ভাইরাস কি ?
ভাইরাস হচ্ছে কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করা প্রোগ্রাম । যেটা আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে আমাদের কম্পিউটারের ওপর নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করে আর আমাদের কাজকে বাধা প্রদান করে। বিশেষ রূপে কম্পিউটার ভাইরাস কিছু বাইরের উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রোগ্রামের অংশ। যেটা আমাদের কম্পিউটারে প্রবেশ করে। আর এই তৈরি কৃত প্রোগ্রাম অর্থাৎ ভাইরাস যদি কম্পিউটারে প্রবেশ করে তখন বিভিন্ন রকম কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দেয়।

কীভাবে কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়?
সিডি বা ডিভির মাধ্যমে
পেন ড্রাইভের মাধ্যমে
মেমরি কার্ডের মাধ্যমে
ফ্ল্যাশ মেমরির মাধ্যমে
ব্লুটুথ এর মাধ্যমে
ইন্টারনেটের মাদ্যমে
নেটওয়ার্কের বিস্তারের সাথে- সাথেই ই-মেল আর ইন্টারনেটে মাধ্যমে।
ভাইরাস কম্পিউটারে তিন প্রকার পদ্ধতি দ্বারা Activate হয়-
ভাইরাস যুক্ত ফাইল ওপেন করলে
ভাইরাস যুক্ত প্রোগ্রাম চালালে এবং
ডিস্ক ড্রাইভে ভাইরাস যুক্ত ফ্লপি বা সিডি বা ডিভিডি ঢুকিয়ে কম্পিউটার বুট ( স্টার্ট বা শুরু ) করলে।

কি ভাবে বুঝব কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত –
টাস্ক ম্যানেজারডিজ্যাবল হয়ে থাকলে-এটি বুঝার জন্য Ctrl+Alt+Del চাপ দিন কিংবা টাস্কবার এ মাউস রেখে ডান বাটন চাপ দিন। টাস্ক ম্যানেজার উইন্ডোটি না আসলে অথবা টাস্ক ম্যানেজার অপশনটি যদি নিষ্ক্রিয় থাকে তবে বুঝবেন কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
রেজিস্ট্রি এডিটর নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে- এটি বুঝার জন্য স্টার্ট মেনু থেকে রানে গিয়ে regedit লিখে এন্টারদিন। যদি রেজিস্ট্রি এডিটর উইন্ডোটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে সেটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
কম্যান্ড প্রমট(DOS) নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে- এটি বুঝার জন্য রান এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার দিন। যদি cmd উইন্ডোটি না আসে তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
স্টার্ট মেনুতে সার্চ অপশন না থাকলে।
কোন প্রোগ্রাম চালু নেই অথবা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম চালু নেই কিন্তু সিপিইউ এর ব্যবহার ৫% এর উপর দেখালে- এটি বুঝার জন্য Ctrl+Alt+Del চেপে পারফরমেন্স ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার উইন্ডোটির একেবারে নিচে স্ট্যাটাস বারে লক্ষ করুন।
কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ অথবা পেনড্রাইভে ডাবল ক্লিক করার পর ওপেন না হলে।
কম্পিউটারের ড্রাইভে অথবা পেনড্রাইভে ডান মাউস ক্লিক করলে ওপেন অপশনটি দ্বিতীয় অবস্থানে দেখালে কিংবা প্রথম অপশনটি ভিন্ন ভাষায় দেখালে।
কম্পিউটার যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
কম্পিউটার যদি থেমে থেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট নেয়। তবে কম্পিউটার অন্যান্য কারনে যেমন উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল মিসিং হলে, লো ভোল্টেজ থাকলে রিস্টার্ট হতে পারে।
খুব বেশি প্রোগ্রাম ইন্সটল নেই অথচ কম্পিউটার ওপেন ও শাটডাউন হতে দীর্ঘ সময় লাগলে।
কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে, বন্ধ করলে বা অন্য কোন কম্যান্ড দিলে তা এক্সিকিউট হতে বেশি সময় নিলে।
অল্পতে কম্পিউটার ঘন ঘন Hang হলে।
ফোল্ডার অপশন না থাকলে- এটি বুঝার জন্য মাই কম্পিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার অপশনটি লক্ষ করুন। এটি না থাকলে।
Hidden files & folders অপশনটি না থাকলে কিংবা কাজ না করলে। এটি দেখার জন্য মাই কম্পিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার অপশন এ ক্লিক করুন। এবার View ট্যাবে ক্লিক করে Show hidden files & folders এ ক্লিক করে ওকে করুন। এই ফাংশনটি কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য অপশনটিতে আবার আসুন। যদি পূর্বের মত Do not show hidden files & folders অপশনটিতে টিক চিহ্ন থাকে তাহলে বুঝবেন এটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় C:\windows কিংবা C:\my documents উইন্ডোসহ ওপেন হলে।
তেমন কোন প্রোগ্রাম ইন্সটল নেই কিন্তু সি ড্রাইভের( C Drive ) স্পেস যদি ফুল বা পূর্ণ দেখায়।
কোন ওয়েবসাইটে যেতে গিয়ে অন্য ওয়েবসাইট এ চলে গেলে।

উইন্ডোজ ট্রে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কোন এরর মেসেজ বার বার দেখালে।
কোন মেসেজ যদি নির্দিষ্ট কোন এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে বলে।
ডেস্কটপে কোন নতুন আইকন দেখলে যা আপনি রাখেননি কিংবা ইন্সটল করা প্রগ্রামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
কেউ কোন ফাইল বা ফোল্ডার হিডেন করেনি অথচ আপনি তা খুজে পাচ্ছেন না, আবার ডিস্ক স্পেস ঠিক দেখাচ্ছে।
কম্পিউটার ওপেন হওয়ার সময় লগ ইন অপশন আসে কিন্তু লগ ইন করলে কম্পিউটার ওপেন হয় না।
কম্পিউটার ওপেন হয়ে ডেক্সটপ আসে কিন্তু মাউস ও কীবোর্ড কাজ করেনা। এছাড়াও উইন্ডোজ এ অন্য কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধরে নেয়া যেতে পারে।
এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল হতে না দিলে, এন্টিভাইরাস কাজ না করলে, নিষ্ক্রিয় থাকলে কিংবা এন্টিভাইরাসটি নতুন করে রিস্টার্ট করতে না দিলে।
কম্পিউটার সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন। ভ

Leave a Reply