ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করুন
আপনার প্রিয় কম্পিউটারটি।
আসলে আমি এখানে ডিপফ্রিজ নিয়ে
কথা বলব, যা এমনি একটি সফটওয়ার যার
মাধ্যমে উইন্ডোস নিরাপদ থাকবে ১০০%
। কম্পিউটারের স্পীড কখনোই স্লো হবে
না । এ ছাড়া ডিপফ্রিজথাকলে
ভাইরাস স্কেন করার ঝামেলও থাকে
না । কি মজা! এইটা কি আসলেই
সত্যি!!!!!!!!!! হ্যা আসলেই সত্যি।
ডিপফ্রিজ কিভাবে কাজ করে?
ডিপফ্রিজ ইন্সটলের পর আপনি যদি
কম্পিউটারে কোন ফাইল সেভ করে
রিস্টার্ট দেন তাহলে সে ফাইলটি আর
থাকবে না । কম্পিউটারে জমা আছে
এমন কোনো ফাইল ডিলিট করে
রিস্টার্ট করলে সে ফাইলটি আবার
ফিরে পাওয়া যাবে । এক কথায়
ডিপফ্রিজ করার পরবর্তী অবস্থায়
কম্পিউটারের যতকিছুই পরিবর্তন করুন না
কেন, রিস্টার্ট করার পর কম্পিউটার
আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে ।
একারণে কম্পিউটার চালু আবস্থায় যদি
কখনো ভাইরাস ঢুকে পড়ে রিস্টার্ট
করার পর সেটি আর থাকে না । তাই এই
পদ্ধতিতে আপনি ভাইরাস নিয়ে
নিশ্চিন্তে গবেষনা করতে পারেন।
সফটওয়্যার নিয়ে গবেষনা করতে চান,
তাহলে ডিপফ্রিজ তো আপনাকেই
খুজছে।
ডিপফ্রিজ সেটআপ প্রনালী:
যে ড্রাইভে উইন্ডোস সেটআপ করা
আছে সে ড্রাইভে ডিপফ্রিজ সেটআপ
করুন অর্থাৎ সি ড্রাইভে ইন্সটল করুন।
কম্পিউটার নতুন করে সেটআপ সহ সকল
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল দেবার পর
ডিপফ্রিজ সেটআপ করে নেয়া ভাল ।
ডিপফ্রিজ সেটআপ করার সময়
কম্পিউটারের সব কয়টি ড্রাইভ ( C drive, D
drive, E driver… ) টিক চিন্থ সহকারে
দেখা যাবে । কম্পিউটারের যে
ড্রাইভে উইন্ডোস setup করা আছে সে
ড্রাইভ ছাড়া বাকী ড্রাইভগুলোর টিক
চিন্হ সরিয়ে দিয়ে সেটাপ কমপ্লিট
করুন । এতে সুবিধা হবে এই যে, যে
ড্রাইভ গুলো আপনি টিক চিন্হ দিবেন
না সেগুলো তে ডিপফ্রিজ
এ্যাকটিভেট হবে না। ফলে আপনি সি
ড্রাইভ বাদে সকল ড্রাইভে যেকোন
ফাইল সেভ করতে পারবেন। ফাইল সেভ
করার প্রয়োজনা না হলে (যেমন
অফিসের পিসির বা সাইবার ক্যাফের
জন্য) সব কয়টি পার্টিশানে ডীপ ফ্রীজ
সেটাপ করতে পারেন ।
সেটাপ শেষ করার সাথে সাথে
কম্পিউটার রিস্টার্ট হবে । রিস্টার্ট
হবার পর একটি ডায়ালগ বক্স আসবে । Ok
করে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করুন ।
ডিপফ্রিজ সেটআপ করার পর সেটিকে
আর রিমোভ করা যাবে না । তাই
সেটাপ করার আগে ভাল করে এর
ব্যবহার জেনে নিন । প্রয়োজনে আপনি
ডিপফ্রিজ ওপেন করে প্রয়োজনীয় ফাইল
সেভ আথবা সেটাপ করতে পারেন
অথবা যে ড্রাইভে ফ্রিজ করা নেই সে
ড্রইভে প্রয়োজনীয় ফাইল সেভ করতে
পারেন ।
ডিপফ্রিজএর আইকনে ক্লিক করুন । একটি
ডায়ালগ বক্য আসবে । পাসওয়ার্ড দিয়ে
ok করুন ।
Boot thawed সিলেক্ট করে দু’বার ok করে
রিস্টার্ট করুন ।
প্রয়োজনীয় ফাইল সেটাপ অথবা সেভ
করে আগের নিয়মে ডিপফ্রিজওপেন
করে frozen সিলেক্ট করুন । রিস্টার্ট
করার পর কম্পিউটার আবার ফ্রীজ
অবস্থায় ফিরে আসবে ।
ডিপফ্রিজওপেন করার পর যে সমস্ত ফাইল
সেভ করতে চান সেগুলোতে যদি
ভাইরাস থাকে তাহলে ডিপফ্রিজ
ব্যবহার করে কোন লাভ হবে না । কোন
ফাইল সেভ করতে চাইলে সেটিকে
এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে
ভাইরাস রিমোভ করে নিন । এর একটা
বিশেষ সুবিধা হলো যে কিছু কিছু
ট্রায়াল সফটওয়ার আছে যেগুলোক ১
সপ্তাহ , ১০ দিন, ২০ দিন, ১ মাস পর্যন্ত
ব্যবহার করা যায় । ঐ সব সফ্টওয়ার সেটাপ
করার পর ডিপফ্রিজ করলে সেটিকে সব
সময় ব্যবহার করা যাবে ।
ডাউনলোড DeepFreeze 5.০ ফুল ভার্সন।
তবে নতুন ব্যবহারকারীরা এটি
ব্যবহারের আগে নিচের কমেন্ট গুলো
একটু পড়ে নিন। আর আমি এটি সাফল্যের
সাথে এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমে
ব্যবহার করছি।